তিন পুলিশ কর্তাকে হাইকোর্টে তলব-বিডিনিউজে হামলায় গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলামসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আগামী ৫ জুন তলব করেছেন হাইকোর্ট। তলব করা অন্য দুজন হলেন শেরে বাংলানগর থানার ওসি (তদন্ত) কবির ও একই থানার ওসি জাকির হোসেন।
এদিকে মহাখালীতে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এই হামলার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আগারগাঁওয়ে নির্যাতন : আগারগাঁওয়ে তিন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওসি (তদন্ত) কবিরের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের বেতন থেকে আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসার খরচ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত একইসঙ্গে পুরো ঘটনা একজন উপসচিবের মাধ্যমে তদন্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ জুলাই এই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চ গতকাল এসব আদেশ দেন। ল' রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাশহুদুল হকের এক রিট আবেদনে এই আদেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া এ ঘটনায় শেরে বাংলানগর থানায় মামলা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলাম (তেজগাঁও), শেরে বাংলানগর থানার ওসি (তদন্ত) কবির এবং একই থানার ওসি জাকির হোসেনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ১৪ জুন আদালতে দাখিল করতেও আইজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, আইনজীবী বা সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ এ রকম আচরণ করে কেন? সমস্যা কোথায়? কেন পুলিশ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর ক্ষুব্ধ। সাংবাদিক বা আইনজীবী নির্যাতন বা হত্যার শিকার হলে তার তদন্ত এগোয় না কেন?
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
বিডিনিউজকর্মীদের ওপর হামলা : মহাখালীর আমতলীতে অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল দুপুরে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো, জাহিদুল ইসলাম সৌরভ, মীর হোসেন ও ইলিয়াস মাস্টার ওরফে সুমন। এর আগে বিডিনিউজের মানবসম্পদ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) মাসুদুর রহমান জানান, হামলায় জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সৌরভ, হোসেন ও ইলিয়াস নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে সৌরভ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে সে বাইসাইকেলযোগে ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ফুটপাতে অনেক চেয়ার রাখা নিয়ে এক যুবকের সঙ্গে তার বগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত বিডিনিউজের অফিস সহকারী রুহুল আমিনকে সে মারধর করে এবং একপর্যায়ে সে মোবাইল ফোনে বন্ধু ইমরান, ইয়াকুব ও সাদ্দামকে খবর দেয়। এ সময় ভবনের ওপরতলা থেকে কিছু লোক নেমে এসে তাকে আটক করে। পরে আশপাশের বিভিন্ন গলিতে থাকা তার বন্ধুসহ অন্যরা এসে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার একপর্যায়ে অন্যদের মারধর করে। তবে বিডিনিউজকর্মীদের কোপানোর কথা সে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তার কাছে আগে থেকেই ছুরি ছিল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সৌরভ জানায়, পাশের একটি ইলেকট্রিক দোকান থেকে ছুরিটি নিয়ে সে ওই ভবনে যায়। এরপর সেই ছুরি দিয়ে সাংবাদিকদের কুপিয়ে যখম করে। পরে এটি অন্যরা তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়। এসব তথ্য দেওয়ার সময় সৌরভ উত্তেজিত হয়ে দাবি করে, আমতলীর যুবলীগ কার্যালয়ে তার যাতায়াত আছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম জিজ্ঞেস করলে সে এড়িয়ে যায়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া সৌরভ মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। মহাখালীর জিপি-গ/৬৯/২ নম্বরে বাসা। তার বাবার নাম আবুল হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে, সৌরভ এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। যুবলীগের স্থানীয় ঘ ইউনিট শাখার 'বড় ভাই'দের ছত্রছায়ায় সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। এমনকি সোমবার রাতে তাকে বাঁচানোর জন্য বিডিনিউজকর্মীদের ওপর যুবলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই হামলা চালায়।
নির্যাতনের প্রতিবাদ : আদালতে দায়িত্বরত অবস্থায় সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন ও বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সংগঠনের সভাপতি দুলাল মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করা হয়।
আগারগাঁওয়ে নির্যাতন : আগারগাঁওয়ে তিন সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওসি (তদন্ত) কবিরের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের বেতন থেকে আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসার খরচ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত একইসঙ্গে পুরো ঘটনা একজন উপসচিবের মাধ্যমে তদন্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ জুলাই এই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চ গতকাল এসব আদেশ দেন। ল' রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাশহুদুল হকের এক রিট আবেদনে এই আদেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া এ ঘটনায় শেরে বাংলানগর থানায় মামলা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদুল ইসলাম (তেজগাঁও), শেরে বাংলানগর থানার ওসি (তদন্ত) কবির এবং একই থানার ওসি জাকির হোসেনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ১৪ জুন আদালতে দাখিল করতেও আইজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, আইনজীবী বা সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ এ রকম আচরণ করে কেন? সমস্যা কোথায়? কেন পুলিশ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর ক্ষুব্ধ। সাংবাদিক বা আইনজীবী নির্যাতন বা হত্যার শিকার হলে তার তদন্ত এগোয় না কেন?
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
বিডিনিউজকর্মীদের ওপর হামলা : মহাখালীর আমতলীতে অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল দুপুরে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো, জাহিদুল ইসলাম সৌরভ, মীর হোসেন ও ইলিয়াস মাস্টার ওরফে সুমন। এর আগে বিডিনিউজের মানবসম্পদ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) মাসুদুর রহমান জানান, হামলায় জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সৌরভ, হোসেন ও ইলিয়াস নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে সৌরভ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে সে বাইসাইকেলযোগে ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ফুটপাতে অনেক চেয়ার রাখা নিয়ে এক যুবকের সঙ্গে তার বগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত বিডিনিউজের অফিস সহকারী রুহুল আমিনকে সে মারধর করে এবং একপর্যায়ে সে মোবাইল ফোনে বন্ধু ইমরান, ইয়াকুব ও সাদ্দামকে খবর দেয়। এ সময় ভবনের ওপরতলা থেকে কিছু লোক নেমে এসে তাকে আটক করে। পরে আশপাশের বিভিন্ন গলিতে থাকা তার বন্ধুসহ অন্যরা এসে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার একপর্যায়ে অন্যদের মারধর করে। তবে বিডিনিউজকর্মীদের কোপানোর কথা সে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তার কাছে আগে থেকেই ছুরি ছিল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সৌরভ জানায়, পাশের একটি ইলেকট্রিক দোকান থেকে ছুরিটি নিয়ে সে ওই ভবনে যায়। এরপর সেই ছুরি দিয়ে সাংবাদিকদের কুপিয়ে যখম করে। পরে এটি অন্যরা তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়। এসব তথ্য দেওয়ার সময় সৌরভ উত্তেজিত হয়ে দাবি করে, আমতলীর যুবলীগ কার্যালয়ে তার যাতায়াত আছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম জিজ্ঞেস করলে সে এড়িয়ে যায়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া সৌরভ মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। মহাখালীর জিপি-গ/৬৯/২ নম্বরে বাসা। তার বাবার নাম আবুল হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে, সৌরভ এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। যুবলীগের স্থানীয় ঘ ইউনিট শাখার 'বড় ভাই'দের ছত্রছায়ায় সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। এমনকি সোমবার রাতে তাকে বাঁচানোর জন্য বিডিনিউজকর্মীদের ওপর যুবলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই হামলা চালায়।
নির্যাতনের প্রতিবাদ : আদালতে দায়িত্বরত অবস্থায় সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন ও বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সংগঠনের সভাপতি দুলাল মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করা হয়।
No comments