নারীর আত্মহনন-সচেতন সমাজই রুখতে পারে
এ যেন সংক্রামক ব্যাধি। সোমবার হবিগঞ্জে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার ঘটনার পরদিন মৌলভীবাজারে ঘটল একই রকম ঘটনা। দুটি ঘটনারই পেছনে কাজ করছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অনাচার। যার ভুক্তভোগী হলেন দুই নারী। আরো সোজা করে বলা চলে, সারা দেশে নারী নির্যাতনকারীদেরই দুটি উদাহরণ মাত্র এ দুটি ঘটনা। নিত্য এমন ঘটছে বাংলাদেশের সর্বত্র।
তার মধ্যে দুই-একটির খবর সংবাদমাধ্যমে আসার সুযোগ পায়। যেগুলোর মধ্যে দুই-একটির প্রতিকার লাভের জন্য সমাজেও আলোড়ন তৈরি হয়।
পুরুষের নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানোর ক্ষমতা রাখেন না নারী। মৃত্যুর মাধ্যমেই সব অনাচারের প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পান অসহায় নারী। এটা সবলের অন্যায়ের প্রতি দুর্বলের প্রতিবাদ জানানোর অনন্যোপায় পথ। মৃত্যুর মাঝে জীবনের সন্ধান পাওয়া যায় না। এ সত্য আত্মহত্যাকারী নিজেও জানে। কিন্তু তার পরও যে মুহূর্তে তার সামনে বেঁচে থাকার অর্থ দাঁড়ায় মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক, তখন সে বাধ্য হয়ে যন্ত্রণা লাঘবের পথ খোঁজে। এভাবে আমাদের দেশে আর কত নারী মৃত্যুর মাধ্যমে যন্ত্রণা লাঘবের পথ খুঁজবেন? নিশ্চিত জবাব দেওয়া সম্ভব হবে না এ প্রশ্নের। কারণ সমাজটা এখনো পুরুষপ্রধান। সে-ও শক্তিরই প্রতীক যেন। এই দাপটে নারীকে সে মনে করে, নারী শুধু ভোগেরই সামগ্রী। সেই থেকেই নারীর ওপর পুরুষের নির্যাতন চলে। নব্বইয়ের দশকে নূরজাহান আত্মাহুতি দিয়ে দুনিয়া কাঁপিয়েছিলেন। সে-ও ছিল মৌলভীবাজারের ঘটনা। নূরজাহানের মৃত্যুর পর নারী নির্যাতনবিরোধী একটা আওয়াজ উঠেছিল সচেতন মানুষের কণ্ঠ থেকে। আশা করা গিয়েছিল, এই বাংলায় বোধ হয় আর কোনো নূরজাহানের জন্ম হবে না। অন্তত পুরুষের শক্তিমত্তা আর প্রদর্শিত হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা নিত্যই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে থাকলাম। সম্প্রতি রংপুরে বদরগঞ্জের গৃহবধূ সাহিদা বেগম ও হ্যাপিকে নির্যাতনের পর উচ্চ আদালত স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, এ ধরনের সালিস-ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এই নির্দেশও মাত্র কয়েক দিন আগে ৩১ জুলাই প্রদান করা হয়েছে। সালিস করে নারী নির্যাতন করা হলো। এক মাসও অতিক্রম করেনি আবারও সেই সালিস। এবার হবিগঞ্জে ঘটল একই ঘটনা। ১৪ আগস্ট হবিগঞ্জের গ্রামে সালিস করে রায় দেওয়া হয় ফেরদৌসীকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সমাজচ্যুত করা হলো। ফেরদৌসী সেই রায়ের অপমান সইতে না পেরে মাধবপুরের শাহপুর রেলস্টেশনের অদূরে সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
হবিগঞ্জের ঘটনার পর দিন মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের রামেশ্বরপুর গ্রামের লেছু মিয়ার স্ত্রী রুমা বেগমকে আত্মহত্যা করতে দেখা যায় একইভাবে। রুমা বেগমকে মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই একই চিত্র_দুর্বলের ওপর সবলের নির্যাতন। আদালতের নির্দেশনাই এসব ঘটনা বন্ধ করার জন্য একমাত্র পথ বলে মনে হয় না। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও আন্দোলন। সুশিক্ষা সেই সচেতনতাকে বাড়াতে পারে।
পুরুষের নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানোর ক্ষমতা রাখেন না নারী। মৃত্যুর মাধ্যমেই সব অনাচারের প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পান অসহায় নারী। এটা সবলের অন্যায়ের প্রতি দুর্বলের প্রতিবাদ জানানোর অনন্যোপায় পথ। মৃত্যুর মাঝে জীবনের সন্ধান পাওয়া যায় না। এ সত্য আত্মহত্যাকারী নিজেও জানে। কিন্তু তার পরও যে মুহূর্তে তার সামনে বেঁচে থাকার অর্থ দাঁড়ায় মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক, তখন সে বাধ্য হয়ে যন্ত্রণা লাঘবের পথ খোঁজে। এভাবে আমাদের দেশে আর কত নারী মৃত্যুর মাধ্যমে যন্ত্রণা লাঘবের পথ খুঁজবেন? নিশ্চিত জবাব দেওয়া সম্ভব হবে না এ প্রশ্নের। কারণ সমাজটা এখনো পুরুষপ্রধান। সে-ও শক্তিরই প্রতীক যেন। এই দাপটে নারীকে সে মনে করে, নারী শুধু ভোগেরই সামগ্রী। সেই থেকেই নারীর ওপর পুরুষের নির্যাতন চলে। নব্বইয়ের দশকে নূরজাহান আত্মাহুতি দিয়ে দুনিয়া কাঁপিয়েছিলেন। সে-ও ছিল মৌলভীবাজারের ঘটনা। নূরজাহানের মৃত্যুর পর নারী নির্যাতনবিরোধী একটা আওয়াজ উঠেছিল সচেতন মানুষের কণ্ঠ থেকে। আশা করা গিয়েছিল, এই বাংলায় বোধ হয় আর কোনো নূরজাহানের জন্ম হবে না। অন্তত পুরুষের শক্তিমত্তা আর প্রদর্শিত হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা নিত্যই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে থাকলাম। সম্প্রতি রংপুরে বদরগঞ্জের গৃহবধূ সাহিদা বেগম ও হ্যাপিকে নির্যাতনের পর উচ্চ আদালত স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, এ ধরনের সালিস-ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এই নির্দেশও মাত্র কয়েক দিন আগে ৩১ জুলাই প্রদান করা হয়েছে। সালিস করে নারী নির্যাতন করা হলো। এক মাসও অতিক্রম করেনি আবারও সেই সালিস। এবার হবিগঞ্জে ঘটল একই ঘটনা। ১৪ আগস্ট হবিগঞ্জের গ্রামে সালিস করে রায় দেওয়া হয় ফেরদৌসীকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সমাজচ্যুত করা হলো। ফেরদৌসী সেই রায়ের অপমান সইতে না পেরে মাধবপুরের শাহপুর রেলস্টেশনের অদূরে সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
হবিগঞ্জের ঘটনার পর দিন মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের রামেশ্বরপুর গ্রামের লেছু মিয়ার স্ত্রী রুমা বেগমকে আত্মহত্যা করতে দেখা যায় একইভাবে। রুমা বেগমকে মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই একই চিত্র_দুর্বলের ওপর সবলের নির্যাতন। আদালতের নির্দেশনাই এসব ঘটনা বন্ধ করার জন্য একমাত্র পথ বলে মনে হয় না। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও আন্দোলন। সুশিক্ষা সেই সচেতনতাকে বাড়াতে পারে।
No comments