প্রশাসনে সরকারের ব্যর্থতা বেশি by ড. আকবর আলি খান
এক কথায় সরকারকে ব্যর্থ বা সফল কোনোটাই বলা যাবে না। কোনো ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য রয়েছে, আবার কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বেশি। প্রশাসনে সরকারের ব্যর্থতা বেশি। রাজনীতিতে গুণগত কোনো পরিবর্তন তো আসেইনি বরং গত চার বছরে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবনতি হয়েছে।
অথচ আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরাট পরিবর্তন আনতে পারত। কিন্তু তারা সে পথে না গিয়ে পুরনো পথেই হেঁটেছে, যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে।
আমাদের জাতীয় নেতা-নেত্রীরা যে ভাষায় কথা বলেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। জ্যেষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা যদি এমন নোংরা ভাষা ব্যবহার করেন, তাহলে কনিষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা কী শিখবেন? ভবিষ্যৎ নেতা-নেত্রীদের কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি না।
রাজনীতিতে শুধু একটাই সাফল্য আছে, তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরিয়ে এনেছে দারুণভাবে। সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা কতটুকু রক্ষা করেছে? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সুরাহা হয়নি। এমপিদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এমপিরা কি সম্পদের হিসাব দিচ্ছেন? আর দিলেও সেই সম্পদ বেড়েছে, নাকি কমেছে, তা কি সাধারণ মানুষ জানতে পারছে? আসলে এখানে কোনো সংস্কারই আসেনি। আমরা সবাই এমপিদের সম্পদের হিসাবের বিষয়ে আশাবাদী ছিলাম।
প্রশাসন একটি চলমান বিষয়। এই চলমান বিষয়গুলোকে সব সময় সংস্কারের মধ্যে রাখতে হয়। অথচ গত চার বছরে সরকার প্রশাসনে কোনো সংস্কার আনেনি। প্রশাসনে সংস্কার আনার আর সময়ও নেই। কারণ সংস্কারের জন্য দীর্ঘ সময় দরকার। এটা এক দিনের কাজ নয়। অপেক্ষায় থাকতে হবে পরের সরকারের জন্য। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, প্রশাসনিক সংস্কার জরুরি। নতুন সরকারকে শুরুতেই সংস্কারে হাত দিতে হবে। সংস্কার করলেই চলবে না, তা বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে হবে। প্রশাসন দক্ষ না হলে কোনো রাজনৈতিক দলই সফল হবে না। কারণ প্রশাসনের মাধ্যমেই সব বাস্তবায়ন করা হয়। দলবাজ কর্মকর্তা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কঠিন সত্য তথ্য উপস্থাপন করবেন না। এ জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন দরকার।
সরকার প্রশাসনে দফায় দফায় পদোন্নতি দিয়েছে। কিন্তু কাদের এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। দলীয় মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তারা এই পদোন্নতি পেয়েছেন। মেধাবী কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাননি। যোগ্য, সৎ ও নিরীহ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে প্রশাসনকে মেধাহীন করা হয়েছে। এর ফল রাষ্ট্রকে দীর্ঘদিন ভোগ করতে হবে। বঞ্চিতদের মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করা হয়নি।
আমাদের জাতীয় নেতা-নেত্রীরা যে ভাষায় কথা বলেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। জ্যেষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা যদি এমন নোংরা ভাষা ব্যবহার করেন, তাহলে কনিষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা কী শিখবেন? ভবিষ্যৎ নেতা-নেত্রীদের কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি না।
রাজনীতিতে শুধু একটাই সাফল্য আছে, তা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরিয়ে এনেছে দারুণভাবে। সরকার যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা কতটুকু রক্ষা করেছে? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো সুরাহা হয়নি। এমপিদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এমপিরা কি সম্পদের হিসাব দিচ্ছেন? আর দিলেও সেই সম্পদ বেড়েছে, নাকি কমেছে, তা কি সাধারণ মানুষ জানতে পারছে? আসলে এখানে কোনো সংস্কারই আসেনি। আমরা সবাই এমপিদের সম্পদের হিসাবের বিষয়ে আশাবাদী ছিলাম।
প্রশাসন একটি চলমান বিষয়। এই চলমান বিষয়গুলোকে সব সময় সংস্কারের মধ্যে রাখতে হয়। অথচ গত চার বছরে সরকার প্রশাসনে কোনো সংস্কার আনেনি। প্রশাসনে সংস্কার আনার আর সময়ও নেই। কারণ সংস্কারের জন্য দীর্ঘ সময় দরকার। এটা এক দিনের কাজ নয়। অপেক্ষায় থাকতে হবে পরের সরকারের জন্য। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, প্রশাসনিক সংস্কার জরুরি। নতুন সরকারকে শুরুতেই সংস্কারে হাত দিতে হবে। সংস্কার করলেই চলবে না, তা বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে হবে। প্রশাসন দক্ষ না হলে কোনো রাজনৈতিক দলই সফল হবে না। কারণ প্রশাসনের মাধ্যমেই সব বাস্তবায়ন করা হয়। দলবাজ কর্মকর্তা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কঠিন সত্য তথ্য উপস্থাপন করবেন না। এ জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন দরকার।
সরকার প্রশাসনে দফায় দফায় পদোন্নতি দিয়েছে। কিন্তু কাদের এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। দলীয় মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তারা এই পদোন্নতি পেয়েছেন। মেধাবী কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাননি। যোগ্য, সৎ ও নিরীহ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে প্রশাসনকে মেধাহীন করা হয়েছে। এর ফল রাষ্ট্রকে দীর্ঘদিন ভোগ করতে হবে। বঞ্চিতদের মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করা হয়নি।
No comments