মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ড-যুবলীগ নেতা আশরাফুল আরো তিন দিনের রিমান্ডে
নরসিংদী পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় গতকাল শনিবার এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফুল সরকারকে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আশরাফুল শহর যুবলীগের সভাপতি এবং মামলার ১১ নম্বর আসামি।গতকাল আশরাফুলের পক্ষে প্রথমবারের মতো আইনজীবীরা আদালতে দাঁড়ান। একাধিক আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। আইনজীবীরা মামলার এজাহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, হত্যার পরিকল্পনাকারী ও ঘটনা
সংঘটনকারীর নাম কিভাবে প্রয়াত লোকমান হোসেন বাদীকে বলে গেছেন। যদি বলে থাকেন, তাহলে কেন লোকমানের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়া হলো না। বলা কথা বাতাসে ভেসে যায়। তাই এই এজাহারের ভিত্তি নেই।
গোয়েন্দা পুলিশ শনিবার বিকেল ৩টায় বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হ্যালমেট পরিয়ে আশরাফুলকে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক আশিকুল খবির তিন দিন মঞ্জুর করেন। লোকমান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, লোকমান হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজনদের তথ্যের ভিত্তিতে এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
গতকালের আগে লোকমান হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি লড়াইয়ে অংশ নেননি। গতকাল প্রথম আশরাফের পক্ষে একাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হয়ে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। আশরাফুলের আইনজীবী শরফুদ্দীন খান মুকুল সাংবাদিকদের জানান, আদালতে তাঁরা বলেছেন, এজাহার অনুযায়ী ১০ জন পরিকল্পনা করে বাকি চারজনকে নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিকল্পনাকারী ও ঘটনা সংঘটনকারীর নাম কিভাবে মৃত লোকমান হোসেন বাদীকে বলে গেছেন? তাহলে কেন লোকমানের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়া হলো না।
গত ১ নভেম্বর নরসিংদীর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ নভেম্বর ঢাকার খিলগাঁও থেকে আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরের দিন প্রথম দফায় তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আশরাফ লোকমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁর বড় ভাই আবদুল মতিন সরকার একই মামলার দুই নম্বর আসামি।
লোকমান হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আরো ছয়জনকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে ফারুক, মাহফুজ ও শাহিদ পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে। হাজি সেলিম, কাজী টিপ্পন ও শাহিন নামের তিনজন কারাগারে আছে। তাদের মধ্যে হাজি সেলিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ শনিবার বিকেল ৩টায় বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হ্যালমেট পরিয়ে আশরাফুলকে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক আশিকুল খবির তিন দিন মঞ্জুর করেন। লোকমান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, লোকমান হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজনদের তথ্যের ভিত্তিতে এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
গতকালের আগে লোকমান হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি লড়াইয়ে অংশ নেননি। গতকাল প্রথম আশরাফের পক্ষে একাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হয়ে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। আশরাফুলের আইনজীবী শরফুদ্দীন খান মুকুল সাংবাদিকদের জানান, আদালতে তাঁরা বলেছেন, এজাহার অনুযায়ী ১০ জন পরিকল্পনা করে বাকি চারজনকে নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিকল্পনাকারী ও ঘটনা সংঘটনকারীর নাম কিভাবে মৃত লোকমান হোসেন বাদীকে বলে গেছেন? তাহলে কেন লোকমানের মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেওয়া হলো না।
গত ১ নভেম্বর নরসিংদীর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ নভেম্বর ঢাকার খিলগাঁও থেকে আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরের দিন প্রথম দফায় তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আশরাফ লোকমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁর বড় ভাই আবদুল মতিন সরকার একই মামলার দুই নম্বর আসামি।
লোকমান হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আরো ছয়জনকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে ফারুক, মাহফুজ ও শাহিদ পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে। হাজি সেলিম, কাজী টিপ্পন ও শাহিন নামের তিনজন কারাগারে আছে। তাদের মধ্যে হাজি সেলিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
No comments