টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ-পায়রার পায়ে বেঁধে চিঠি পাঠানো হলো মনমোহন সিংকে
টিপাইমুখে ভারতের বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতারা গতকাল দুপুরে জকিগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারার উৎসস্থল সীমান্তবর্তী বরাক মোহনায় পায়রার পায়ে চিঠি বেঁধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের উদ্দেশে পাঠিয়েছেন। জকিগঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম গতকাল একই উদ্দেশ্যে পালন করে মানববন্ধন কর্মসূচি। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন
বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।সিলেট অফিস ও জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, বাপার গণপ্রতিবাদে অংশ নেন শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল আউয়াল বিশ্বাস, সংগঠক শরীফ জামিল, ফাদার জোসেফ গোমেজ, আদিবাসী নেত্রী ফ্লুরা বাবলী তালাম, গৌরাঙ্গ পার্থ প্রমুখ। গণপ্রতিবাদে সভাপতিত্ব করেন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনার পর পায়রার পায়ে বেঁধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রতি প্রতীকী পত্র পাঠানো হয়। অন্যদিকে, জকিগঞ্জ উপজেলার আমলসিদে সীমান্তে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মোহনায় ভারতের টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'টিপাইমুখ বাঁধ আমাদের জীবন-মরণের সমস্যা। এ বাঁধের ফলে সিলেট তথা বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে এবং জীববৈচিত্র্যে মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। আর ভূমিকম্প হলে বাঁধ ভেঙে সারা দেশ বন্যায় প্লাবিত হবে। এ অবস্থায় সিলেট এবং বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ বসে থাকতে পারে না। তাই এখনই প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। বক্তারা দল-মত নির্বিশেষে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং আবদুর রকিব চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. কামাল আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, বিএনপি নেতা এমদাদ হোসেন চৌধুরী, শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ইকবাল আহমদ, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট মেট্রোপলিট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা লোকমান আহমদ চৌধুরী, যুব নেতা আবদুল করিম প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। জেলার প্রায় ৩০টি সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ধারাবাহিক আন্দোলন পরিচালনা করতে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে। বৈঠকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০টি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'টিপাইমুখ বাঁধ আমাদের জীবন-মরণের সমস্যা। এ বাঁধের ফলে সিলেট তথা বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে এবং জীববৈচিত্র্যে মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। আর ভূমিকম্প হলে বাঁধ ভেঙে সারা দেশ বন্যায় প্লাবিত হবে। এ অবস্থায় সিলেট এবং বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ বসে থাকতে পারে না। তাই এখনই প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। বক্তারা দল-মত নির্বিশেষে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং আবদুর রকিব চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. কামাল আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, বিএনপি নেতা এমদাদ হোসেন চৌধুরী, শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ইকবাল আহমদ, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট মেট্রোপলিট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা লোকমান আহমদ চৌধুরী, যুব নেতা আবদুল করিম প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। জেলার প্রায় ৩০টি সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ধারাবাহিক আন্দোলন পরিচালনা করতে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে। বৈঠকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০টি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments