আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা by মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের সর্বোচ্চ মর্যাদার সম্বল। আল্লাহপাকের মোহাব্বত (প্রেম-ভালোবাসা) অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে আল্লাহর প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ উৎসর্গিত করে দেওয়া। এ সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে, 'আল্লাহপাক তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে।'
হজরত রাসূলেপাক (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলকে (সা.) দুনিয়ার সবকিছু থেকে না ভালোবাসেন তার ইমান আদৌ পূর্ণতা লাভ করে না। এক সাহাবি একবার হজরত নবীপাককে (সা.) জিজ্ঞাসা করেছিলেন_ ইমান কী? আল্লাহর নবী উত্তরে বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসূলে পাকের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক মোহাব্বতের নাম ইমান। আর সে পর্যন্ত কেউই পূর্ণ মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে তার পরিবার-পরিজন, ধন-দৌলত এবং নশ্বর দুনিয়ার সব মোহ থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক মোহাব্বত না করতে পারে।
আল্লাহর ভালোবাসা, মোহাব্বত দুনিয়ার সবকিছুর ঊধর্ে্ব। সুতরাং এ মোহাব্বত সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহপাকের আনুগত্য ও ইবাদতের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জান-প্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে মোহাব্বতের প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত মোহাব্বতের আদর্শ। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলে মকবুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মোহাব্বতের বড় দরজা। মোহাব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মোহাব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পেঁৗছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে। একবার এক সাহাবির স্ত্রীর আঙুলের একটি নখ উপড়ে গিয়েছিল। তিনি অসহ্য যন্ত্রণা ও কষ্টের মধ্যে কাটাচ্ছিলেন। ওই সাহাবি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি যন্ত্রণা-বেদনা অনুভূত হচ্ছে না? স্ত্রী জবাবে বললেন, এই সামান্য কষ্টের তুলনায় আল্লাহর পুরস্কারের মূল্য, আনন্দ, খুশি অনেক বেশি।
অতএব দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য করতে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর মোহাব্বত ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সে-ই সৌভাগ্যবান যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর মোহাব্বতের রঙে রঞ্জিত। তাই আল্লাহপাক এরশাদ করেন, 'নিজেকে যে পরিশ্রদ্ধ ও পবিত্র করেছে সে-ই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে।'
মোটকথা মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, এক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, এক আল্লাহ ছাড়া মোহাব্বত বা ভালোবাসার উপযুক্ত এ দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো হতভাগ্য, জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে, সে-ই যথার্থ পথে রয়েছে। বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য
সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তার রাসূলের
(সা.) হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহ-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
আল্লাহর ভালোবাসা, মোহাব্বত দুনিয়ার সবকিছুর ঊধর্ে্ব। সুতরাং এ মোহাব্বত সত্যিকারভাবে প্রমাণিত হবে আল্লাহপাকের আনুগত্য ও ইবাদতের মধ্যে। যাকে ভালোবাসা যায়, জান-প্রাণ দিয়ে তার সন্তুষ্টি সাধন করাই হচ্ছে মোহাব্বতের প্রকৃত পরিচয়। এটাই হবে মূলত মোহাব্বতের আদর্শ। এ সম্পর্কে হজরত রাসূলে মকবুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছায়, মর্জিতে রাজি-খুশি থাকাই হচ্ছে মোহাব্বতের বড় দরজা। মোহাব্বত অতি প্রবল ও খাঁটি হলে অন্য কিছু সেখানে দাঁড়াতে পারে না, মোহাব্বতই প্রাধান্য লাভ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে রাজি-খুশি থাকে সে নিঃসন্দেহে উচ্চ মরতবায় পেঁৗছে যায়। কেননা সে তো যে কোনো দুঃখ-কষ্টে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামগুলো নিখুঁতভাবে পালনের চেষ্টা করে আদায় করে। একবার এক সাহাবির স্ত্রীর আঙুলের একটি নখ উপড়ে গিয়েছিল। তিনি অসহ্য যন্ত্রণা ও কষ্টের মধ্যে কাটাচ্ছিলেন। ওই সাহাবি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি যন্ত্রণা-বেদনা অনুভূত হচ্ছে না? স্ত্রী জবাবে বললেন, এই সামান্য কষ্টের তুলনায় আল্লাহর পুরস্কারের মূল্য, আনন্দ, খুশি অনেক বেশি।
অতএব দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা সহ্য করতে হবে। কেননা পরকালে আল্লাহর মোহাব্বত ছাড়া অন্য কোনো সম্বল নেই। কাজেই সে-ই সৌভাগ্যবান যে দুনিয়ার জীবনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর মোহাব্বতের রঙে রঞ্জিত। তাই আল্লাহপাক এরশাদ করেন, 'নিজেকে যে পরিশ্রদ্ধ ও পবিত্র করেছে সে-ই কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে বিফল মনোরথ হয়েছে।'
মোটকথা মানুষের ভালোবাসার একমাত্র লক্ষ্য হলো কেবল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, এক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, এক আল্লাহ ছাড়া মোহাব্বত বা ভালোবাসার উপযুক্ত এ দুনিয়ার সংসারে আর কিছু নেই। তাই যে দুনিয়াকে ভালোবাসে সে আল্লাহকে ভুলে যায়। তার মতো হতভাগ্য, জাহেল আর কেউ নেই। অন্যদিকে যে আল্লাহকে ভালোবাসে এবং সেই সঙ্গে অন্য সবাইকে ভালোবাসে, সে-ই যথার্থ পথে রয়েছে। বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন এবং গরিব-দুঃখীজন ও অন্য
সবাইকে মানবতার দৃষ্টিতে ভালোবাসে, সে মূলত আল্লাহকেই ভালোবাসে। অতএব আসুন, আল্লাহ ও তার রাসূলের
(সা.) হুকুম-আহকাম মেনে চলি, ইহ-পরকালে সুখ-শান্তি অর্জন করি।
No comments