ইয়োগা ও ভেষজ সমাচার
দিন দিন ব্যস্ত হয়েছে পড়ছে মানুষ। কর্মব্যস্ত জীবনে এক মুহূর্তের ফুরসত মেলা ভার। তার পরেও কিছু সময় বের করে নিতে হয় একান্ত নিজের জন্য। আর এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় নিজের সুস্থতার জন্য।
অথ্যাৎ নিজেকে ফিট রাখা। নিজেকে ফিট রাখার মন্ত্র প্রকৃতিইে লুকিয়ে রয়েছে। প্রকৃতির গুণাগুণে অভ্যস্ত হলে অনেকটাই সুস্থ থাকা সম্ভব। যাকে ভেষজ গুণ বলা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঐতিহ্যগত ও দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এটি চিকিৎসা জগতে একটি স্বতন্ত্র পদ্ধতি যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, সার্জারি, অপথালমোলজি, পুষ্টি, ঔষধি গাছ, ত্বক পরিষ্কার করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং ইয়োগার মতো শরীরকে শান্তি ও বিশ্রাম দেয়া। আয়ুর্বেদিকের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছেÑত্বক ও শরীর ম্যাসাজ, কপালে তেল ম্যাসাজ এবং হার্বাল বাষ্পীয় গোসল। শরীরে তেল চিকিৎসা হচ্ছে ত্বক থেকে টক্সিন ও মিউকাস মেমব্রেন দূর করার জন্য। মূলত আয়ুর্বেদ হচ্ছে চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়েও আরও বেশি কিছু। এটা জীবন দর্শন, যা ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দেয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জীবন যাপনের মধ্যে সমন্বয় করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার নানা দিক নিয়ে ‘আয়ুর্বেদিক হেলথ কেয়ার সেন্টার’ বিনামূল্যে পরামর্শ সেবা দিচ্ছে। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া হচ্ছে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে। গুলশান সার্কেল-২-এ অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা, আসক্তিজনিত সমস্যা, দুশ্চিন্তা, ঘুমের সমস্যা, বার্ধক্য, ত্বক, চুল, যৌন, শরীরের সঠিক আকার সমস্যা দূর করাসহ সব ধরনের আয়ুর্বেদিক সমাধান দেয়া হয়। এছাড়া হেলথ কেয়ার সেন্টার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা, থেরাপি, ওষুধ, ইয়োগা ও মেডিটেশন কোর্স চালু করেছে। সেন্টারে যেসব আয়ুর্বেদিক পণ্য ব্যবহার করা হয় তা মিসটিক ইস্ট লিমিটেডের তৈরি। এটা জিএমপি মাননিয়ন্ত্রিত এবং বাংলাদেশ ওষুধ নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনের অনুমোদিত। সেন্টারের কর্মীরা ভারতের কেরালার প্রখ্যাত প্রশিক্ষকের কাছে প্রশিক্ষিত। আয়ুর্বেদিক হেলথ কেয়ার সেন্টার ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক রেসিপি অনুযায়ী অত্যন্ত উন্নতমানের ম্যাসাজ তেল সরবরাহ করে। ব্যবহারের সময় এই তেল উন্নতমানের ঔষধি গাছ থেকে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে একক পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। যখন তা ত্বকে ব্যবহার করা হয় তখন তা সহজেই ত্বকের গভীরে পৌঁছায় এবং শরীরের কোষে সরাসরি প্রাকৃতিক গুণাগুণ ও নির্যাস প্রবেশ করায়। সেন্টারে চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন ড. নাসরিন আক্তার এবং ইয়োগা বিশেষজ্ঞ হিসেবে আছেন আচার্য সুজিতানাডা এভাডুয়া।
যাপিত ডেস্ক
No comments