ব্রাজিলে নৈশ ক্লাবে আগুন কমপক্ষে ২৪৫ জনের মৃত্যু
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্রানদে দো সুলের একটি নৈশ ক্লাবে আগুন লেগে কমপক্ষে ২৪৫ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন কয়েক শ মানুষ। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড কর্তৃপক্ষ গতকাল রবিবার জানিয়েছে, সান্তা মারিয়া শহরের 'কিস' নৈশ ক্লাবে আতশবাজি থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট দিউমা হুসেফ তাঁর চিলি সফর সংক্ষিপ্ত করে গতকাল সকালে তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় রাষ্ট্রগুলোর জোট সিইএলএসির মধ্যকার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। প্রদেশ গভর্নর তারসো জেনরো এ ঘটনাকে 'স্যাড সানডে' বলে অভিহিত করেছেন।
সান্তা মারিয়া শহরের পুলিশের মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টার দিকে ক্লাবটিতে আগুন লাগে। অধিকাংশ মানুষ মারা গেছে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। পদপিষ্ট হয়েও মারা গেছেন অনেকে। ঘটনার সময় ক্লাবের ভেতর প্রায় দুই হাজার মানুষ ছিল। সান্তা মারিয়া শহরের ফায়ার ব্রিগেডের প্রধান গুইদো দে মেলোকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় এস্তাদাও পত্রিকা জানিয়েছে, 'আগুনের খবরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় অনেকে পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়।'
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৪৫ বলা হয়েছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পরও কেউ মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। উদ্ধারকাজের তদারককারী কর্মকর্তা মেজর গারসন দা রোসা ফেরেইরা সাংবাদিকদের জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। লুইজা সৌসা নামের স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টি হচ্ছিল ক্লাবটিতে। সেখানে একটি ব্যান্ডদল গান পরিবেশন করছিল। গানের সঙ্গে তারা আতশবাজিরও প্রদর্শনী করে। এই আতশবাজি থেকে ক্লাবের সিলিংয়ে আগুন ধরে যায়। 'কয়েক সেকেন্ডের' মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ওগ্লোবো সংবাদপত্রও তাদের ওয়েবসাইটে অগ্নিকাণ্ডের কারণ আতশবাজি বলে জানিয়েছে। তবে প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র মার্সেলো আরিগনির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি। ১৯৬১ সালের পর ব্রাজিলে এটাই সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড। ওই সময় রিও ডি জেনিরোতে আগুনে ৫০৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সান্তা মারিয়া শহরটি প্রদেশ রাজধানী পোর্তো অ্যালেগ্রে থেকে ১৮৭ মাইল পশ্চিমে। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের সামীন্ত লাগোয়া শহরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর হিসেবে পরিচিত। সেখানে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট দিউমা হুসেফ তাঁর চিলি সফর সংক্ষিপ্ত করে গতকাল সকালে তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় রাষ্ট্রগুলোর জোট সিইএলএসির মধ্যকার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। প্রদেশ গভর্নর তারসো জেনরো এ ঘটনাকে 'স্যাড সানডে' বলে অভিহিত করেছেন।
সান্তা মারিয়া শহরের পুলিশের মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টার দিকে ক্লাবটিতে আগুন লাগে। অধিকাংশ মানুষ মারা গেছে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। পদপিষ্ট হয়েও মারা গেছেন অনেকে। ঘটনার সময় ক্লাবের ভেতর প্রায় দুই হাজার মানুষ ছিল। সান্তা মারিয়া শহরের ফায়ার ব্রিগেডের প্রধান গুইদো দে মেলোকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় এস্তাদাও পত্রিকা জানিয়েছে, 'আগুনের খবরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। এ সময় অনেকে পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়।'
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৪৫ বলা হয়েছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পরও কেউ মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। উদ্ধারকাজের তদারককারী কর্মকর্তা মেজর গারসন দা রোসা ফেরেইরা সাংবাদিকদের জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। লুইজা সৌসা নামের স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টি হচ্ছিল ক্লাবটিতে। সেখানে একটি ব্যান্ডদল গান পরিবেশন করছিল। গানের সঙ্গে তারা আতশবাজিরও প্রদর্শনী করে। এই আতশবাজি থেকে ক্লাবের সিলিংয়ে আগুন ধরে যায়। 'কয়েক সেকেন্ডের' মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ওগ্লোবো সংবাদপত্রও তাদের ওয়েবসাইটে অগ্নিকাণ্ডের কারণ আতশবাজি বলে জানিয়েছে। তবে প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র মার্সেলো আরিগনির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি। ১৯৬১ সালের পর ব্রাজিলে এটাই সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ড। ওই সময় রিও ডি জেনিরোতে আগুনে ৫০৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সান্তা মারিয়া শহরটি প্রদেশ রাজধানী পোর্তো অ্যালেগ্রে থেকে ১৮৭ মাইল পশ্চিমে। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের সামীন্ত লাগোয়া শহরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর হিসেবে পরিচিত। সেখানে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
No comments