মাগুরছড়া :এখনও গেল না ট্র্যাজেডি by প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ
আবার ফিরে এসেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জবাসীর ভয়াল স্মৃতির দিন মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ১৫তম বার্ষিকী। ১৪ জুন এলেই মৌলভীবাজার জেলাবাসীকে মনে করিয়ে দেয় সেই ভয়াল স্মৃতির কথা। সেদিন মানুষের মন কত ভীত ছিল। কখন এসে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ফেলবে।
প্রতি বছর জুন মাস এলেই এ দিনটির কথা আমাদের স্মরণ করে দেয়। ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মধ্যরাতে মাগুরছড়া গ্যাসকূপে বিস্টেম্ফারণের প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠেছিল গোটা কমলগঞ্জ। আগুনের লেলিহান শিখায় লাল হয়ে উঠেছিল মৌলভীবাজার জেলার সুনীল আকাশ। ভীতসন্ত্রস্ত লোকজন ঘরের মালপত্র রেখে প্রাণভয়ে ছুটেছিল দিগ্গি্বদিক। আগুনের শিখায় গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্ট, মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি, জীববৈচিত্র্য, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, ফুলবাড়ী চা বাগান, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথ এবং কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়।
বিভিন্ন সংগঠন মাগুরছড়া দুর্ঘটনার যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে আন্দোলন পরিচালনা করে এলেও দীর্ঘ ১৪ বছরেও ক্ষতিগ্রস্তদের দাবিকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত রয়েছে। ১৪ বছর ধরে কমলগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মানুষের মনে মাগুরছড়া বিস্টেম্ফারণের আগুন সন্দেহের দাবানল হয়ে জ্বলছে। তৎকালীন সরকার ক্ষতিপূরণ আদায়ের জোরালো ভূমিকা পালন করেনি। ফলে মাগুরছড়া দুর্ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তরা নীরবে চোখের জল ফেলছে।
মার্কিন অক্সিডেন্টাল কোম্পানি মাগুরছড়া এলাকায় গ্যাস উত্তোলনের কাজ করাকালে এই অগি্নকাণ্ড ঘটে। বিস্টেম্ফারণের পর অক্সিডেন্টাল তাদের সহোদর ইউনোকলের কাছে দায়িত্ব দিয়ে এ দেশ ত্যাগ করলে দুই বছর পর ফুলবাড়ী চা বাগান, পার্শ্ববর্তী মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির বাড়িঘর, পান জুম এলাকার ক্ষয়ক্ষতি বাবদ আংশিক টাকা প্রদান করে ইউনোকল। অন্যদিকে দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ধারে সামাজিক বনায়নের রোপিত গাছের জন্য ৩ ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। দীর্ঘ ৬ মাস কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাস মালিক সমিতিকে ২৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এ এ ছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ ও গ্যাস বাবদ কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
গ্যাস ক্ষেত্রের মালিকানা অক্সিডেন্টাল থেকে ইউনোকল তারপর দায়িত্ব পেয়েছে তাদেরই স্বদেশি কোম্পানি শেভরন। গ্যাসকূপ বিস্টেম্ফারণের পরিত্যক্ত এলাকার উত্তর টিলায় সবুজায়ন করা হয়েছে। মূল কূপটি এখনও পুকুরের রূপ ধারণ করে টিকে আছে। চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। টিলার ওপর সবুজ বনায়নের উদ্যোগ নিলেও মাঝে মধ্যে আগুনের পোড়া ডালপালাবিহীন কালো রঙের গাছগুলো অগি্নকাণ্ডের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
pronithnath@gmail.com
বিভিন্ন সংগঠন মাগুরছড়া দুর্ঘটনার যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে আন্দোলন পরিচালনা করে এলেও দীর্ঘ ১৪ বছরেও ক্ষতিগ্রস্তদের দাবিকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত রয়েছে। ১৪ বছর ধরে কমলগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মানুষের মনে মাগুরছড়া বিস্টেম্ফারণের আগুন সন্দেহের দাবানল হয়ে জ্বলছে। তৎকালীন সরকার ক্ষতিপূরণ আদায়ের জোরালো ভূমিকা পালন করেনি। ফলে মাগুরছড়া দুর্ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তরা নীরবে চোখের জল ফেলছে।
মার্কিন অক্সিডেন্টাল কোম্পানি মাগুরছড়া এলাকায় গ্যাস উত্তোলনের কাজ করাকালে এই অগি্নকাণ্ড ঘটে। বিস্টেম্ফারণের পর অক্সিডেন্টাল তাদের সহোদর ইউনোকলের কাছে দায়িত্ব দিয়ে এ দেশ ত্যাগ করলে দুই বছর পর ফুলবাড়ী চা বাগান, পার্শ্ববর্তী মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির বাড়িঘর, পান জুম এলাকার ক্ষয়ক্ষতি বাবদ আংশিক টাকা প্রদান করে ইউনোকল। অন্যদিকে দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ধারে সামাজিক বনায়নের রোপিত গাছের জন্য ৩ ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। দীর্ঘ ৬ মাস কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাস মালিক সমিতিকে ২৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এ এ ছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ ও গ্যাস বাবদ কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
গ্যাস ক্ষেত্রের মালিকানা অক্সিডেন্টাল থেকে ইউনোকল তারপর দায়িত্ব পেয়েছে তাদেরই স্বদেশি কোম্পানি শেভরন। গ্যাসকূপ বিস্টেম্ফারণের পরিত্যক্ত এলাকার উত্তর টিলায় সবুজায়ন করা হয়েছে। মূল কূপটি এখনও পুকুরের রূপ ধারণ করে টিকে আছে। চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। টিলার ওপর সবুজ বনায়নের উদ্যোগ নিলেও মাঝে মধ্যে আগুনের পোড়া ডালপালাবিহীন কালো রঙের গাছগুলো অগি্নকাণ্ডের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
pronithnath@gmail.com
No comments