ইসি গঠনে অনুসন্ধান কমিটি-এখন উচিত গ্রহণযোগ্য লোক খুঁজে বের করা by জাহাঙ্গীর আলম
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগে অনুসন্ধান কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন ফলপ্রসূ হবে না।
দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধান কমিটিকে সমর্থন করলেও গ্রহণযোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগের ওপরই এর সফলতা নির্ভর করবে বলে মনে করেন।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা অনুসন্ধান কমিটি গঠন সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রক্রিয়া অগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। এখন উচিত হবে দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোক খুঁজে বের করা। তাঁর মতে, সরকারের কোনো প্রভাব যাঁদের ওপর নেই, এমন লোকদের নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি করতে পারলে ভালো হতো।
নির্বাচন কমিশন গঠনে এবারই প্রথম অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হলো। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ বিষয়ে সংলাপ করেন।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। সংবিধানে নির্দেশনা থাকলেও এ-সংক্রান্ত কোনো আইন না থাকায় এত দিন রাষ্ট্রপতি এককভাবেই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিতেন।
আওয়ামী লীগ অনুসন্ধান কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, রাষ্ট্রপতি প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ পদক্ষেপ।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অনুসন্ধান কমিটিকে তামাশা বলে মনে করে। দলীয় নেতাদের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। রাষ্ট্রপতির উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংলাপ করা।
বিএনপির মিত্র জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অবস্থানও একই রকম বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, অনুসন্ধান কমিটির খসড়া সংলাপের আগেই তৈরি করা ছিল। তারা রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে একটা তামাশা করেছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অনুসন্ধান কমিটি গঠন গণতন্ত্র চর্চায় এক ধাপ অগ্রগতি। এখন স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষা করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হলে তা জাতীয় জীবনে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ সংসদ কার্যোপদেষ্টা কমিটিতে দেওয়া হলে ভালো হতো। তবু এটা একটা বড় অগ্রগতি। আশা করি, বির্তক দূর হবে এবং গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠন করা হবে।’
অনুসন্ধান কমিটিকে আইনে রূপান্তরে মত দিয়েছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটি গঠন একটা বড় অগ্রগতি। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য সমন্বিত আইন প্রণয়ন দরকার।
অনুসন্ধান কমিটিকে স্বাগত জানালেও এই কমিটি রাজনৈতিক দল বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে একদফা আলোচনা করতে পারে বলে মনে করে সিপিবি। দলের সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বলেন, কেবল সঠিক লোক নিয়োগ দিলেই চলবে না। তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা থাকারও ব্যাপার আছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, অনুসন্ধান কমিটিতে যাঁদের নেওয়া হয়েছে, তাঁরা অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি বলেন, যেহেতু প্রধান বিরোধী দল এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি, তাই যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা তাঁদের বিরোধিতা করবে। তবে অবিতর্কিত লোকদের নিয়োগ দেওয়া হলে হয়তো কাজের মাধ্যমে তাঁরা বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।
অনুসন্ধান কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওপর ন্যস্ত হওয়ায় সরকারের সম্পৃক্ততা থাকবে। এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে দেওয়া হলে নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেক বেশি নিরপেক্ষ হতো।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা অনুসন্ধান কমিটি গঠন সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রক্রিয়া অগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। এখন উচিত হবে দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোক খুঁজে বের করা। তাঁর মতে, সরকারের কোনো প্রভাব যাঁদের ওপর নেই, এমন লোকদের নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি করতে পারলে ভালো হতো।
নির্বাচন কমিশন গঠনে এবারই প্রথম অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হলো। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ বিষয়ে সংলাপ করেন।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। সংবিধানে নির্দেশনা থাকলেও এ-সংক্রান্ত কোনো আইন না থাকায় এত দিন রাষ্ট্রপতি এককভাবেই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিতেন।
আওয়ামী লীগ অনুসন্ধান কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, রাষ্ট্রপতি প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ পদক্ষেপ।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অনুসন্ধান কমিটিকে তামাশা বলে মনে করে। দলীয় নেতাদের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। রাষ্ট্রপতির উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংলাপ করা।
বিএনপির মিত্র জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অবস্থানও একই রকম বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, অনুসন্ধান কমিটির খসড়া সংলাপের আগেই তৈরি করা ছিল। তারা রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে একটা তামাশা করেছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অনুসন্ধান কমিটি গঠন গণতন্ত্র চর্চায় এক ধাপ অগ্রগতি। এখন স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষা করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হলে তা জাতীয় জীবনে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ সংসদ কার্যোপদেষ্টা কমিটিতে দেওয়া হলে ভালো হতো। তবু এটা একটা বড় অগ্রগতি। আশা করি, বির্তক দূর হবে এবং গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠন করা হবে।’
অনুসন্ধান কমিটিকে আইনে রূপান্তরে মত দিয়েছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, অনুসন্ধান কমিটি গঠন একটা বড় অগ্রগতি। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য সমন্বিত আইন প্রণয়ন দরকার।
অনুসন্ধান কমিটিকে স্বাগত জানালেও এই কমিটি রাজনৈতিক দল বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে একদফা আলোচনা করতে পারে বলে মনে করে সিপিবি। দলের সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বলেন, কেবল সঠিক লোক নিয়োগ দিলেই চলবে না। তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা থাকারও ব্যাপার আছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, অনুসন্ধান কমিটিতে যাঁদের নেওয়া হয়েছে, তাঁরা অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি বলেন, যেহেতু প্রধান বিরোধী দল এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি, তাই যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা তাঁদের বিরোধিতা করবে। তবে অবিতর্কিত লোকদের নিয়োগ দেওয়া হলে হয়তো কাজের মাধ্যমে তাঁরা বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।
অনুসন্ধান কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওপর ন্যস্ত হওয়ায় সরকারের সম্পৃক্ততা থাকবে। এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে দেওয়া হলে নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেক বেশি নিরপেক্ষ হতো।
No comments