সেনা ঘটনা এখনো কেটে যায়নি: আশরাফ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘সেনা ঘটনা এখনো কেটে যায়নি’।
গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা এখনো কেটে যায়নি। সবাইকে শনাক্ত করা যায়নি। অনেকেই এখনো আটক হয়নি। জড়িত সামরিক ব্যক্তিদের সামরিক আইনে এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের বেসামরিক আইনে বিচার করা হবে। জড়িতদের শনাক্ত করে আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত এর রেশ থাকবে।’
গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা এখনো কেটে যায়নি। সবাইকে শনাক্ত করা যায়নি। অনেকেই এখনো আটক হয়নি। জড়িত সামরিক ব্যক্তিদের সামরিক আইনে এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের বেসামরিক আইনে বিচার করা হবে। জড়িতদের শনাক্ত করে আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার আগ পর্যন্ত এর রেশ থাকবে।’
সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতিক্রিয়ার জবাবে গতকাল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের পর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন ক্যু করে ক্ষমতা দখল করবেন, কেউ তা মেনে নেবে না। বর্তমান বিশ্বের কোথাও সামরিক জান্তার স্থান নেই। লিবিয়া, মিসর, ইরাকের সামরিক শাসকদের পরিণতি সবার জানা। এ মুহূর্তে সবার প্রয়োজন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া। সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখা।’
‘সবগুলো সেনা অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল’—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যকে ‘বালখিল্যপনা’ আখ্যা দিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসকের গর্ভে জন্ম লাভকারী দলের এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার নামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা সত্যকে চাপা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা। এই অশুভ শক্তির উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করা, যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য আত্মঘাতী।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ঘটনা জানার পরই আমরা সব রাজনৈতিক দল এবং সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যের ডাকে সাড়া না দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করেছে। আবারও দেশ ও জাতির স্বার্থে গণতন্ত্রের ক্রান্তি লগ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।’
বিএনপি কখনোই চায়নি এ দেশে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে উঠুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখল করার সিঁড়ি হিসেবে বারবার দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। বিএনপির জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। জনগণের ওপর আস্থা নেই বলে তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া এর আগে আলটিমেটাম দিয়ে ডিসেম্বর মাসে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই আলটিমেটামের সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থান-চেষ্টার যোগসূত্র থাকা কি স্বাভাবিক নয়? পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই কি ’৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, সাঈদী, সাকা চৌধুরী গংদের দোসর খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও দেশকে বিপন্ন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন?’
খালেদা জিয়ার বক্তব্য এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের লিফলেটের বক্তব্য হুবহু দাবি করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘এর রহস্য কী? ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনও ঘটনা ঘটার আগেই তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তিনি নিশ্চয়ই এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতেন।’
জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের উপকারভোগী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেনারেল জিয়া রাতের অন্ধকারে বন্দুকের নল উঁচিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তথাকথিত সিপাহি-জনতা বিপ্লবের নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা দেশপ্রেমিক অফিসারকে হত্যা করেছিল।’
সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলন করেনি—এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সেনাবাহিনীর ভেতরের ঘটনা। তাদের তদন্ত কাজে কেউ হস্তক্ষেপ ও প্রভাবিত করছে না। তারাই তদন্ত করছে।’
টেলিভিশন টক শোতে সেনা অভ্যুত্থান-চেষ্টা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘টক শোতে অনেকে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করে ঘটনাকে জটিল করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন ক্যু করে ক্ষমতা দখল করবেন, কেউ তা মেনে নেবে না। বর্তমান বিশ্বের কোথাও সামরিক জান্তার স্থান নেই। লিবিয়া, মিসর, ইরাকের সামরিক শাসকদের পরিণতি সবার জানা। এ মুহূর্তে সবার প্রয়োজন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া। সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখা।’
‘সবগুলো সেনা অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল’—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যকে ‘বালখিল্যপনা’ আখ্যা দিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসকের গর্ভে জন্ম লাভকারী দলের এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার নামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা সত্যকে চাপা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা। এই অশুভ শক্তির উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করা, যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য আত্মঘাতী।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ঘটনা জানার পরই আমরা সব রাজনৈতিক দল এবং সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যের ডাকে সাড়া না দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করেছে। আবারও দেশ ও জাতির স্বার্থে গণতন্ত্রের ক্রান্তি লগ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।’
বিএনপি কখনোই চায়নি এ দেশে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে উঠুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখল করার সিঁড়ি হিসেবে বারবার দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। বিএনপির জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। জনগণের ওপর আস্থা নেই বলে তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া এর আগে আলটিমেটাম দিয়ে ডিসেম্বর মাসে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই আলটিমেটামের সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থান-চেষ্টার যোগসূত্র থাকা কি স্বাভাবিক নয়? পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই কি ’৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, সাঈদী, সাকা চৌধুরী গংদের দোসর খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও দেশকে বিপন্ন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন?’
খালেদা জিয়ার বক্তব্য এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের লিফলেটের বক্তব্য হুবহু দাবি করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘এর রহস্য কী? ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনও ঘটনা ঘটার আগেই তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তিনি নিশ্চয়ই এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতেন।’
জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের উপকারভোগী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেনারেল জিয়া রাতের অন্ধকারে বন্দুকের নল উঁচিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তথাকথিত সিপাহি-জনতা বিপ্লবের নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা দেশপ্রেমিক অফিসারকে হত্যা করেছিল।’
সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলন করেনি—এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সেনাবাহিনীর ভেতরের ঘটনা। তাদের তদন্ত কাজে কেউ হস্তক্ষেপ ও প্রভাবিত করছে না। তারাই তদন্ত করছে।’
টেলিভিশন টক শোতে সেনা অভ্যুত্থান-চেষ্টা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘টক শোতে অনেকে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করে ঘটনাকে জটিল করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments