এসএসসি পরীক্ষা-সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক
দেশের ১৩ লাখ তিন হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী আজ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। দীর্ঘ অধ্যবসায় ও প্রতীক্ষার পর জীবনের নতুন পর্যায়ে যাওয়ার এ প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু ও সুন্দর হোক- এমন প্রত্যাশা সব অভিভাবক ও নিকটজনের।
কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি লাখ লাখ অভিভাবককে উদ্বেগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। পরীক্ষা চলাকালেও সরকারবিরোধী একটি রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় স্বার্থরক্ষায় হরতালের মতো নেতিবাচক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এ কর্মসূচি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আগেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আর পরীক্ষা চলাকালে এ ধরনের কর্মসূচি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটানোর পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থাকেও বাধাগ্রস্ত করবে। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত হরতাল-ধর্মঘটের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখলে দেশে রাজনৈতিক কোনো বিপর্যয় নেমে আসবে না। দেশের কল্যাণ চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো পরীক্ষা চলাকালে কোনো বিঘ্ন ঘটাবে না- এমন প্রত্যাশা সবার।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এ শিক্ষার্থীরা দুই বছর আগে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে এরই মধ্যে প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। তাদের একটি অংশ শ্রেণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বিরাট একটি অংশ বিদ্যালয় ত্যাগ করেছে, যা আমাদের সামগ্রিক শিক্ষা উন্নয়নের পথে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য। শিক্ষা উন্নয়নে সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য স্বীকৃতি পেলেও এ প্রবণতা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নলাভে সহায়ক হবে না। নেতিবাচক এ প্রবণতা দূর করার জন্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে- এটাই দেশবাসীর আশা।
কোচিং-বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাদানের দুর্বলতা কাটানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি, যার প্রভাব পড়ছে তাদের বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায়ও।
বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষাগুলোয় আগের তুলনায় এখন নকল কমে গেছে। কিন্তু শহর ও গ্রামে এখনো পার্থক্য আছে। সাধারণত গ্রামের অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে কঠোরতা দেখিয়ে ভেতরে শিক্ষার্থীদের নকল করার সুযোগ দেওয়া হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রকে নকলমুক্ত করার ঘোষণা সর্বতোভাবে কার্যকর করতে হবে। সে জন্য ভেতরে ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। দেশের ভেতরে ও বাইরে যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, সবার শুভ হোক। ভালো ফল করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতর করুক সবাই।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এ শিক্ষার্থীরা দুই বছর আগে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে এরই মধ্যে প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। তাদের একটি অংশ শ্রেণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বিরাট একটি অংশ বিদ্যালয় ত্যাগ করেছে, যা আমাদের সামগ্রিক শিক্ষা উন্নয়নের পথে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য। শিক্ষা উন্নয়নে সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য স্বীকৃতি পেলেও এ প্রবণতা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নলাভে সহায়ক হবে না। নেতিবাচক এ প্রবণতা দূর করার জন্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে- এটাই দেশবাসীর আশা।
কোচিং-বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাদানের দুর্বলতা কাটানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি, যার প্রভাব পড়ছে তাদের বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায়ও।
বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষাগুলোয় আগের তুলনায় এখন নকল কমে গেছে। কিন্তু শহর ও গ্রামে এখনো পার্থক্য আছে। সাধারণত গ্রামের অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে কঠোরতা দেখিয়ে ভেতরে শিক্ষার্থীদের নকল করার সুযোগ দেওয়া হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রকে নকলমুক্ত করার ঘোষণা সর্বতোভাবে কার্যকর করতে হবে। সে জন্য ভেতরে ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। দেশের ভেতরে ও বাইরে যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, সবার শুভ হোক। ভালো ফল করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতর করুক সবাই।
No comments