গবর্নর সরাসরি কথা বললেন কৃষকদের সঙ্গে
কৃষকরা দেশের ভবিষ্যত উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকের উন্নতি হওয়া মানে দেশের উন্নতি।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। গবর্নর থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোবাইল ফোনের নম্বর বিতরণ করে কৃষকদের অভিযোগ ও আপত্তির কথা শুনছেন। দেশে এই প্রথম যেখানে কৃষকদের ভাগ্য পরির্তন করার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।সোমবার কৃষি ঋণ বিতরণ নিয়ে কোন ধরনের হয়রানি, অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতি হচ্ছে কিনা এবং ঋণ গ্রহণ করতে কৃষকদের ঘুষ প্রদান করতে হচ্ছে কিনা এসব বিষয় নিয়ে গবর্নর সরাসরি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সকালে এসব কথা বলেন। গবর্নরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ টেলিকনফারেন্সে ডেপুটি গবর্নর মুরশিদ কুলী খান, নির্বাহী পরিচালক আবুল কসেম, কৃষিঋণ স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এম মনিরম্নজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠিত এ টেলিকনফারেন্সে গবর্নর ড. আতিউর রহমান ফরিদপুরের সেন্টু সিকদার, রাজবাড়ীর সুনীল কুমার বিশ্বাস, জয়পুরহাটের আজিজুর রহমান ও সুনাগঞ্জের মাহবুব আহমেদসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি কৃষকদের বোরো চাষ কেমন হবে, ধান চালের দরসহ কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
তবে টেলিফোনে কৃষকরা কৃষি ঋণ গ্রহণে কোন ধরণের হয়রানি, দালালবাজি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেননি। তাঁরা বলেছেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর সহজেই ঋণ পেয়েছেন। একই সঙ্গে কাউকে ঘুষ প্রদান করতেও হয়নি। ঋণ পেয়ে তা সময়মতো ব্যবহার করতে পারায় এ বছর ফসলও অনেক ভাল হবে বলেও তাঁরা গবর্নরকে টেলিফোনে নিশ্চিত করেছেন।
গবর্নর আরও বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় কৃষি ঋণ বিতরণ নিয়ে অনেক অনিয়ম ও হয়রানি কমে আসছে। তবে একেবারে সব কমেছে তা বলা যাবে না। তিনি অভিযোগ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ইসমাত কায়েসের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে সংশিস্নষ্টদের অনুরোধ করেছেন। মোবাইল নম্বর হলো ০১৫৫২৪৩৮৫৩৪ এবং টেলিফোন নম্বর ৭১২০৩৮৮।
ডেপুটি গবর্নর মুরশিদ কুলী খান জনকণ্ঠকে বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সামগ্রিক সমস্যা, অভিযোগ এবং দাবি-দাওয়া জানার জন্য মোবাইল সুপারভিশন চালু করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এ কার্যক্রম চলবে। একই সঙ্গে আগামী দু'মাসের মধ্যে অঞ্চলভিত্তিক দেশের সকল কৃষকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পৰ থেকে সরাসরি কথা বলা হবে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গ্রামে যাওয়া হতে পারে, আবার কৃষকদের ঢাকায়ও আনা হতে পারে। কৃষি ঋণ বিতরণে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লৰ্যেই এটি করা হচ্ছে।
No comments