পাকিস্তানে ড্রোন হামলা কমেছে বেড়েছে ইয়েমেনে

পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলা গত বছরের চেয়ে কমেছে। বিপরীতে দ্বিগুণ বেড়েছে ইয়েমেনে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিউ আমেরিকা ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-কায়েদা ও তালেবানবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের বিশেষ করে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর ধরে ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। পাকিস্তানের ভেতর ও বাইরে থেকে সমালোচনার কারণে গত দুই বছরে এই হামলা কমেছে। নিউ আমেরিকা ফাউন্ডেশন জানায়, দেশটিতে চলতি বছরে ৪৬টি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। আর ২০১১ সালে ৭২টি এবং ২০১০ সালে ১২২টি হামলা হয়েছিল।
বিপরীতে ইয়েমেনে এ হামলা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। আল-কায়েদা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে ২০১২ সালে এই হামলা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩টিতে। ২০১১ সালে যা ছিল ১৮টি। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রশাসনের তুলনায় বারাক ওবামার আমলে ড্রোনের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় ৩৯৭ থেকে ৫৩৯ জনের মতো মারা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি বেসামরিক হতাহতের কোনো হিসাব দেয়নি। তবে তারা জানায়, ইয়েমেনে ড্রোনের সঙ্গে বিমান হামলাও চালায় মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। দেশটির সরকারও বলছে, এই হামলা তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। তাদের তরফে ড্রোন হামলায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব না দেওয়া হলেও আইনজীবীদের হিসাবে ২০০৪ সালের জুন মাস থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৫৬২ জন থেকে তিন হাজার ৩২৫ জনের মতো লোক নিহত হয়েছে এসব হামলায়। এর মধ্যে বেসামরিক লোক রয়েছে ৪৭৪ থেকে ৮৮১ জনের মতো। সূত্র : ডন।

No comments

Powered by Blogger.