রাজশাহীতে কারচাপায় ছাত্রের মৃত্যু ॥ আগুন সংঘর্ষ
শনিবার দুপুরে রাজশাহীর পুঠিয়ায়
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের বাজার এলাকায় প্রাইভেটকার চাপায় স্কুলছাত্রের
মৃতু্যর ঘটনায় বিুব্ধ জনতা ৫ ঘণ্টা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখে।
এ সময় বিুব্ধ জনতা বিােভ প্রদর্শন, প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর করে এবং
পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল বিনিময়ে লিপ্ত হয়। এ
সময় পথযাত্রীসহ কমপৰে ২০ জন আহত হয়। পরে পুলিশের আটককৃত ঘাতক কারটি (ঢাকা
মেট্রো-গ-২৭-১৬৭৪) জনতা ঘটনাস্থলে এনে অগি্নসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়। নিহত
স্কুলছাত্র আসিফ আল আরাফাত ওরফে পিয়াস পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আজাদ
ম-লের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বেলা অনুমান দেড়টার দিকে পুঠিয়া পিএন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পিয়াস রেঞ্জার সাইকেল নিয়ে রাসত্মা পার হচ্ছিল। এ সময় নাটোর থেকে রাজশাহীগামী একটি প্রাইভেটকার পিয়াসকে চাপা দিয়ে পুনরায় নাটোরের দিকে পালিয়ে যায়। এতে গুরম্নতর আহত পিয়াসকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃতু্য হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিুব্ধ স্থানীয় জনতা ঘটনার পরপরই পুঠিয়া বাজারের রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখে। পুঠিয়া থানার ওসি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অবরোধ ও বিােভকারীদের শানত্ম করতে গেলে তারা পুলিশকে ধাওয়া করে। জনগণের ধাওয়া খেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে ওয়াকিটকিতে যোগাযোগের মাধ্যমে পুলিশ ঘাতক কারটি পুঠিয়ার তারাপুর নামক স্থানে আটক করে। খবর পেয়ে বিুব্ধ জনতার একাংশ সেখান থেকে কারটি পুলিশের নিকট থেকে ঘটনাস্থলে এনে ভাংচুরের একপর্যায়ে অগি্নসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে বিুব্ধ জনতা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি ও বিােভ প্রদর্শন শুরম্নু করে। স্থানীয় রয়েল ম-ল জানান, পুঠিয়া বাজারের ত্রিমোহীনিতে প্রতি সপ্তাহে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বহুলোক হতাহত হয়েছে। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি স্পীড ব্রেকার নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, অবরোধের কারণে মহাসড়কের দু'পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। নিরম্নপায় যাত্রীদের অনেকে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা স্পীড ব্রেকারের দাবিতে অবরোধ প্রত্যাহারে অনড় থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ জনতার বাধা উপো করে গাড়ি ছেড়ে দেয়। ফলে জনতা বিুব্ধ হয়ে উঠে। তারা এলোপাতাড়ি গাড়িতে ইটপাটকেল নিপে করে অনত্মত ৫০টি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় পুলিশ জনতার ওপর লাঠিচার্জ শুরম্ন করে। জনতার ইটে বাসযাত্রী পাবনাগামী নবীন পরিবহনের আশরাফুল (৩০), আমিন (৩৫), আকলিমা বেগম (৪০), কুষ্টিয়াগামী বাসের আনোয়ার (৪০), পারভেজ (২৮) এবং পুলিশের লাঠিচার্জে স্থানীয় কামাল (৩০), আফাজ (২৩), মজিবর (৩৪), নয়নসহ (৩০)সহ অনত্মত ২০ জন আহত হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের পুঠিয়া সার্কেল এএসপি সালেহ আহম্মেদ, পুঠিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মর্জিনা বেগম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজি আনোয়ার হোসেনসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ শুরম্ন হয়। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে স্থানীয় লোকজন অবরোধ তুলে নেয়। ওসি আব্দুল হামিদ জানান, পিয়াস নিহতের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া বাস ভাংচুর ও অবরোধের ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যনত্ম কোন মামলা হয়নি। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শানত্ম রয়েছে।
পুলিশ জানায়, বেলা অনুমান দেড়টার দিকে পুঠিয়া পিএন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পিয়াস রেঞ্জার সাইকেল নিয়ে রাসত্মা পার হচ্ছিল। এ সময় নাটোর থেকে রাজশাহীগামী একটি প্রাইভেটকার পিয়াসকে চাপা দিয়ে পুনরায় নাটোরের দিকে পালিয়ে যায়। এতে গুরম্নতর আহত পিয়াসকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃতু্য হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিুব্ধ স্থানীয় জনতা ঘটনার পরপরই পুঠিয়া বাজারের রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে রাখে। পুঠিয়া থানার ওসি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অবরোধ ও বিােভকারীদের শানত্ম করতে গেলে তারা পুলিশকে ধাওয়া করে। জনগণের ধাওয়া খেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে ওয়াকিটকিতে যোগাযোগের মাধ্যমে পুলিশ ঘাতক কারটি পুঠিয়ার তারাপুর নামক স্থানে আটক করে। খবর পেয়ে বিুব্ধ জনতার একাংশ সেখান থেকে কারটি পুলিশের নিকট থেকে ঘটনাস্থলে এনে ভাংচুরের একপর্যায়ে অগি্নসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে বিুব্ধ জনতা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি ও বিােভ প্রদর্শন শুরম্নু করে। স্থানীয় রয়েল ম-ল জানান, পুঠিয়া বাজারের ত্রিমোহীনিতে প্রতি সপ্তাহে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বহুলোক হতাহত হয়েছে। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি স্পীড ব্রেকার নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, অবরোধের কারণে মহাসড়কের দু'পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। নিরম্নপায় যাত্রীদের অনেকে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা স্পীড ব্রেকারের দাবিতে অবরোধ প্রত্যাহারে অনড় থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ জনতার বাধা উপো করে গাড়ি ছেড়ে দেয়। ফলে জনতা বিুব্ধ হয়ে উঠে। তারা এলোপাতাড়ি গাড়িতে ইটপাটকেল নিপে করে অনত্মত ৫০টি গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় পুলিশ জনতার ওপর লাঠিচার্জ শুরম্ন করে। জনতার ইটে বাসযাত্রী পাবনাগামী নবীন পরিবহনের আশরাফুল (৩০), আমিন (৩৫), আকলিমা বেগম (৪০), কুষ্টিয়াগামী বাসের আনোয়ার (৪০), পারভেজ (২৮) এবং পুলিশের লাঠিচার্জে স্থানীয় কামাল (৩০), আফাজ (২৩), মজিবর (৩৪), নয়নসহ (৩০)সহ অনত্মত ২০ জন আহত হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের পুঠিয়া সার্কেল এএসপি সালেহ আহম্মেদ, পুঠিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মর্জিনা বেগম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজি আনোয়ার হোসেনসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে স্পীড ব্রেকার নির্মাণ শুরম্ন হয়। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে স্থানীয় লোকজন অবরোধ তুলে নেয়। ওসি আব্দুল হামিদ জানান, পিয়াস নিহতের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া বাস ভাংচুর ও অবরোধের ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যনত্ম কোন মামলা হয়নি। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শানত্ম রয়েছে।
No comments