সাদাকালো-মৃত্যু নয়, জনপথে চলছে হত্যার মিছিল by আহমদ রফিক

আবারও দুর্ঘটনা। প্রাণের অপচয়। তা-ও দেশের মেধাবী সন্তানদের। একের পর এক টিভির চ্যানেল পাল্টে সর্বশেষ সংবাদ বা নতুন কিছু জানার চেষ্টায় অনেকেই সেদিন উন্মুখ ছিলেন অনেক রাত অবধি। পরদিন কাগজে শোকার্ত শিরোনাম : 'এভাবে যেতে হবে কেন?' কিংবা 'কাগজের ফুল থেকে মৃত্যুর ফুল' ইত্যাদি।


বিষয়টা হলো 'সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত।' অন্যত্র ভিন্ন ভাষ্যে 'শোক করব, নাকি প্রতিবাদ জানাব?'
হ্যাঁ, প্রতিবাদ জানানোই তো দরকার, যদি বা তাতে সমস্যার কিছু সুরাহা হয়। কারণ আর কত জনপথে, মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল দেখব? কত দিন? দেখব, দুদিনের হাহুতাশ অথবা প্রতিবাদী কলাম লেখা_তারপর সব নিঃঝুম, অন্তত ঠিক এমনি আরেকটি ঘটনা যতক্ষণ না এসে আমাদের আঘাত করে, উথালপাথাল করে।
ঘটনার গভীর প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো সংবাদমনস্ক মানুষ যদি এ জাতীয় ঘটনার চার-পাঁচ বছরের তথ্যপঞ্জি তৈরি করেন এবং তা আমাদের সামনে তুলে ধরেন, তাহলে আমরা বিপর্যস্ত বোধ করব লক্ষ করে যে এর মধ্যে কত মেধাবী আর বিশিষ্ট বা সম্ভাবনাময় মানুষের ঠিকানা রয়েছে, জাতীয় জীবনে যাঁদের অনেক কিছু দেওয়ার কথা। এমন অপচয় অবাধে চলতে থাকলে বাংলাদেশে কি একসময় মেধার ঘাটতি দেখা দেবে? যে হারে ঘটনা ঘটছে, তাতে এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।
এই তো কিছুদিন আগে মিরসরাইয়ে ৪১ স্কুলছাত্রকে নিছক চালকের অবহেলায় ও খেয়ালখুশিতে প্রাণ দিতে হলো। এ দুর্ঘটনা সমাজে প্রবল আলোড়ন তুলল। শিক্ষামন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী অকুস্থলে ছুটে গেছেন, সান্ত্বনা দিয়েছেন শোকার্ত পরিবারগুলোকে। প্রতিকারের আশ্বাস দিয়েছেন। গেছেন বিরোধীদলীয় নেতাও। এত বড় ঘটনা বলে কথা। চালক ধরা পড়েছে ঠিকই। কিন্তু তারপর? তারপর নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তদন্ত হবে, চার্জশিট দেওয়া হবে (তা যেমনই হোক), আদালতে শুনানি চলবে। এবং চলতে থাকবে। সময়ের ধারায় সেসব ভেসে চলে যাবে।
সে জন্যই মিরসরাইর ঘটনা উপলক্ষে সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বন্ধুদের উদ্দেশে লিখেছিলাম, যাতে তারা এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ধারাবাহিকতা তাদের অনুসন্ধানে রাখেন, কাগজে প্রকাশ করেন। তাতে পাঠক ঘটনার পরিণতি জানতে পারবেন। তার চেয়ে বড় কথা, এর ফলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হতে থাকবে, যা সামাজিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই জরুরি। কিন্তু এ জাতীয় 'কেস'গুলোর 'ফলোআপ' খুব একটা দেখা যায় না। তাই মনে হয়, এসব লেখা যেমন পাঠক মনে সামান্যই প্রভাব ফেলে, তেমনি দাগ কাটে না সাংবাদিকের চেতনায় বা সংবাদপত্রের নীতিতে।
তাই জানতে পারছি না, এতগুলো মৃত্যুর বদলে সুবিচার পাওয়া গেল। জানতে পারছি না সেই ঘাতক চালকের কী হলো, যার হেলাফেলার কারণে এতগুলো 'প্রাণ হলো বলিদান'। মনে পড়ছে, তখন দুই-একদিন বেশ চড়া সুরে কেউ কেউ টিভিতে কথা বলেছেন, কেউ অপরাধীর চরম শাস্তির কথা বলেছেন সাক্ষাৎকারে, কেউ লিখেছেন একই ধরনের কথা। তবু অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি, ঘটছে না।
এই ভয়াবহ মৃত্যু উপলক্ষে আরো লিখেছিলাম, এসব ক্ষেত্রে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই এ জাতীয় বেপরোয়া আচরণ থামাতে পারে। এক রাষ্ট্রপতি চেষ্টা করেছিলেন দায়িত্বজ্ঞানহীন এসব ঘাতক চালকের জন্য মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা নিতে, তেমন আইন করতে; কিন্তু বাস মালিক ও বাস-ট্রাকচালকদের ধর্মঘটের হুমকিতে সব বানচাল হয়ে গেল, নমনীয় হতে হলো শাসনযন্ত্রকে।
মনে পড়ছে, রীতিনীতির প্রশ্নে চট্টগ্রামের শোকাবহ মৃত্যু উপলক্ষে এক আইনজীবী লিখেছিলেন, আমাদের আইন এমনই যে এসব ক্ষেত্রে এক মৃত্যুর ক্ষেত্রে যে লঘু শাস্তি, চলি্লশ মৃত্যুর সেই একই শাস্তি। এবং তা এত লঘু যে চালক বেপরোয়া হবে না কেন? হক কথা। এর পরও কথা আছে। আমাদের সমাজব্যবস্থা এখনো এ পর্যায়ে যে আইনের ঘোরপ্যাঁচে খুন করেও 'ম্যানেজ' করতে পারলে অব্যাহতি পাওয়া যায়। অথবা লঘু শাস্তিতে পার পাওয়া যায়। তাহলে অবস্থা এমন যে 'আমার মাথা আমি গরম করব, তাতে কার কী?' আর সে গরম করা এ ক্ষেত্রে গাঁজা টেনেই হোক বা অন্য কিছুতে হোক, তাতে কিছু আসে-যায় না।
তাই আমরা লিখেছিলাম, এই কেসের সুরাহা হওয়ার আগেই যেন ঘাতক চালকদের যথাযথ শাস্তিবিধানমূলক আইন পাস হয়, যাতে এ ঘাতককে ওই আইনেই শাস্তির আওতায় আনা যায়। ওই আহ্বান ছিল আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে বিশেষ করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন বিচলিত হয়ে অকুস্থলে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, অর্থাৎ কোনো মায়ের কোল খালি না হয় তা তিনি দেখবেন।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে তৎপর হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে অপচয়ের মৃত্যু তথা হত্যার মিছিল বন্ধ হয়। কেউ যদি মানবিকতার প্রশ্ন তোলেন, তাহলে আমাদের পাল্টা প্রশ্ন : মানবিকতা কি কেবল ঘাতকের জন্য, না নিরপরাধ নিহতের জন্যও? প্রসঙ্গত স্মৃতিধর মানুষের মনে পড়তে পারে, শাহবাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনাকয় মেধাবী ছাত্রছাত্রীর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করার কথা। আমার পুরো ঘটনা মনে নেই, তবে এটুকু মনে আছে, ওইসব মৃত্যুর কারণ ছিল বেপরোয়া গতিতে বাস চালনা।
এর পরও কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যা দুর্ঘটনা হিসেবে কাগজে স্থান পেয়েছে। আসলে ঘটনার চরিত্র বিচারে এসব ঘটনা তথা দুর্ঘটনার অধিকাংশই হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা চলে, প্রচলিত আইন যা-ই বলুক না কেন? এমন সব ঘটনার সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। স্কুলছাত্রদের মৃত্যুর ঘটনা তো এই সেদিনকার। সপ্তাহ কয় যেতে না যেতে আমাদের এমন এক মর্মান্তিক দৃশ্যের সম্মুখীন হতে হলো যে গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গন শোকে স্তব্ধ, মৃত্যুর ছায়ায় আচ্ছন্ন। মনে হয়েছে, গোটা দেশই বুঝি শোকাহত।
মানুষ শোকাহত দুই মেধাবী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের অকালমৃত্যুতে। শহীদ মিনারে বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের যে ঢল দেখা গেছে, তা কেউ ভাবতে পারেননি। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। ওই শোক সমাবেশ এবং টিভি চ্যানেলের মন্তব্যগুলো যদি পর্যালোচনায় আনা যায়, তাহলে তা থেকে আবেগের অংশটুকু ছেঁকে ফেলে দিলে যা দাঁড়ায় তাতেও তাদের অবর্তমানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কিছুটা শূন্যতার কথা অবশ্যই ভাবতে পারি।
কলকাতার ছবিপাড়ায়ও তাই শোক ও বিস্ময়। পরিচালক মৃণাল সেন বলেছেন : 'এ খবর তো বিনা মেঘে বজ্রপাতের সমতুল্য। ভাবতেই পারছি না, তারেক আমাদের মাঝে নেই। বাংলাদেশের তিনিই হলেন সবচেয়ে বড় পরিচালক।' আরো কয়েকজন স্বনামখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেছেন : 'তিনি চলচ্চিত্রে এনেছিলেন নতুন ধারা।' এই নতুন ধারার কথা খাটে 'সম্প্রচার সাংবাদিকতার মেধাবী মুখ মিশুক মুনীর' সম্বন্ধেও। অনেক সম্ভাবনার মৃত্যু হলো এ দুজনের মৃত্যুতে।
আবেগের কথা থাক। কাজের কথায় ফিরে আসি। ওই যে মতামত ও মন্তব্যের কথা বলছিলাম, শহীদ মিনারে ও টিভি চ্যানেলে_সেখানে নানাজন নানা প্রতিকারের ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যেমন_অবিলম্বে রাস্তা মেরামতের কথা, যে সমালোচনায় যোগাযোগমন্ত্রী এখন তোপের মুখে।
রাস্তার দুরবস্থার কথা অনস্বীকার্য। বিরাট বিরাট গর্ত এড়াতে ডানে-বাঁয়ে চলা সত্যই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের এমন বেহাল দশা যে বাস মালিকদেরই পরিবহন ধর্মঘট ডাকার কথা_কদিন ধরে পরিবহন বন্ধ।
তার চেয়েও খারাপ অবস্থা ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের। কাগজে ছবি ছাপা হয়েছিল বিরাট সব গর্তের। ঢাকাইয়াদের ভাষা একটু পাল্টে বলতে হয়, 'দুর্ঘটনা ঘটবে না তো কী ঘটবে?' মন্ত্রী দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন সরকারের ওপর। সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকের প্রশ্ন : 'এই আড়াই বছরে কী করেছেন?' খুবই চাঁছাছোলা প্রশ্ন। জবাবে দায়ী হিসেবে বাজেটের টাকা ছাড়ের ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু তবু আমাদের প্রশ্ন, রাস্তা ভালো হলেই কি দুর্ঘটনা বন্ধ হবে? ট্রাক ও বাসচালকদের অভ্যাস বদলাবে? বেপরোয়া গতিতে বাঁক নেওয়া বন্ধ হবে? যদিও এক বাসযাত্রীর সাক্ষ্যে জানা গেছে, তারেক-মিশুকদের মাইক্রোবাসটা একটু ডান দিক ঘেঁষে চলছিল; কিন্তু অন্য সাক্ষ্যে দেখা যায়, মাইক্রোবাস বেশ ধীরগতিতেই চলছিল। ঘটনার বিবরণ থেকে এটুকু স্পষ্ট যে ঘাতক বাস অতি দ্রুতগতিতে আসছিল এবং একই গতিতে, বলতে হয় বিপজ্জনকভাবে বাঁক নেয়।
এ অবস্থায় তো কখনোই 'স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ' চালকের হাতে থাকে না। থাকে না পাশ কাটার সুযোগ। তখন বিপজ্জনক ঘটনাই ঘটে, যা ঘটেছে এ ক্ষেত্রে। না হলে এভাবে একটা মাইক্রোবাসের অর্ধেকটা দুমড়ে-মুচড়ে যেতে পারে_যে ছবি দেখলে শিউরে উঠতে হয়? সংগত কারণেই লেখক-সাংবাদিক আনিসুল হক প্রতিবাদের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমাদেরও মনে আসছে, দুর্ঘটনাকবলিত সাংবাদিক, আমলা বা অনুরূপ একাধিক ব্যক্তির কথা, ইলিয়াস কাঞ্চন প্রসঙ্গ অবশ্যই স্মর্তব্য।
বলতেই হয়, চালকদের অসতর্ক, বেপরোয়া, দায়িত্বহীন চালনা এবং জীবনের প্রতি বিন্দুমাত্র মমত্বহীন আচরণের কবে অবসান ঘটবে? আর কত মৃত্যুর পর তাদের মানবিকবোধ জাগবে? এবং কবে দায়িত্ববোধ জাগবে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের। জীবনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁরাই পরোক্ষে দায়ী হচ্ছেন নিরাপত্তাহীন মৃত্যুর। প্রত্যক্ষ দায় অবশ্যই কথিত দুর্ঘটনা-সংশ্লিষ্ট চালকের।
আমি আগেও বলেছি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচ্য। এবং বিচার সে হিসেবেই হওয়া উচিত। এই প্রথম শহীদ মিনারে মাসুদ-মিশুক শোক সমাবেশে এক ধীমানকে বলতে শোনা গেল, 'এটা দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড।' বাস্তবিক তা-ই। আর সে জন্যই আলোচ্য ঘটনায় শোকাহত সরকারকে বলি : 'অবিলম্বে ঘাতক চাকলদের অপরাধের সঠিক শাস্তির পক্ষে আইন প্রণয়ন করুন। কয়েকটি চরম শাস্তি অপরাধ-প্রবণতা কমিয়ে আনবে। আর 'জনপথ'কে নিরাপদ জনপথে পরিণত করতে পথের বাঁকগুলোতে ট্রাফিক পোস্ট বসানো বোধ হয় খুবই জরুরি। বিশেষ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, আইন প্রণয়নেরও নাকি নির্দেশ দিয়েছেন। খুব ভালো পদক্ষেপ। তবে আইনে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য চালক প্রত্যক্ষভাবে অপরাধী বিবেচিত হলে, সে ক্ষেত্রে চরম শাস্তির বিধান রাখা জরুরি_তা না হলে জনপথে হত্যার মিছিল বন্ধ হবে না। বাস-ট্রাকচালকদের হাত নিরপরাধ মানুষের রক্তে লাল হতেই থাকবে।
এ কাজটা অর্থাৎ যথাযথ আইন প্রণয়ন যত দ্রুত হয়, ততই ভালো। তবে এ কথাও ঠিক যে আইন প্রণীত হলেই চলবে না, তার স্বচ্ছ প্রয়োগের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। তা না হলে আইন আইনের জায়গায়ই দাঁড়িয়ে থাকবে, তার সাধু উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না।
সবশেষে আরো একটি কথা তারেক-মিশুকের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে। আমাদের মানবিকবোধ কি এতই নেমে গেছে যে দুর্ঘটনাকবলিত কোনো স্থানে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েও কোনো গাড়িচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় না। সব কিছু দেখেও অসহায় মানুষগুলোর জন্য থামতে পারেন না, পারেন না তাদের দিকে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়াতে? না পারলে তো জাতি হিসেবে আমরা ধিকৃত হওয়ার যোগ্য।

লেখক : ভাষাসংগ্রামী, কবি, রবীন্দ্র গবেষক ও প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.