৭ নভেম্বরঃ গভীর জিজ্ঞাসার দিন by ড. মাহবুব উল্লাহ্
আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫-এর এই দিনে আমরা সিপাহী-জনতার এক অভূতপূর্ব ঐক্য ও সংহতির বন্ব্দন লক্ষ্য করেছিলাম। আজন্ম প্রতিবন্ব্দী বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে হায়েনার হিংস্র থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য সেদিন সংঘটিত হয়েছিল সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান। এই দিনটি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে এসেছে, ১৯৭৬-এর ৭ নভেম্বর থেকে কিছু ব্যতিক্রম বাদে প্রায় প্রতি বছর।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা এই দিবসটিকে মসিলিপ্ত করার চেষ্টা করেছে। জাতীয় ছুটির তালিকা থেকে দিনটিকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মইন উ আহমেদের জরুরি সরকারও একই ভূমিকা পালন করেছে। তারাও জাতীয় ছুটির তালিকা থেকে দিনটিকে বাদ দিয়েছিল।৭ নভেম্বর কেউ ষড়যন্ত্র করে ঘটায়নি। ৭ নভেম্বর গোলাবারুদের যে গর্জন ঘটেছিল সেটি ছিল সমগ্র জাতির স্বাধীনতার আকাগ্ধক্ষারই প্রতিধ্বনি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগসল্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে পট-পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে তা কারও দৃষ্টিতে ইতিহাসের চাকা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা ছিল; আবার কেউ কেউ এই দিনটিকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছেন। রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল যখন নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে হওয়ার সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে যায়, তখন রক্তপাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। সেই রক্তপাত হতে পারে অতি মর্মন্তুদ, অতি নির্মম এবং অনাকাগ্ধিক্ষত। তাই যারা দেশ শাসন করেন তাদের ভাবতে হবে ক্ষমতা কারোর মৌরসিপাট্টা নয়। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক মুহূর্তের জন্যও ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখার যে কোনো প্রয়াস শেষ বিচারে আত্মবিনাশী হয়ে দাঁড়ায়। রুমানিয়ার নিকোলাই চসেস্কু ছিলেন লৌহমানব। তার স্ত্রীও লৌহমানবীয় স্তরে উন্নীত হয়েছিলেন। চসেস্কুর মতো একজন শাসককে জনগণের নিরস্ত্র অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার মসনদ থেকে অপসারিত হতে হবে—এমনটি ভাবা যেত না। চসেস্কু রুমানিয়ার পিতৃমাতৃহীন আপনজনদের স্নেহবঞ্চিত, আশ্রয়হীন ক্ষেত্রবিশেষে ঠিকানাহীন তরুণ-যুবাদের নিয়ে ‘সিকিউরিতাতে’ নামে তার প্রতি অপরিসীম আনুগত্য পোষণকারী একটি নিরাপত্তা সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যার কাজ ছিল চসেস্কু ও তার ক্ষমতাকে রক্ষা করা। কিন্তু সবকিছুই বিফলে গেছে। ক্ষমতাচ্যুতির পর চসেস্কুকে গোপন বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারটি ছিল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। সংক্ষিপ্ত বিচারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এবং আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও কথিত বিচারকদের মুখের ওপর কোনো রকম ভয় ডর না করে চসেস্কু বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের কাছে জবাবদিহি করব না। আমাকে জবাবদিহি করতে হলে আমি একমাত্র রুমানিয়ার শ্রমিক শ্রেণীর কাছেই করব।’ চসেস্কুকে ্তুঋরত্রহম ঝয়ঁধফ্থ এ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তারপর তার মৃতদেহ হেলিকপ্টারে করে কৃষ্ণসাগরের অতল জলে নিক্ষেপ করা হয়। রুমানিয়ার মাটিতে চসেস্কুর হাড়গোড়েরও কোনো চিহ্ন নেই। চসেস্কু একজন কঠিন স্বৈরশাসক ছিলেন। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু তিনি একজন স্বাধীনচেতা শাসকও ছিলেন। রুমানিয়ার সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা তিনি করেছিলেন। তিনি নিজে একজন কমিউনিসল্ট হওয়া সত্ত্বেও রুমানিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হতে দেননি। এই আকাগ্ধক্ষা থেকে তিনি গণচীনের সঙ্গে বন্ব্দুত্বের সম্পর্ক গড়েছিলেন। কিন্তু চীনা কমিউনিজমের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিও তিনি গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বুখারেসেল্টর রাজপথে প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে বর্ণাঢ্য অভিনন্দনের আয়োজনও করেছিলেন। অর্থাত্ বৃহত্ শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক রচনা করে রুমানিয়ার সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণম্ন রাখাই ছিল তার নীতি। কিন্তু এরপরও শেষ পর্যন্ত তিনি রুমানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। কারণ তিনি রুমানীয় জনগণের বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার কঠিন হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। রুমানিয়ার ঘটনা আমাদের এই শিক্ষাই দেয়—রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। মুষ্টিমেয় নিরাপত্তা বাহিনীর লোক কিংবা শুধু সামরিক বাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়। অপরদিকে পৃথিবীর কিছু কিছু দেশের শাসকরা মনে করেন, বৈদেশিক শক্তির তাঁবেদারি করে এবং তাদের ছত্রছায়ায় থেকে তাদের পক্ষে মসনদ রক্ষা করা সম্ভব। ইতিহাসের রায় তাদের ব্যাপারেও স্পষ্ট। ফদ্ধান্সের ভিচি সরকার, দক্ষিণ ভিয়েতনামের নগো দিন দিয়েমের সরকার, ইরাকে বাদশাহ ফয়সলের ইঙ্গ-মার্কিন তাঁবেদার সরকার, চিলির মার্কিন তাঁবেদার স্বৈরতান্ত্রিক পিনোশের সরকারসহ অনেক শাসকেরই পরিণতি ভালো হয়নি। এরা প্রায় সবাই যুগপত্ জাতীয় বিশ্বাসঘাতক ও স্বৈরাচারী ছিল। জাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকারী শাসকরা স্বৈরাচারী হতে বাধ্য। কারণ জনগণের প্রতি তাদের আস্থা থাকে না। তারা ভয় পায়, জনগণ তাদের বিশ্বাসঘাতকতার বদলা একদিন নেবেই নেবে। সেই আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা থেকে তারা বেশি বেশি করে স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে ১৯৭৫-এর ২৬ জানুয়ারি মূল সংবিধানের কাঠামো আমূল পরিবর্তন করে যে একদলীয় বাকশালী শাসনের প্রবর্তন করা হয়েছিল, তার মূলে সম্ভবত এই ধরনের অনিরাপত্তাবোধ কাজ করেছিল। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের দেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত গভীর অনুসন্ব্দানমূলক কোনো গবেষণার চেষ্টা করেননি। যদি কখনও সেরকম কোনো গবেষণা হয় তাহলে হয়তো আমরা সত্যের কাছাকাছি পৌঁছতে পারব। ১৯৬৯, ’৭০, ’৭১ কিংবা ’৭২-এ শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়ে অধিকতর জনপ্রিয় কোনো নেতা এই দেশে ছিল না। কিন্তু ’৭২-এর পর থেকেই তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে শুরু করে। তার শাসনামলের নানা কর্মকাণ্ডে একদিকে ফ্যাসিবাদী প্রবণতা এবং অন্যদিকে ২৫ বছর মেয়াদি ভারত-বাংলাদেশ ‘শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা’ চুক্তির আড়ালে কার্যত অধীনতামূলক মিত্রতার চুক্তি তাকে জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। ইতিহাসের নির্মোহ বিশ্লেষণে আগসল্ট ট্র্যাজেডি সম্পর্কে কেউ যদি এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চায় তাহলে এই সিদ্ধান্তকে কতটুকু ভ্রান্ত বলা যাবে?
৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাদপ্রদীপের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। এর আগে ৩ নভেম্বর উচ্চাভিলাষী ক্ষমতালোভী কুচক্রীরা জিয়াকে গৃহবন্দি করেছিল। কিন্তু জিয়া সৈনিকদের মধ্যে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। বাংলাদেশের ঘরে ঘরেও তার নামটি উচ্চারিত হতো। কারণ ইতিহাসের এক সন্ব্দিক্ষণে দিশেহারা জাতির প্রতি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জিয়া পরিণত হয়েছিলেন কিংবদন্তি পুরুষে। এদেশের সাধারণ মানুষও জিয়ার বন্দিদশা মেনে নিতে পারেনি। মানুষের সেই অনুভূতি দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল ৩ থেকে ৭ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার সাধারণ নাগরিকদের শঙ্কাকাতর মুখচ্ছবি দেখে। অনেকেরই প্রশ্ন ছিল—দেশের কী হবে? বাকশালীরা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের মাকে নিয়ে মিছিল করেছে। তাহলে কি আবারও বাকশালী শাসন কায়েম হবে? আবারও কি আমাদের বাকরুদ্ধ করা হবে? আবারও কি ১০ টাকা কেজি চাল খেতে হবে? আবারও কি দুর্ভিক্ষদশায় প্রত্যাবর্তন? আবারও কি ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর পদলেহন? ৬ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যরাতের পর প্রথম প্রহরে ঢাকা সেনানিবাসে কামানের গোলাবর্ষণের মধ্য দিয়ে সিপাহীদের অভ্যুত্থান বাংলাদেশের শঙ্কাকুল মানুষের মুখে দিল নতুন ভাষা, বুকে দিল অসীম সাহস। হৃদয়ে দিল আবারও স্বাধীন আশায় বেঁচে থাকার আকাগ্ধক্ষা। অবসান হলো তাঁবেদারিত্বের অধ্যায়। সূচিত হলো আত্মমর্যাদা নিয়ে সার্বভৌম জাতি হিসেবে জেগে ওঠার নতুন ইতিহাস।
সেদিন জিয়াউর রহমান নিজ থেকে ক্ষমতা চাননি। ঐক্যবদ্ধ সৈনিক-জনতা ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, ‘জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ’ ধ্বনির মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রটিকে আমানত হিসেবে তার হাতে তুলে দিয়েছিল। আমানতের খেয়ানত তিনি করেননি। শাহাদতের শেষ প্রহর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির আকাগ্ধক্ষাকে ঈমানের অংশরূপেই বুকে ধারণ করে বেঁচে ছিলেন। সব সাচ্চা জাতীয়তাবাদী নেতার ক্ষেত্রে আমরা যা ঘটতে দেখেছি, শহীদ জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রেও আমরা তেমনটিই লক্ষ্য করেছি। এক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান প্যাট্রিস লুমুম্বা, আহমদ সুকর্ণ, বেনবেল্লা, এনক্রুমা ও মরিস বিশপদের কাতারে স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু দুঃখ লাগে যখন শুনতে পাই এই দুর্ভাগা দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে এদেশের জাতীয় সংসদেরই কোনো সদস্য বাংলাদেশবিরোধী নীলনকশারই অংশ হিসেবে তাচ্ছিল্যের ভাষায় বলেন—‘জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।’ এ ধরনের ইতিহাস বিকৃতকারী ওই সংসদ সদস্য শুধু নিজেকেই ছোট করেননি, সমগ্র জাতিকে ছোট করে ফেলেছেন। এরকম বালখিল্য উক্তির পর এই সংসদ কতদিন কার্যকর থাকবে সেটাই এখন বস্ল মূল্যবান প্রশ্ন।
বর্তমান সরকার ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন তো করতে চাইছেই না বরং দিবসটিকে নানা ভ্রান্ত এবং কুিসত অভিধায় ক্লেদাক্ত করার প্রয়াসে ব্যস্ত রয়েছে। যে সরকারের মন্ত্রীরা টিপাইমুখ বাঁধে কোনো সমস্যা দেখে না, যে সরকার এশিয়ান হাইওয়ের নামে বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতীয় হাইওয়ে করতে চায়, যে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করে সেখানকার বাংলা ভাষাভাষী নাগরিকদের জীবন পর্যুদস্ত করে তুলতে চায়, যে সরকার চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের শক্তি সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে চায়, যে সরকার দেশের সামরিক ডকট্রিনে সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটাতে চায়—সেই সরকারের কাছে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর যে চরম তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞার বিষয়ে পরিণত হবে তাতে আশ্চর্য বোধ করার কোনো কারণ দেখি না। কিন্তু তারও চেয়ে গভীর যে প্রশ্ন অনেক দেশপ্রেমিকের মনকে আন্দোলিত করে সেটি হল—কী করে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী, যে সামরিক বাহিনীকে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে এদেশের জনগণ ভালোবাসে, সেই সামরিক বাহিনীর মধ্য থেকে জেনারেল নাসিম ও জেনারেল মইনের মতো ব্যক্তিদের অভ্যুদয় ঘটতে পারে? এরা কি তাহলে ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থান যে কুচক্রীদের পরাস্ত করেছিল তাদেরই উত্তরসূরি? তার চেয়েও বড় কথা, ৭ নভেম্বরের গৌরবের এই দেশে কী করে ৭ নভেম্বরের গৌরবকে অস্বীকার করা সম্ভব হচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে আমাদের অবশ্যই রাষ্ট্রতত্ত্বের কাছে ফিরে যেতে হবে। রাষ্ট্রতত্ত্বের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ আমাদের বলে দেয় কীভাবে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় এবং তা টিকে থাকে, কীভাবে একটি প্রতিবন্ব্দী তথা স্যাটেলাইট সেল্টটের জন্ম হয়, কীভাবে নুরি আল মালিকি ও হামিদ কারজাইর মতো লোকেরা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে ঠাঁই পায় এবং কীভাবে সিরাজদ্দৌলারা মীরজাফরদের ষড়যন্ত্রে রাজ্য হারিয়ে খুনি মোহাম্মদী বেগদের হাতে নিহত হয়। রাষ্ট্র গঠনে কোথাও যদি বড় রকমের গলদ থাকে তাহলে সেই গলদের জের জাতিকে বস্লদিন-বস্লবছর ঘানির পশুর মতো কাঁধে বয়ে বেড়াতে হয়।
লেখক : অধ্যাপক, ডেভেলপমেন্ট সল্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments