পদ্মা সেতু- নকশা চূড়ান্ত না করেই ১১৬ কোটি টাকা বিল, অনুসন্ধান করবে দুদক by অনিকা ফারজানা
পদ্মা সেতুর নকশা চূড়ান্ত করার আগেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মনসেল-এইকমকে ১১৬ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চুক্তি অনুযায়ী, এটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কাজ শেষ করার আগেই অর্থ পরিশোধ করে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে— এই অভিযোগে দুদক অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে। অনুসন্ধানের জন্য আলাদা একটি কমিটি করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। প্রকল্পের নির্মাণকাজ তদারক করার দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের। আর মনসেল-এইকম নকশা প্রণয়নের কাজ পায়।
দুদক সূত্র জানায়, তদারকি পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে নকশা প্রণয়ন-সংক্রান্ত বিষয়টি দুদকের গোচরে আসে। সর্বশেষ সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এটি আরও স্পষ্ট হয় বলে সূত্র দাবি করেছে।
পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের জন্য ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে মনসেল-এইকমকে ১১৬ কোটি টাকায় নিয়োগ দেয় সরকার। ২২ মাসের মধ্যে সেতু ও সেতুসংক্রান্ত বিষয়াদির চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করে দেওয়ার চুক্তি হয় মনসেলের সঙ্গে। কিন্তু সরকার প্রকল্পটি অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৬ মাসের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত করার শর্ত দেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ২২ মাসেও চূড়ান্ত নকশা দিতে পারেনি। কিন্তু চুক্তির পুরো ১১৬ কোটি টাকা ২০১০ সালের জুলাই মাসেই উঠিয়ে নিয়ে যায় মনসেল। এরপর বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম নকশা প্রণয়ন খাতে আরও ৭০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। পরামর্শকদের বেতনসহ প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয় প্রকল্প পরিচালকই করে থাকেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া নকশা চূড়ান্ত না করেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে পুরো টাকা কেন দিয়ে দেওয়া হয়েছে, নকশা প্রণয়নে আরও কত দিন লাগবে, কেন এবং এই খাতে কত টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে—এসব বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মামলায় মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া কারাগারে আছেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। প্রকল্পের নির্মাণকাজ তদারক করার দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের। আর মনসেল-এইকম নকশা প্রণয়নের কাজ পায়।
দুদক সূত্র জানায়, তদারকি পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে নকশা প্রণয়ন-সংক্রান্ত বিষয়টি দুদকের গোচরে আসে। সর্বশেষ সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় এটি আরও স্পষ্ট হয় বলে সূত্র দাবি করেছে।
পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের জন্য ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে মনসেল-এইকমকে ১১৬ কোটি টাকায় নিয়োগ দেয় সরকার। ২২ মাসের মধ্যে সেতু ও সেতুসংক্রান্ত বিষয়াদির চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করে দেওয়ার চুক্তি হয় মনসেলের সঙ্গে। কিন্তু সরকার প্রকল্পটি অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৬ মাসের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত করার শর্ত দেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ২২ মাসেও চূড়ান্ত নকশা দিতে পারেনি। কিন্তু চুক্তির পুরো ১১৬ কোটি টাকা ২০১০ সালের জুলাই মাসেই উঠিয়ে নিয়ে যায় মনসেল। এরপর বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম নকশা প্রণয়ন খাতে আরও ৭০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। পরামর্শকদের বেতনসহ প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয় প্রকল্প পরিচালকই করে থাকেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া নকশা চূড়ান্ত না করেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে পুরো টাকা কেন দিয়ে দেওয়া হয়েছে, নকশা প্রণয়নে আরও কত দিন লাগবে, কেন এবং এই খাতে কত টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে—এসব বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মামলায় মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া কারাগারে আছেন।
No comments