সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত- ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মোহাম্মদ আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের (চেয়ারম্যান অনুপস্থিত ছিলেন) ট্রাইব্যুনাল গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল গতকাল। সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল মালুম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বেলা দুইটায় অগ্রগতি প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেবে। সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় প্রয়োজন।
তদন্ত দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামি ইতিমধ্যে প্রায় ছয় মাস কারা হেফাজতে আছেন। দুই মাস সময় দেওয়া হবে না। পরে ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (প্রায় দেড় মাস) সময় দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নির্ধারিত দিনে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ রাখার আরজি জানালে ট্রাইব্যুনাল বলেন, অগ্রগতি প্রতিবেদন নয়, ওই দিন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে।
এ নিয়ে সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের সময় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হলো।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের জন্য আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী গতকাল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন না। সুবহানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় আনা হলেও এজলাসে নেওয়া হয়নি।
পরে বিকেলে জেয়াদ-আল মালুম প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরের দিকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে না থাকায় আসামিপক্ষের অনুলিপিও রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
পাবনা সদর থানার একটি ফৌজদারি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি সুবহানকে গত ২০ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে। ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক রাখার নির্দেশ দেন।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত সংস্থা জানায়, একাত্তরে পাবনায় শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠনে সুবহান নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি প্রথমে পাবনার শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরে সহসভাপতি হন। এ ছাড়া একাত্তরে ইয়াহিয়া সরকারের বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন প্রভৃতি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে।
সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল গতকাল। সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল মালুম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বেলা দুইটায় অগ্রগতি প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেবে। সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় প্রয়োজন।
তদন্ত দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামি ইতিমধ্যে প্রায় ছয় মাস কারা হেফাজতে আছেন। দুই মাস সময় দেওয়া হবে না। পরে ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (প্রায় দেড় মাস) সময় দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নির্ধারিত দিনে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ রাখার আরজি জানালে ট্রাইব্যুনাল বলেন, অগ্রগতি প্রতিবেদন নয়, ওই দিন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে।
এ নিয়ে সুবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের সময় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হলো।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের জন্য আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী গতকাল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন না। সুবহানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় আনা হলেও এজলাসে নেওয়া হয়নি।
পরে বিকেলে জেয়াদ-আল মালুম প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরের দিকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে না থাকায় আসামিপক্ষের অনুলিপিও রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
পাবনা সদর থানার একটি ফৌজদারি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি সুবহানকে গত ২০ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে। ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক রাখার নির্দেশ দেন।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত সংস্থা জানায়, একাত্তরে পাবনায় শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠনে সুবহান নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি প্রথমে পাবনার শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরে সহসভাপতি হন। এ ছাড়া একাত্তরে ইয়াহিয়া সরকারের বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন প্রভৃতি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে।
No comments