এই বাজেট কি নারীবান্ধব? by আয়েশা আক্তার সোনিয়া
বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী নারী। তাদের এড়িয়ে উন্নয়ন আকাশকুসুম কল্পনা। এ দেশের নারীরা শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। এভারেস্টের বুকে নারী আঁকল তার পদচিহ্ন। ক্রমাগত হারে বাড়ছিল নারী উদ্যোক্তা, গ্রামীণ নারীদের স্বনির্ভরতার হার। ঠিক এমন সময় ঘোষিত হলো সরকারের ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট।
কিন্তু এই বাজেটকে কি নারীবান্ধব বলা যায়?
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল নারী নির্যাতন বন্ধে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা। কিন্তু বিগত দিনগুলোতে সে ধরনের দিকনির্দেশনা, কৌশল কিংবা যথাযথ পদক্ষেপ কি পরিলক্ষিত হয়েছে?
নারীদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। নারী শিক্ষায় প্রবৃদ্ধি বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু এর ছিটেফোঁটা পাচ্ছে না সুবিধাবঞ্চিতরা। শিক্ষানীতিতে জেন্ডার বৈষম্য দূর করার নির্দেশনা দেখা গেলেও তা বাস্তবায়নে বরাদ্দ নেই। নারীদের শিক্ষা উপবৃত্তির পরিধি বৃদ্ধি না হলে অর্ধপথে তাদের ঝরে পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে তা রোধকল্পে যাতায়াত ও পরীক্ষার ফি নিশ্চিত করতে বাজেটে বরাদ্দ সহায়ক। একই সঙ্গে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত ছিল কারিগরি প্রশিক্ষণে, যা মেয়েদের স্বনির্ভরশীল করে কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন করবে।
রফতানিমুখী শিল্পে শ্রমজীবী নারীদের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে মাতৃত্বকালীন সেবা নিশ্চিত হচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে সক্রিয় করে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করলে স্বাস্থ্যসেবা কার্যকর করা সম্ভব হতো। এবারের বাজেটে হাইব্রিড প্রযুক্তির উৎকর্ষের নামে নারীকে কৃষি থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা বাড়াতে জেলা পর্যায়ে তাদের ঋণপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে বাজেটে দৃষ্টি দেওয়া হয়নি। শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ঠিক, কিন্তু তা অনানুষ্ঠানিক খাতেই সীমাবদ্ধ।
বৈষম্য দূর করতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। চোখের সামনে এভারেস্ট জয়ের অর্জন তো জ্বলন্ত উদাহরণ। এ দেশের মেয়েরা খেলাধুলায় অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু হতাশার বিষয়, বিগত বছরগুলোতে ২০টি মন্ত্রণালয়ে নারীদের পৃথক বরাদ্দ রাখলেও এর মধ্যে অনুপস্থিত ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মেয়েদের ক্রীড়া বিষয়ক প্রশিক্ষণে বাজেট বরাদ্দ সীমিত রাখা হয়েছে, যা বর্তমান ধারাবাহিকতাকে প্রতিহত করবে বলে মনে হয়।
সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো, সর্বশেষ মোট অর্থ বাজেটে নারীদের ভাগ কতটুকু তা বাজেট বক্তব্যে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এটাকে নারীবান্ধব বাজেট বলা যায়!
সআয়েশা আক্তার সোনিয়া
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল নারী নির্যাতন বন্ধে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা। কিন্তু বিগত দিনগুলোতে সে ধরনের দিকনির্দেশনা, কৌশল কিংবা যথাযথ পদক্ষেপ কি পরিলক্ষিত হয়েছে?
নারীদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। নারী শিক্ষায় প্রবৃদ্ধি বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু এর ছিটেফোঁটা পাচ্ছে না সুবিধাবঞ্চিতরা। শিক্ষানীতিতে জেন্ডার বৈষম্য দূর করার নির্দেশনা দেখা গেলেও তা বাস্তবায়নে বরাদ্দ নেই। নারীদের শিক্ষা উপবৃত্তির পরিধি বৃদ্ধি না হলে অর্ধপথে তাদের ঝরে পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে তা রোধকল্পে যাতায়াত ও পরীক্ষার ফি নিশ্চিত করতে বাজেটে বরাদ্দ সহায়ক। একই সঙ্গে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত ছিল কারিগরি প্রশিক্ষণে, যা মেয়েদের স্বনির্ভরশীল করে কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন করবে।
রফতানিমুখী শিল্পে শ্রমজীবী নারীদের স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে মাতৃত্বকালীন সেবা নিশ্চিত হচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে সক্রিয় করে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করলে স্বাস্থ্যসেবা কার্যকর করা সম্ভব হতো। এবারের বাজেটে হাইব্রিড প্রযুক্তির উৎকর্ষের নামে নারীকে কৃষি থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা বাড়াতে জেলা পর্যায়ে তাদের ঋণপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে বাজেটে দৃষ্টি দেওয়া হয়নি। শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ঠিক, কিন্তু তা অনানুষ্ঠানিক খাতেই সীমাবদ্ধ।
বৈষম্য দূর করতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। চোখের সামনে এভারেস্ট জয়ের অর্জন তো জ্বলন্ত উদাহরণ। এ দেশের মেয়েরা খেলাধুলায় অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু হতাশার বিষয়, বিগত বছরগুলোতে ২০টি মন্ত্রণালয়ে নারীদের পৃথক বরাদ্দ রাখলেও এর মধ্যে অনুপস্থিত ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মেয়েদের ক্রীড়া বিষয়ক প্রশিক্ষণে বাজেট বরাদ্দ সীমিত রাখা হয়েছে, যা বর্তমান ধারাবাহিকতাকে প্রতিহত করবে বলে মনে হয়।
সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো, সর্বশেষ মোট অর্থ বাজেটে নারীদের ভাগ কতটুকু তা বাজেট বক্তব্যে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এটাকে নারীবান্ধব বাজেট বলা যায়!
সআয়েশা আক্তার সোনিয়া
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments