ইডেনে ছাত্রলীগে গ্রুপিং ॥ নেপথ্যে কোটি টাকার ভর্তি ও সিট বাণিজ্য!- চার নেত্রী বহিষ্কার by রিয়াদুল করিম
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে
উত্তেজনার মূলে রয়েছে কোটি টাকার ভর্তি ও সিট বাণিজ্য। কলেজ শাখার সভাপতি
নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক তানিয়া কেন্দ্রীয় সভাপতির ছত্রছায়ায় নিয়ন্ত্রণ করে
আসছেন এ বাণিজ্য।
অন্য পদধারী নেত্রীরা বঞ্ছিত হওয়ায় তাদের বিদ্রোহে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল।
এদিকে ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া
পাল্টাধাওয়ার ঘটনার একদিন পর কলেজ শাখার চার নেত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার
করা হয়েছে। তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাণিজ্যের বিরুদ্ধে মুখ
খুলেছিলেন। বহিষ্কৃতরা এ বহিষ্কারাদেশ অবৈধ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তারা
বাণিজ্যের কথা ফাঁস করে দেয়ায় এবং কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন যে
ভাগ পান তা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে সভাপতির একক
সিদ্ধান্তে।
ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শামীমা ওরফে নিঝুম ১৯৯৭-৯৮ শিাবর্ষে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হন। তাঁর ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। জেসমিন শামীমা ওরফে নিঝুম এবং সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন ওরফে তানিয়া ১৯৯৯-২০০০ সালে মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তাঁরও পড়াশোনা শেষ হয়েছে।
ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি মতায় থাকাকালে তারা সেভাবে কলেজের রাজনীতিতে ছিলেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ মতায় আসার পর থেকে ভর্তি বাণিজ্য ও হলে সিট বাণিজ্য করছেন নিঝুম ও তানিয়া।
ইংরেজী বিভাগের এক ছাত্রী ও তার ভাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে জানান, নিঝুমের অনুসারী খোদেজা খাতুন হলের নেত্রী রোমানার মাধ্যমে হলে ওঠেন। এ জন্য তাঁকে দিতে হয়েছে দশ হাজার টাকা। টাকা নেয়ার সময় তাকে জানানো হয় এ দশ হাজার টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা কলেজ সভাপতি নিঝুমের জন্য এবং বাকি টাকা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির জন্য। পরে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে হলে ওঠেন ওই ছাত্রী। তবে ১৬ জনের গণরম্নমে। থাকতে না পেরে তিনি সেখান থেকে চলে যান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কৰে যতজন ওঠেছেন তাদের সবাই টাকার বিনিময়েই হলে উঠেছেন। প্রথম বর্ষের একাধিক ছাত্রী টাকার বিনিময়ে হলে ওঠার কথা জনকণ্ঠের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেছেন।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গত বছর টাকার বিনিময়ে এক হাজার এবং এবার প্রায় সাত শ' ছাত্রী ভর্তি করেছেন তাঁরা। এ বছর প্রত্যেক ছাত্রীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। শুধু ভর্তি বাণিজ্য করেই তারা প্রায় দুই কোটি টাকা আয় করেছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিকে তাঁরা ১০ লাখ টাকা করে দিয়েছেন বলে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানিয়েছেন।
ইডেন কলেজের পাঁচটি হল রয়েছে। ছাত্রীরা জানান, প্রতিটি হলেই দু'জনের পাঁচটি করে ১০ টি ক রয়েছে। প্রতিটি ক ে২০ থেকে থেকে ২৫ জন করে মেয়ে থাকেন। হলে উঠানোর সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয় বর্তমান কমিটির দুই শীর্ষ নেত্রী।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে খোদেজা বেগম হলের ৩০৩, ৩০৫, ৩১৪, হাসনা বেগম হলের ২০৩, ২১৫, ৩১৪, ৩০৪, আয়েশা সিদ্দিকা হলের ৪১৪, ২০৬, ৩১৩, ২০১০, ৪১৯, জেবুন্নেছা হলের ২০২, ২০৮, ৩০৮, রাজিয়া হলের ১১০, ২১০, ২১১, ২০৯ এবং ৩০৮ নম্বর করে নিয়ন্ত্রন করছেন এই দুই নেত্রী।
এসব ক েথাকা একাধিক ছাত্রী জানান, তাঁদের হলে উঠানোর সময় সাত থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। টাকা দিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তারা বলেন, টাকা না দিলে তাঁরা হলে উঠতে পারতেন না। ঢাকায় থাকারও জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা হলে উঠেছেন।
সূত্র জানায়, সিট বাণিজ্যের পাশাপাশি তাঁরা করেছেন ভর্তি বাণিজ্য। সরাসরি ভর্তি করাতে না পারলেও প্রায় সাত শ' ছাত্রীকে বিভাগ পরিবর্তন করিয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। এর জন্য ১০ থেকে ৫০ হাজর টাকা পর্যনত্ম প্রতিজনের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের ইডেন কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা বলেন, কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, সিট নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরম্ন করে এমন কোন অপরাধ নেই যার সঙ্গে নিঝুম জড়িত নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও তাঁরা উল্টো অভিযোগকারীদের বকাঝকা করেন। একই অভিযোগ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক তানিয়া সুলতানা ও সহসম্পাদক কানিজ ফাতেমা।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে নিঝুমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চার নেত্রীকে বহিষ্কার ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের চার নেত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কলেজ শাখার সহসভাপতি চম্পা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা ও তানিয়া সুলতানা এবং সহসম্পাদক কানিজ ফাতেমা।
বহিষ্কৃতদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান গঠনতন্ত্র না মেনে এককভাবে এই সিদ্ধানত্ম নিয়েছেন। এর ফলে ইডেনের সঙ্কট আরও প্রকট হবে। তাঁরা জানান, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইডেনের সভাপতির কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছেন। এসব কারণেই তিনি মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি না ভেঙ্গে প্রতিবাদকারীদের বহিষ্কার করলেন।
তবে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এ পদপে নেয়া হয়েছে। ইডেন কলেজে শানত্মিশৃঙ্খলা রায় কলেজ কর্তৃপ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা গত শুক্রবার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শারমিন ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিনের অন্যায়ের বিরম্নদ্ধে বিােভ করেছিলেন।
ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শামীমা ওরফে নিঝুম ১৯৯৭-৯৮ শিাবর্ষে ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হন। তাঁর ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। জেসমিন শামীমা ওরফে নিঝুম এবং সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন ওরফে তানিয়া ১৯৯৯-২০০০ সালে মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তাঁরও পড়াশোনা শেষ হয়েছে।
ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি মতায় থাকাকালে তারা সেভাবে কলেজের রাজনীতিতে ছিলেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ মতায় আসার পর থেকে ভর্তি বাণিজ্য ও হলে সিট বাণিজ্য করছেন নিঝুম ও তানিয়া।
ইংরেজী বিভাগের এক ছাত্রী ও তার ভাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে জানান, নিঝুমের অনুসারী খোদেজা খাতুন হলের নেত্রী রোমানার মাধ্যমে হলে ওঠেন। এ জন্য তাঁকে দিতে হয়েছে দশ হাজার টাকা। টাকা নেয়ার সময় তাকে জানানো হয় এ দশ হাজার টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা কলেজ সভাপতি নিঝুমের জন্য এবং বাকি টাকা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির জন্য। পরে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে হলে ওঠেন ওই ছাত্রী। তবে ১৬ জনের গণরম্নমে। থাকতে না পেরে তিনি সেখান থেকে চলে যান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কৰে যতজন ওঠেছেন তাদের সবাই টাকার বিনিময়েই হলে উঠেছেন। প্রথম বর্ষের একাধিক ছাত্রী টাকার বিনিময়ে হলে ওঠার কথা জনকণ্ঠের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেছেন।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গত বছর টাকার বিনিময়ে এক হাজার এবং এবার প্রায় সাত শ' ছাত্রী ভর্তি করেছেন তাঁরা। এ বছর প্রত্যেক ছাত্রীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। শুধু ভর্তি বাণিজ্য করেই তারা প্রায় দুই কোটি টাকা আয় করেছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিকে তাঁরা ১০ লাখ টাকা করে দিয়েছেন বলে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানিয়েছেন।
ইডেন কলেজের পাঁচটি হল রয়েছে। ছাত্রীরা জানান, প্রতিটি হলেই দু'জনের পাঁচটি করে ১০ টি ক রয়েছে। প্রতিটি ক ে২০ থেকে থেকে ২৫ জন করে মেয়ে থাকেন। হলে উঠানোর সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয় বর্তমান কমিটির দুই শীর্ষ নেত্রী।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে খোদেজা বেগম হলের ৩০৩, ৩০৫, ৩১৪, হাসনা বেগম হলের ২০৩, ২১৫, ৩১৪, ৩০৪, আয়েশা সিদ্দিকা হলের ৪১৪, ২০৬, ৩১৩, ২০১০, ৪১৯, জেবুন্নেছা হলের ২০২, ২০৮, ৩০৮, রাজিয়া হলের ১১০, ২১০, ২১১, ২০৯ এবং ৩০৮ নম্বর করে নিয়ন্ত্রন করছেন এই দুই নেত্রী।
এসব ক েথাকা একাধিক ছাত্রী জানান, তাঁদের হলে উঠানোর সময় সাত থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। টাকা দিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তারা বলেন, টাকা না দিলে তাঁরা হলে উঠতে পারতেন না। ঢাকায় থাকারও জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা হলে উঠেছেন।
সূত্র জানায়, সিট বাণিজ্যের পাশাপাশি তাঁরা করেছেন ভর্তি বাণিজ্য। সরাসরি ভর্তি করাতে না পারলেও প্রায় সাত শ' ছাত্রীকে বিভাগ পরিবর্তন করিয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। এর জন্য ১০ থেকে ৫০ হাজর টাকা পর্যনত্ম প্রতিজনের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের ইডেন কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা বলেন, কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, সিট নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরম্ন করে এমন কোন অপরাধ নেই যার সঙ্গে নিঝুম জড়িত নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও তাঁরা উল্টো অভিযোগকারীদের বকাঝকা করেন। একই অভিযোগ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক তানিয়া সুলতানা ও সহসম্পাদক কানিজ ফাতেমা।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে নিঝুমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চার নেত্রীকে বহিষ্কার ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের চার নেত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কলেজ শাখার সহসভাপতি চম্পা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা ও তানিয়া সুলতানা এবং সহসম্পাদক কানিজ ফাতেমা।
বহিষ্কৃতদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান গঠনতন্ত্র না মেনে এককভাবে এই সিদ্ধানত্ম নিয়েছেন। এর ফলে ইডেনের সঙ্কট আরও প্রকট হবে। তাঁরা জানান, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইডেনের সভাপতির কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছেন। এসব কারণেই তিনি মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি না ভেঙ্গে প্রতিবাদকারীদের বহিষ্কার করলেন।
তবে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এ পদপে নেয়া হয়েছে। ইডেন কলেজে শানত্মিশৃঙ্খলা রায় কলেজ কর্তৃপ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা গত শুক্রবার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন শারমিন ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিনের অন্যায়ের বিরম্নদ্ধে বিােভ করেছিলেন।
No comments