ভবন নির্মাণে রাজউকের বিধান উপেক্ষিত by মোছাব্বের হোসেন
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নগরে
নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণসংক্রান্ত দরকারি তথ্য দেওয়ার বিধান
করলেও তা মানা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে রাজউকের তদারকিও যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ
উঠেছে।
ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত
করার জন্য ২০১১ সালে এক সমন্বয় সভায় রাজউকের পক্ষ থেকে নির্মাণাধীন ভবনের
সামনে বিভিন্ন দরকারি তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর
সঙ্গে ভবন নির্মাণের সময় যেসব তথ্য সাইনবোর্ডে লিখতে হবে, তার একটি নমুনা
ফরমও সরবরাহ করে রাজউক। রাজউকের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ কামরুল হাসান
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নমুনা ফরম থেকে জানা গেছে, সাইনবোর্ডে রাজউকের নির্মাণ অনুমোদন স্মারক নম্বর, মালিক ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, স্থপতির নাম ও নিবন্ধন নম্বর, জমির অবস্থান ও দাগ নম্বর দিতে হবে। এ ছাড়া প্লট, এলাকা, মৌজা, বেজমেন্ট সংখ্যা, মোট তলার সংখ্যা, প্রতি তলার আয়তন, কাজ আরম্ভ ও শেষ হওয়ার তারিখ প্রভৃতি তথ্য লেখার বিধান রয়েছে। এসব তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড নির্মাণকাজ শুরুর সাত দিন আগে দিতে হবে বলে নির্দেশপত্রে বলা আছে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, দরকারি তথ্যসংবলিত এই সাইনবোর্ড কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, আবার কেউ কেউ দেয়নি। অনেক স্থানে ভবনের সামনে সাইনবোর্ড থাকলেও তাতে প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। এই চিত্র সবচেয়ে বেশি দেখা গেল পুরান ঢাকায়।
ইমামগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন নূরানী সেন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে জায়গা (পজেশন) বিক্রি ও বরাদ্দের বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাইনবোর্ডে ভবন নির্মাণবিষয়ক তথ্য অনুপস্থিত। এ ব্যাপারে নূরানী সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. আমিনুল বলেন, তাঁরা এ ধরনের সাইনবোর্ড দিয়েছিলেন। তবে সেটি এখন খুলে ফেলেছেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করে, শুরু থেকেই সেখানে কোনো সাইনবোর্ড ছিল না।
সূত্রাপুরের মনির হোসেন লেনে বিল্ডিং ফর ফিউচার লিমিটেড দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। ‘স্বর্ণচাপা’ নামের বহুতল ভবনের সামনে তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড থাকলেও তার উল্টো দিকে নির্মাণাধীন ‘নীল নিশীন্দা’য় কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা, ওয়ারী, ইসলামপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাইনবোর্ড না থাকা বা ত্রুটি থাকার কারণে এ পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের আগে ভবনের সামনে সাইনবোর্ড না দেওয়া একধরনের প্রতারণা। এর জন্য রাজউক সেই ভবন নির্মাণকারীর নকশা বাতিলসহ জরিমানা করতে পারে। কিন্তু তারা এটি যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করছে না।
জানতে চাইলে রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এই অপরাধ করছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে সাইনবোর্ড টাঙাতে বাধ্য করা হবে।
নমুনা ফরম থেকে জানা গেছে, সাইনবোর্ডে রাজউকের নির্মাণ অনুমোদন স্মারক নম্বর, মালিক ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, স্থপতির নাম ও নিবন্ধন নম্বর, জমির অবস্থান ও দাগ নম্বর দিতে হবে। এ ছাড়া প্লট, এলাকা, মৌজা, বেজমেন্ট সংখ্যা, মোট তলার সংখ্যা, প্রতি তলার আয়তন, কাজ আরম্ভ ও শেষ হওয়ার তারিখ প্রভৃতি তথ্য লেখার বিধান রয়েছে। এসব তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড নির্মাণকাজ শুরুর সাত দিন আগে দিতে হবে বলে নির্দেশপত্রে বলা আছে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, দরকারি তথ্যসংবলিত এই সাইনবোর্ড কোনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দিয়েছে, আবার কেউ কেউ দেয়নি। অনেক স্থানে ভবনের সামনে সাইনবোর্ড থাকলেও তাতে প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। এই চিত্র সবচেয়ে বেশি দেখা গেল পুরান ঢাকায়।
ইমামগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন নূরানী সেন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে জায়গা (পজেশন) বিক্রি ও বরাদ্দের বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাইনবোর্ডে ভবন নির্মাণবিষয়ক তথ্য অনুপস্থিত। এ ব্যাপারে নূরানী সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. আমিনুল বলেন, তাঁরা এ ধরনের সাইনবোর্ড দিয়েছিলেন। তবে সেটি এখন খুলে ফেলেছেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করে, শুরু থেকেই সেখানে কোনো সাইনবোর্ড ছিল না।
সূত্রাপুরের মনির হোসেন লেনে বিল্ডিং ফর ফিউচার লিমিটেড দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। ‘স্বর্ণচাপা’ নামের বহুতল ভবনের সামনে তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড থাকলেও তার উল্টো দিকে নির্মাণাধীন ‘নীল নিশীন্দা’য় কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা, ওয়ারী, ইসলামপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাইনবোর্ড না থাকা বা ত্রুটি থাকার কারণে এ পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের আগে ভবনের সামনে সাইনবোর্ড না দেওয়া একধরনের প্রতারণা। এর জন্য রাজউক সেই ভবন নির্মাণকারীর নকশা বাতিলসহ জরিমানা করতে পারে। কিন্তু তারা এটি যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করছে না।
জানতে চাইলে রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এই অপরাধ করছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে সাইনবোর্ড টাঙাতে বাধ্য করা হবে।
No comments