পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ॥ সমঝোতার শেষ চেষ্টা- ০ আজ গওহর রিজভী যাচ্ছেন ওয়াশিংটন- ০ ড. মসিউর পদ ছাড়ছেন না- ০ বিকল্প অর্থায়নের সন্ধানে নেমেছেন অর্থমন্ত্রী by হামিদ-উজ-জামান মামুন
পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার শেষ চেষ্টা করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আজ রবিবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিমসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। তবে অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানকে
ছুটিতে না পাঠিয়ে তিনি ঋণচুক্তি বাতিলের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার চেষ্টা চালাবেন বলে জানা গেছে। শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অনড় অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত এ চেষ্টায় কতটুকু সফলতা আসবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। অন্যদিকে দাতাদের অর্থায়নে অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রী আবারও বিকল্প অর্থায়নের সন্ধানে নেমেছেন। চীন সফরের সময় তিনি সেদেশের অর্থমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি সূত্র জনকণ্ঠকে জানায়, শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাংক। শর্ত পূরণ না করেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করে অনুরোধ জানালে হালে কতটুকু পানি মিলবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু চেষ্টা চালাতে তো আর ক্ষতি নেই। পাশাপাশি ড. গওহর রিজভী এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি এ্যালেন গোল্ডস্টেইনকে সবসময়ই ব্যাপক আশাবাদী হতে দেখা গেছে।
এর আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে ড. গওহর রিজভী বলেছিলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। শীঘ্রই সমঝোতা হবে। তাছাড়া ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন আমাদের পক্ষে বিশ্বব্যাংকে দেনদরবার করছে। পাকিস্তানও আমাদের পক্ষে। কূটনৈতিক বিরাট সাপোর্ট আমরা যোগাড় করেছি। আমাদের সেতু হবেই।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। চীনের তিয়ানজিনে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে চীন সফরে গেছেন অর্থমন্ত্রী। ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সভা হয়। বৈঠকে অংশ নেয়ার পাশাপাশি আবুল মাল আবদুল মুহিত পদ্মা সেতুর বিষয়টি নিয়েও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শুক্রবার চীনের অর্থমন্ত্রী জি জুরেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্প বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি চীনের এক্রিম ব্যাংক এবং এর আগে এই সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেয়া কনসোর্টিয়ামের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চায়নিজ কনসোর্টিয়াম ইন অস্ট্রেলিয়া বিল্ড-ওন-ট্রান্সফার (বিওটি) পদ্ধতিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এতে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কেননা আশা করা হয়েছিল চীন সরকারের কাছ থেকে কোন প্রস্তাব পাওয়ার। শেষ পর্যন্ত তা না হওয়া এবং দাতাদের অর্থায়নের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় চীনের সঙ্গে পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে আলোকেই অর্থমন্ত্রী চীন সফরে গিয়ে পদ্মা সেতুর জন্য বিকল্প অর্থায়ন সন্ধান করছেন।
সূত্র জানায়, চীনের ওই কনসোর্টিয়ামটি রেলসহ চার লেনের পরিবর্তে ৬ লেনের সড়ক সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া সেতু নির্মাণে তাদের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ বা ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে কনসোর্টিয়াম। বাংলাদেশকে বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে হবে। তিন বছরের মধ্যে তারা এ সেতু নির্মাণ করবে। বিনিয়োগের এ অর্থ কনসোর্টিয়ামকে আগামী ২০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া এ ঋণ পেতে সরকারকে বিভিন্ন গ্যারান্টি দিতে হবে এবং সেসব পূরণে দায়িত্ব নিতে হবে। তদারকি ও দেখভালের জন্য বাংলাদেশ কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিতে চাইলে কোন আপত্তি করবে না কনসোর্টিয়াম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বলছে, বিভিন্ন দেশের চাপে কাজ হবে কি না সেটি বলা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে। এই সমর্থন দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় কাজে আসবে।
সূত্র জানায়, গত বুধবার জাতীয় সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ড. মসিউর রহমানের পদত্যাগের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, যে কোনভাবেই হোক মূল সেতুর নির্মাণ কাজ অবশ্যই শুরু করা হবে। সেক্ষেত্রে দাতাদের অর্থ না পেলে নিজস্ব অর্থায়নে করতে হলে রেললাইন ছাড়াই পদ্মায় সেতু নির্মাণ করা হবে। মালয়েশিয়াসহ বিকল্প অর্থায়নের প্রস্তাব বিষয়ে তিনি বলেন, যে প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য, ব্যয় সাশ্রয়মূলক ও দ্রুত হবে সেটিই গ্রহণ করা হবে। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এ সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন সংক্রান্ত ঋণচুক্তি যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত হয়নি। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। বিশ্বব্যাংক তদন্ত করেও এতে কোন দুর্নীতি পায়নি। যেখানে খরচ করা টাকার কোন দুর্নীতি হলো না, সেখানে যে টাকা ছাড়ই হয়নি সেই টাকায় দুর্নীতি হয় কিভাবে?
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সেতুর নকশা পরিবর্তনের কথা বললেও পদ্মা সেতু নিয়ে দাতাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়সীমার মধ্য থেকে অনুমোদিত ডিজাইন এবং কাঠামো অনুযায়ী এই সেতুর কাজ শুরুর কথাও বলা হয়েছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় এসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট বাস্তবায়নের সম্ভাব্য নীতিকৌশল ও করণীয় সম্পর্কে এটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত সারসংক্ষেপের সুপারিশগুলো অবগতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৭ আগস্ট সরকারী বিভিন্ন দফতরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে বর্তমান প্রেক্ষিতে সরকারের অগ্রাধিকার ঠিক করা উচিত। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত পদ্মা সেতুসহ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে আগামী তিন বছর সম্পদ আহরণ করা দরকার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি সূত্র জনকণ্ঠকে জানায়, শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাংক। শর্ত পূরণ না করেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করে অনুরোধ জানালে হালে কতটুকু পানি মিলবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু চেষ্টা চালাতে তো আর ক্ষতি নেই। পাশাপাশি ড. গওহর রিজভী এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি এ্যালেন গোল্ডস্টেইনকে সবসময়ই ব্যাপক আশাবাদী হতে দেখা গেছে।
এর আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে ড. গওহর রিজভী বলেছিলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। শীঘ্রই সমঝোতা হবে। তাছাড়া ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন আমাদের পক্ষে বিশ্বব্যাংকে দেনদরবার করছে। পাকিস্তানও আমাদের পক্ষে। কূটনৈতিক বিরাট সাপোর্ট আমরা যোগাড় করেছি। আমাদের সেতু হবেই।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। চীনের তিয়ানজিনে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে চীন সফরে গেছেন অর্থমন্ত্রী। ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সভা হয়। বৈঠকে অংশ নেয়ার পাশাপাশি আবুল মাল আবদুল মুহিত পদ্মা সেতুর বিষয়টি নিয়েও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শুক্রবার চীনের অর্থমন্ত্রী জি জুরেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্প বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি চীনের এক্রিম ব্যাংক এবং এর আগে এই সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেয়া কনসোর্টিয়ামের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চায়নিজ কনসোর্টিয়াম ইন অস্ট্রেলিয়া বিল্ড-ওন-ট্রান্সফার (বিওটি) পদ্ধতিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এতে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কেননা আশা করা হয়েছিল চীন সরকারের কাছ থেকে কোন প্রস্তাব পাওয়ার। শেষ পর্যন্ত তা না হওয়া এবং দাতাদের অর্থায়নের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় চীনের সঙ্গে পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে আলোকেই অর্থমন্ত্রী চীন সফরে গিয়ে পদ্মা সেতুর জন্য বিকল্প অর্থায়ন সন্ধান করছেন।
সূত্র জানায়, চীনের ওই কনসোর্টিয়ামটি রেলসহ চার লেনের পরিবর্তে ৬ লেনের সড়ক সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া সেতু নির্মাণে তাদের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ বা ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে কনসোর্টিয়াম। বাংলাদেশকে বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে হবে। তিন বছরের মধ্যে তারা এ সেতু নির্মাণ করবে। বিনিয়োগের এ অর্থ কনসোর্টিয়ামকে আগামী ২০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া এ ঋণ পেতে সরকারকে বিভিন্ন গ্যারান্টি দিতে হবে এবং সেসব পূরণে দায়িত্ব নিতে হবে। তদারকি ও দেখভালের জন্য বাংলাদেশ কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিতে চাইলে কোন আপত্তি করবে না কনসোর্টিয়াম।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বলছে, বিভিন্ন দেশের চাপে কাজ হবে কি না সেটি বলা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে। এই সমর্থন দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় কাজে আসবে।
সূত্র জানায়, গত বুধবার জাতীয় সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ড. মসিউর রহমানের পদত্যাগের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, যে কোনভাবেই হোক মূল সেতুর নির্মাণ কাজ অবশ্যই শুরু করা হবে। সেক্ষেত্রে দাতাদের অর্থ না পেলে নিজস্ব অর্থায়নে করতে হলে রেললাইন ছাড়াই পদ্মায় সেতু নির্মাণ করা হবে। মালয়েশিয়াসহ বিকল্প অর্থায়নের প্রস্তাব বিষয়ে তিনি বলেন, যে প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য, ব্যয় সাশ্রয়মূলক ও দ্রুত হবে সেটিই গ্রহণ করা হবে। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এ সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন সংক্রান্ত ঋণচুক্তি যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত হয়নি। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। বিশ্বব্যাংক তদন্ত করেও এতে কোন দুর্নীতি পায়নি। যেখানে খরচ করা টাকার কোন দুর্নীতি হলো না, সেখানে যে টাকা ছাড়ই হয়নি সেই টাকায় দুর্নীতি হয় কিভাবে?
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সেতুর নকশা পরিবর্তনের কথা বললেও পদ্মা সেতু নিয়ে দাতাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়সীমার মধ্য থেকে অনুমোদিত ডিজাইন এবং কাঠামো অনুযায়ী এই সেতুর কাজ শুরুর কথাও বলা হয়েছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় এসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট বাস্তবায়নের সম্ভাব্য নীতিকৌশল ও করণীয় সম্পর্কে এটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত সারসংক্ষেপের সুপারিশগুলো অবগতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৭ আগস্ট সরকারী বিভিন্ন দফতরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে বর্তমান প্রেক্ষিতে সরকারের অগ্রাধিকার ঠিক করা উচিত। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত পদ্মা সেতুসহ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে আগামী তিন বছর সম্পদ আহরণ করা দরকার।
No comments