বোয়িংয়ে সাজছে বিমানবহর by বিপ্লব রহমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক রুট পুনর্বিন্যাস হচ্ছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল নাগাদ বহরে যোগ হচ্ছে সদ্য কেনা দুটি বোয়িং-৭৭৭। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম ও চীনে চালু হচ্ছে নতুন ফ্লাইট। সাত বছর ধরে বন্ধ থাকা নিউ ইয়র্ক ফ্লাইটও শুরুর আশা কর্তৃপক্ষের।
সর্বোপরি বিমানের পুরো বহরকে অত্যাধুনিক বোয়িং দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিমান সূত্রে জানা যায়, দুটি বোয়িং কেনা বাবদ যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিটিকে আগাম এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইনসটিতে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ দুটি বোয়িং যোগ হওয়ার পর পরই আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী রুটগুলো পুনর্বিন্যাস করা হবে। সাত বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালুর পাশাপাশি ইউরোপ ও দূরপ্রাচ্যের নতুন কয়েকটি দেশেও ডানা মেলার পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া লোকসানি পাঁচটি রুটের মধ্যে আঞ্চলিক রুটগুলো আবারও নতুন পরিকল্পনায় পুনর্বিন্যাস করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।
বিমানের প্রাথমিক পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন-পুরনো মিলিয়ে মোট সাতটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা। পাশাপাশি পুরো উড়োজাহাজ বহরকে জ্বালানি সাশ্রয়ী নতুন প্রজন্মের বোয়িং দিয়ে সাজিয়ে ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ বাদ দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিমানের বহর থেকে ডিসি-১০ উড়োজাহাজগুলোকে একে একে বাদ দেওয়া হবে।
বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ইরশাদ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, অব্যাহত লোকসানের কারণে ম্যানচেস্টার, মিলান, দিল্লি, করাচি ও হংকং ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখার পর বিমানের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনর্বিন্যাস করা হবে। নতুন দুটি বোয়িং-৭৭৭ যোগ হলে এই কাজ অনেকটা সহজ হবে।
ক্যাপ্টেন ইরশাদ জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের খসড়া চুক্তি হওয়ায় সে দেশে বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুর প্রাথমিক বাধা দূর হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের মান ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হলে আগামী বছর নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালাতে কোনো বাধা থাকবে না। এ ছাড়া কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও ভিয়েতনামে নতুন চারটি রুটে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। লাভজনক হলে সংযোগ ফ্লাইটসহ দিল্লি ও করাচি ফ্লাইট আবার চালুর বিষয়টিও সক্রিয়ভাবে ভাবা হচ্ছে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক খান মোশাররফ হোসেন জানান, বোয়িং কম্পানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী নতুন কেনা বোয়িং দুটি গত অক্টোবর-নভেম্বরে আসার কথা ছিল। নানা কারণে এই সময় কিছুটা পিছিয়েছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল নাগাদ এগুলো এসে পৌঁছবে।
জানা গেছে, বিমানের বহরকে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি সাশ্রয়ী বোয়িং দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়া হবে নিজস্ব চারটি পুরনো ডিসি-১০। যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনেল ডগলাস ১৯৮৯ সাল থেকে ডিসি-১০ উড়োজাহাজ নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে। সর্বোচ্চ ৩৮০ আসনের ডিসি-১০-এর খুচরা যন্ত্রাংশও আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায় না। যাত্রী নিরাপত্তার বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই উড়োজাহাজ অবতরণে বিধি-নিষেধ রয়েছে।
সূত্র মতে, বিমানের বহরে চারটি ডিসি-১০, দুটি বোয়িং-৭৭৭, দুটি বোয়িং-৭৩৭, তিনটি এয়ারবাস মিলিয়ে মোট ১১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এগুলো দিয়ে তিনটি অভ্যন্তরীণ ও ১৫টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালানো হচ্ছে। ডিসি-১০ উড়োজাহাজগুলো ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরনো। ছোটখাট যান্ত্রিক ক্রটির কারণে এগুলো দিয়ে ফ্লাইট সূচি ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া পুরনো হওয়ায় এগুলোর জ্বালানি খরচও বেশি। ফলে লোকসানের মাত্রা বাড়ছে।
সূত্রে জানা যায়, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রথমে চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং চারটি ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজ কেনার জন্য বোয়িং কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে আরো দুটি ৭৩৭ বোয়িংসহ মোট ১০টি উড়োজাহাজ সরবরাহের জন্য চূড়ান্ত চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং কম্পানি উড়োজাহাজগুলো বিভিন্ন ধাপে ২০১১ সাল থেকে শুরু করে ২০২৯ সালের মধ্যে সরবরাহ করবে। ২০১১ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বিমানের নিজস্ব দুটি বোয়িং বহরে যোগ হয়েছে।
বিমান সূত্রে জানা যায়, দুটি বোয়িং কেনা বাবদ যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিটিকে আগাম এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইনসটিতে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ দুটি বোয়িং যোগ হওয়ার পর পরই আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী রুটগুলো পুনর্বিন্যাস করা হবে। সাত বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালুর পাশাপাশি ইউরোপ ও দূরপ্রাচ্যের নতুন কয়েকটি দেশেও ডানা মেলার পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া লোকসানি পাঁচটি রুটের মধ্যে আঞ্চলিক রুটগুলো আবারও নতুন পরিকল্পনায় পুনর্বিন্যাস করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।
বিমানের প্রাথমিক পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন-পুরনো মিলিয়ে মোট সাতটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা। পাশাপাশি পুরো উড়োজাহাজ বহরকে জ্বালানি সাশ্রয়ী নতুন প্রজন্মের বোয়িং দিয়ে সাজিয়ে ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ বাদ দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিমানের বহর থেকে ডিসি-১০ উড়োজাহাজগুলোকে একে একে বাদ দেওয়া হবে।
বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ইরশাদ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, অব্যাহত লোকসানের কারণে ম্যানচেস্টার, মিলান, দিল্লি, করাচি ও হংকং ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখার পর বিমানের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনর্বিন্যাস করা হবে। নতুন দুটি বোয়িং-৭৭৭ যোগ হলে এই কাজ অনেকটা সহজ হবে।
ক্যাপ্টেন ইরশাদ জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের খসড়া চুক্তি হওয়ায় সে দেশে বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুর প্রাথমিক বাধা দূর হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের মান ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হলে আগামী বছর নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালাতে কোনো বাধা থাকবে না। এ ছাড়া কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও ভিয়েতনামে নতুন চারটি রুটে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। লাভজনক হলে সংযোগ ফ্লাইটসহ দিল্লি ও করাচি ফ্লাইট আবার চালুর বিষয়টিও সক্রিয়ভাবে ভাবা হচ্ছে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক খান মোশাররফ হোসেন জানান, বোয়িং কম্পানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী নতুন কেনা বোয়িং দুটি গত অক্টোবর-নভেম্বরে আসার কথা ছিল। নানা কারণে এই সময় কিছুটা পিছিয়েছে। আগামী মার্চ-এপ্রিল নাগাদ এগুলো এসে পৌঁছবে।
জানা গেছে, বিমানের বহরকে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি সাশ্রয়ী বোয়িং দিয়ে সাজানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়া হবে নিজস্ব চারটি পুরনো ডিসি-১০। যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনেল ডগলাস ১৯৮৯ সাল থেকে ডিসি-১০ উড়োজাহাজ নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে। সর্বোচ্চ ৩৮০ আসনের ডিসি-১০-এর খুচরা যন্ত্রাংশও আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায় না। যাত্রী নিরাপত্তার বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই উড়োজাহাজ অবতরণে বিধি-নিষেধ রয়েছে।
সূত্র মতে, বিমানের বহরে চারটি ডিসি-১০, দুটি বোয়িং-৭৭৭, দুটি বোয়িং-৭৩৭, তিনটি এয়ারবাস মিলিয়ে মোট ১১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এগুলো দিয়ে তিনটি অভ্যন্তরীণ ও ১৫টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালানো হচ্ছে। ডিসি-১০ উড়োজাহাজগুলো ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরনো। ছোটখাট যান্ত্রিক ক্রটির কারণে এগুলো দিয়ে ফ্লাইট সূচি ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া পুরনো হওয়ায় এগুলোর জ্বালানি খরচও বেশি। ফলে লোকসানের মাত্রা বাড়ছে।
সূত্রে জানা যায়, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রথমে চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং চারটি ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজ কেনার জন্য বোয়িং কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বিমান কর্তৃপক্ষ। পরে আরো দুটি ৭৩৭ বোয়িংসহ মোট ১০টি উড়োজাহাজ সরবরাহের জন্য চূড়ান্ত চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং কম্পানি উড়োজাহাজগুলো বিভিন্ন ধাপে ২০১১ সাল থেকে শুরু করে ২০২৯ সালের মধ্যে সরবরাহ করবে। ২০১১ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বিমানের নিজস্ব দুটি বোয়িং বহরে যোগ হয়েছে।
No comments