ভুলে যাই সে এখন আমার কেউ নাঃ ন্যান্সি
আমাদের সঙ্গীত জগতের মিষ্টি কণ্ঠের মেয়ে ন্যান্সি। স্বতন্ত্র কণ্ঠের মাধুর্য ঢেলে গতানুগতিক প্লেব্যাকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামনে মুসলিমদের বড় উৎসব ঈদ। ঈদ উৎসব সবসময়ই তারকাদের মিলনমেলা। টিভি চ্যানেলগুলো ঈদের আগের দিন থেকে শুরু করে কয়েকদিনব্যাপী থাকে তারকামুখর।
আসছে ঈদকে ঘিরে ন্যান্সির ব্যস্ততা ও তার ঈদ উৎযাপনের নানা কথা জানতে কিন্নরকণ্ঠী এই শিল্পীর মুখোমুখি হয়েছেন বার্তা২৪ ডটনেটের প্রীতি ওয়ারেসা।
বার্তা২৪: আসছে ঈদে শ্রোতারা আপনার নতুন কোনো অ্যালবাম পাবে?
ন্যান্সি: কোনো সোলো অ্যালবাম আসছে না। প্রিন্স মাহমুদের কম্পোজিশনে সি-সিরিজের ব্যানারে একটি মিক্সড্ অ্যালবাম খুব শিগগিরই বাজারে আসবে। সেখানে আমার ও তপুর কণ্ঠে একটি ডুয়েট গান আছে। এছাড়া নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার সবকটি গানের নারীকণ্ঠে আমাকে শোনা যাবে। হাবিব ভাইয়ের কম্পোজিশন করা সেই সিনেমার ডুয়েটে আমার ও হাবিব ভাইয়ের কণ্ঠ থাকছে। মোট ছয়টি গানের মধ্যে পাঁচটি গান রেডি হয়েছে। খুবই তাড়াহুড়োর মধ্যে করছি কাজটি। কারণ ঈদের আগে এই গানগুলো অডিও সিডি আকারে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা আছে।
বার্তা২৪: এবার ঈদে টিভি চ্যানেলগুলোতে আপনার অনুষ্ঠানগুলো নিয়ে বলুন?
ন্যান্সি: এবার ঈদে আমি সেভাবে কোনো টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান রাখিনি। একমাত্র অনুষ্ঠান যাবে দিগন্ত টিভিতে ঈদের পঞ্চম দিনে। অনুষ্ঠানটি লাইভ টেলিকাস্ট হবে। অন্যান্যবার ঈদের দিনেও টিভি চ্যানেলগুলোতে অনুষ্ঠান করেছি। শিল্পী সংকটের কারণে প্রায় প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেলেই ঘুরে ফিরে কাজ করেছি। অনেক দর্শক হয়তো ভাবেন টাকার কারণে এসব করি। বিষয়টা তা কিন্তু না। টিভি চ্যানেলগুলো নামেমাত্র সম্মানি দেয়। অনুরোধ করলে কাউকে না বলতে পারিনি। দর্শকদের মধ্যে এসব কারণে অনেক সময় একঘেয়েমি চলে আসে। তাই এবার আর কারো অনুরোধ রক্ষা করছি না।
বার্তা২৪: ঈদ কোথায় করছেন?
ন্যান্সি: ঈদ ঢাকাতেই করবো। এবারের ঈদ উৎযাপন অনেক সুন্দরভাবে করার ইচ্ছা আছে। অনেক কয় বছর ধরে কাজের চাপে আমি কাউকে সময় দিতে পারিনি, না বাবার বাড়ির সদস্যদের না সাবেক শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের। নিজেকেও নিজের সময় দেয়া উচিত বিষয়টা আমি কখনো ভেবেই দেখিনি। তার এবারে ঈদে হাতে কোনো কাজ রাখিনি। নেত্রকোনায় মামা-খালাদের বাড়িতে মন খুলে বেড়াবো। সেই সঙ্গে ঈদের পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
বার্তা২৪: আগের এবং এই ঈদের মধ্যে কি বিশেষ কোনো পার্থক্য টের পাচ্ছেন?
ন্যান্সি: অবশ্যই এবার আমার জীবনের অন্যরকম একটা ঈদ। বেশ কয়েক বছরের সংসার জীবনের একটা অভ্যাস ছিল। সঙ্গী হিসেবে একজন কাছের মানুষ ছিলেন। সংসারে এবার তার উপস্থিতি থাকবে না। এই পার্থক্য ছাড়া আর সবই ঠিক আছে।
বার্তা২৪: বাবা-মাকে একসঙ্গে না পাওয়া নিয়ে মেয়ে রোদেলার প্রতিক্রিয়া কী?
ন্যান্সি: সত্যি বলতে কি মেয়ের সঙ্গে তার বাবার একটা ছাড়া ছাড়া সম্পর্ক ছিল। আমার ক্ষেত্রে যেমন আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মানুষ, পৃথিবীসেরা হ্যান্ডসাম পুরুষ, আমার মেয়ের কাছে তার বাবার জায়গাটা এমন ছিল না। কোনো আত্মীয়ের বাচ্চা দেখলে আমরা যেমন একটু গাল নেড়ে জিজ্ঞাসা করি বাবু কেমন আছ! জাস্ট ফরমালিটিস্, এটুকু না করলেও চলে। রোদেলা আর ওর বাবার সম্পর্কটা এমন ছিল। আর সেজন্যই হয়তো আমাদের বিচ্ছেদ ওকে তেমন ভাবায় না। রোদেলা বড় হচ্ছে সুতরাং সে অবশ্যই টের পায় সূক্ষ্ম একটা পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টা তার কাছে খুব গুরুত্ব পায় না বলে আমার মনে হয়।
বার্তা২৪: আপনাদের বিচ্ছেদ এখনো মানুষের কাছে ধুম্রজালের মতো অস্পষ্ট। কৌতূহলী মানুষ তাদের প্রিয় মানুষটির জীবনের অজানা কিছু তথ্য জানতে চায়।
ন্যান্সি: আমার সাবেক স্বামী প্রচণ্ড খামখেয়ালী মানুষ ছিলেন। আমি তার সম্মন্ধে কোনো অভিযোগ না করেই তার নিয়মিত আচরণের কিছু কথা বলছি। সংসারের প্রতি তার কখনোই কোনো রকমের দায়িত্ববোধ ছিল না। তার যে একটা সংসার আছে, সেটাকে চালানোর জন্য যে তাকে টাকা উপার্জন করতে হবে- এসব চিন্তা তার মধ্যে কাজ করতো না। দেখা গেল ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হয়েছে, তারপর থেকেই লাপাত্তা। কবে ফিরবে না ফিরবে কারো বলার সাধ্য নেই। একেবারে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতো। আবার যখন তার মুড ভালো থাকতো তখন তার মতো ভালো মানুষ আর হয় না। কখন যে আমাদের দুজনের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল নিজেও টের পাইনি। ভাবতাম যেভাবে চলছে চলুক না। কিন্তু পারলাম না শেষ পর্যন্ত। আমি এখনো তার প্রতি কোনো গুরুতর অভিযোগ পাই না। আবার আমাকে নিয়ে কেউ খারাপ কিছু বললে সে কখনো বিশ্বাস করতো না। আসলে দূরত্বই আমাদের মধ্যে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ডিভোর্স আবেদন করার পরও আমি তার জন্যে তিন মাস চাতকের মতো অপেক্ষা করেছি কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি তার এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
বার্তা২৪: বাবার সঙ্গে মেয়ের এখনকার বোঝাপড়া কেমন?
ন্যান্সি: বাবা মেয়ের সঙ্গে কথা বলে, দেখাও করে কিন্তু ওইযে সবকিছুতেই কেমন যেন খাপছাড়া ভাব। ভেতরের টান টের পাওয়া যায় না। অবশ্য এটা ওর বাবার একটি স্বভাব, সে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না। মনে হয় কোথায় কিছু একটার ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। আমার সঙ্গেও মাঝে মাঝে কথা হয়। কথা বলে এমন ভাবে যেন আমাদের মধ্যে কিছুই হয়নি। একদিন রাত ৩টার সময় ফোন করেছে। আমি স্টুডিওতে কাজ করছি। ফোন ধরার পর বললাম কাজ করছি। তখন সে বলল -‘ন্যান্সি তুমি তো রাত জাগতে পারো না। রাত জাগলেই তোমার শরীর খারাপ হয়। কি দরকার এত রাত জেগে কাজ করার!’ বিশ্বাস করবেন না কিছুক্ষণের জন্য আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে এই মানুষটি এখন আর আমার কেউ না। ও এখন অনেক দূরের মানুষ। (গলা ধরে এলো ন্যান্সির। ফুঁপিয়ে উঠলেন। অনেকক্ষণ কথা বলতে পারলেন না।)
বার্তা২৪: যেহেতু আজকের আলাপের প্রসঙ্গ ঈদকেন্দ্রিক তাই জানতে চাইবো ঈদের কেনাকাটা নিয়ে। কেনাকাটা শেষ?
ন্যান্সি: পোশাক আশাক কখনোই আমি নিজে কিনতে পারি না। শপিংয়ে গেলে কিছুতেই পোশাক পছন্দ করতে পারি না। আমার সব কিছু আমার মা কেনেন। আমার মেয়েটা অবশ্য আমার মতো ক্ষেত হয়নি, সে তার বাবার মতো স্টাইলিস্ট হয়েছে। শপিংয়ে নিয়ে গেলে সে নিজেই পছন্দ করে কিনতে পারে। শুধু তাই না, তার সব কিছুর সঙ্গে ম্যাচিং জিনিসপত্র লাগে। একদম বাবার মতো!
বার্তা২৪: আসছে ঈদে শ্রোতারা আপনার নতুন কোনো অ্যালবাম পাবে?
ন্যান্সি: কোনো সোলো অ্যালবাম আসছে না। প্রিন্স মাহমুদের কম্পোজিশনে সি-সিরিজের ব্যানারে একটি মিক্সড্ অ্যালবাম খুব শিগগিরই বাজারে আসবে। সেখানে আমার ও তপুর কণ্ঠে একটি ডুয়েট গান আছে। এছাড়া নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার সবকটি গানের নারীকণ্ঠে আমাকে শোনা যাবে। হাবিব ভাইয়ের কম্পোজিশন করা সেই সিনেমার ডুয়েটে আমার ও হাবিব ভাইয়ের কণ্ঠ থাকছে। মোট ছয়টি গানের মধ্যে পাঁচটি গান রেডি হয়েছে। খুবই তাড়াহুড়োর মধ্যে করছি কাজটি। কারণ ঈদের আগে এই গানগুলো অডিও সিডি আকারে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা আছে।
বার্তা২৪: এবার ঈদে টিভি চ্যানেলগুলোতে আপনার অনুষ্ঠানগুলো নিয়ে বলুন?
ন্যান্সি: এবার ঈদে আমি সেভাবে কোনো টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান রাখিনি। একমাত্র অনুষ্ঠান যাবে দিগন্ত টিভিতে ঈদের পঞ্চম দিনে। অনুষ্ঠানটি লাইভ টেলিকাস্ট হবে। অন্যান্যবার ঈদের দিনেও টিভি চ্যানেলগুলোতে অনুষ্ঠান করেছি। শিল্পী সংকটের কারণে প্রায় প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেলেই ঘুরে ফিরে কাজ করেছি। অনেক দর্শক হয়তো ভাবেন টাকার কারণে এসব করি। বিষয়টা তা কিন্তু না। টিভি চ্যানেলগুলো নামেমাত্র সম্মানি দেয়। অনুরোধ করলে কাউকে না বলতে পারিনি। দর্শকদের মধ্যে এসব কারণে অনেক সময় একঘেয়েমি চলে আসে। তাই এবার আর কারো অনুরোধ রক্ষা করছি না।
বার্তা২৪: ঈদ কোথায় করছেন?
ন্যান্সি: ঈদ ঢাকাতেই করবো। এবারের ঈদ উৎযাপন অনেক সুন্দরভাবে করার ইচ্ছা আছে। অনেক কয় বছর ধরে কাজের চাপে আমি কাউকে সময় দিতে পারিনি, না বাবার বাড়ির সদস্যদের না সাবেক শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের। নিজেকেও নিজের সময় দেয়া উচিত বিষয়টা আমি কখনো ভেবেই দেখিনি। তার এবারে ঈদে হাতে কোনো কাজ রাখিনি। নেত্রকোনায় মামা-খালাদের বাড়িতে মন খুলে বেড়াবো। সেই সঙ্গে ঈদের পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
বার্তা২৪: আগের এবং এই ঈদের মধ্যে কি বিশেষ কোনো পার্থক্য টের পাচ্ছেন?
ন্যান্সি: অবশ্যই এবার আমার জীবনের অন্যরকম একটা ঈদ। বেশ কয়েক বছরের সংসার জীবনের একটা অভ্যাস ছিল। সঙ্গী হিসেবে একজন কাছের মানুষ ছিলেন। সংসারে এবার তার উপস্থিতি থাকবে না। এই পার্থক্য ছাড়া আর সবই ঠিক আছে।
বার্তা২৪: বাবা-মাকে একসঙ্গে না পাওয়া নিয়ে মেয়ে রোদেলার প্রতিক্রিয়া কী?
ন্যান্সি: সত্যি বলতে কি মেয়ের সঙ্গে তার বাবার একটা ছাড়া ছাড়া সম্পর্ক ছিল। আমার ক্ষেত্রে যেমন আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মানুষ, পৃথিবীসেরা হ্যান্ডসাম পুরুষ, আমার মেয়ের কাছে তার বাবার জায়গাটা এমন ছিল না। কোনো আত্মীয়ের বাচ্চা দেখলে আমরা যেমন একটু গাল নেড়ে জিজ্ঞাসা করি বাবু কেমন আছ! জাস্ট ফরমালিটিস্, এটুকু না করলেও চলে। রোদেলা আর ওর বাবার সম্পর্কটা এমন ছিল। আর সেজন্যই হয়তো আমাদের বিচ্ছেদ ওকে তেমন ভাবায় না। রোদেলা বড় হচ্ছে সুতরাং সে অবশ্যই টের পায় সূক্ষ্ম একটা পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টা তার কাছে খুব গুরুত্ব পায় না বলে আমার মনে হয়।
বার্তা২৪: আপনাদের বিচ্ছেদ এখনো মানুষের কাছে ধুম্রজালের মতো অস্পষ্ট। কৌতূহলী মানুষ তাদের প্রিয় মানুষটির জীবনের অজানা কিছু তথ্য জানতে চায়।
ন্যান্সি: আমার সাবেক স্বামী প্রচণ্ড খামখেয়ালী মানুষ ছিলেন। আমি তার সম্মন্ধে কোনো অভিযোগ না করেই তার নিয়মিত আচরণের কিছু কথা বলছি। সংসারের প্রতি তার কখনোই কোনো রকমের দায়িত্ববোধ ছিল না। তার যে একটা সংসার আছে, সেটাকে চালানোর জন্য যে তাকে টাকা উপার্জন করতে হবে- এসব চিন্তা তার মধ্যে কাজ করতো না। দেখা গেল ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হয়েছে, তারপর থেকেই লাপাত্তা। কবে ফিরবে না ফিরবে কারো বলার সাধ্য নেই। একেবারে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতো। আবার যখন তার মুড ভালো থাকতো তখন তার মতো ভালো মানুষ আর হয় না। কখন যে আমাদের দুজনের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল নিজেও টের পাইনি। ভাবতাম যেভাবে চলছে চলুক না। কিন্তু পারলাম না শেষ পর্যন্ত। আমি এখনো তার প্রতি কোনো গুরুতর অভিযোগ পাই না। আবার আমাকে নিয়ে কেউ খারাপ কিছু বললে সে কখনো বিশ্বাস করতো না। আসলে দূরত্বই আমাদের মধ্যে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ডিভোর্স আবেদন করার পরও আমি তার জন্যে তিন মাস চাতকের মতো অপেক্ষা করেছি কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি তার এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
বার্তা২৪: বাবার সঙ্গে মেয়ের এখনকার বোঝাপড়া কেমন?
ন্যান্সি: বাবা মেয়ের সঙ্গে কথা বলে, দেখাও করে কিন্তু ওইযে সবকিছুতেই কেমন যেন খাপছাড়া ভাব। ভেতরের টান টের পাওয়া যায় না। অবশ্য এটা ওর বাবার একটি স্বভাব, সে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না। মনে হয় কোথায় কিছু একটার ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। আমার সঙ্গেও মাঝে মাঝে কথা হয়। কথা বলে এমন ভাবে যেন আমাদের মধ্যে কিছুই হয়নি। একদিন রাত ৩টার সময় ফোন করেছে। আমি স্টুডিওতে কাজ করছি। ফোন ধরার পর বললাম কাজ করছি। তখন সে বলল -‘ন্যান্সি তুমি তো রাত জাগতে পারো না। রাত জাগলেই তোমার শরীর খারাপ হয়। কি দরকার এত রাত জেগে কাজ করার!’ বিশ্বাস করবেন না কিছুক্ষণের জন্য আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে এই মানুষটি এখন আর আমার কেউ না। ও এখন অনেক দূরের মানুষ। (গলা ধরে এলো ন্যান্সির। ফুঁপিয়ে উঠলেন। অনেকক্ষণ কথা বলতে পারলেন না।)
বার্তা২৪: যেহেতু আজকের আলাপের প্রসঙ্গ ঈদকেন্দ্রিক তাই জানতে চাইবো ঈদের কেনাকাটা নিয়ে। কেনাকাটা শেষ?
ন্যান্সি: পোশাক আশাক কখনোই আমি নিজে কিনতে পারি না। শপিংয়ে গেলে কিছুতেই পোশাক পছন্দ করতে পারি না। আমার সব কিছু আমার মা কেনেন। আমার মেয়েটা অবশ্য আমার মতো ক্ষেত হয়নি, সে তার বাবার মতো স্টাইলিস্ট হয়েছে। শপিংয়ে নিয়ে গেলে সে নিজেই পছন্দ করে কিনতে পারে। শুধু তাই না, তার সব কিছুর সঙ্গে ম্যাচিং জিনিসপত্র লাগে। একদম বাবার মতো!
No comments