ইরাকে আল কায়দার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই
(সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দিতে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির আহ্বান)
আল কায়দার কাছ থেকে আল আনবার প্রদেশের ফালুজা শহর পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক
লড়াই চালাচ্ছে ইরাকি সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে প্রদেশটির প্রধান শহর রামাদিতে
বোমা নিক্ষেপ করেছে ইরাকি বিমানবাহিনী। এতে আল কায়দার ২৫ সদস্য নিহত হয়েছে
বলে জানা গেছে। ফালুজায় সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দিতে এবং তাদের বের করে
দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি। খবর এএফপি ও
রয়টার্স অনলাইনের। গত শনিবার আনবার প্রদেশের ফালুজা শহর নিয়ন্ত্রণে নেয় আল
কায়দা। এ ছাড়া রামাদি শহরও দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আল কায়দা জঙ্গিরা। এরপরই
তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযানের ঘোষণা দেয় ইরাক সরকার। রোববার ফালুজায়
আল কায়দার সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ১২ সেনা ও ১৫ বেসামরিক লোকসহ কমপক্ষে
৩৪ জন মারা গেছে। এ সংঘর্ষে ৫৮ জন মানুষ আহত হয়েছে। তবে বিরোধীদের কতজন আহত
হয়েছে, তা জানা যায়নি। অন্যদিকে রামাদি থেকে আল কায়দা যোদ্ধাদের হঠাতে
বিমান থেকে হামলা চালিয়েছে ইরাকি সেনাবাহিনী। এতে আল কায়দার ২৫ জঙ্গি নিহত
হয়। রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল
মালিকি বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করব।
আমি ফালুজাবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা নিজ নিজ এলাকা থেকে
সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার করুন। তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক
হামলা চালানো হলেও আবাসিক এলাকাগুলোতে অভিযান চালাবে না সরকারি সেনারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনা অভিযান দেরিতে শুরু হলেও আল কায়দাসহ অন্যান্য
সন্ত্রাসী গ্রুপকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত
থাকবে।
এদিকে ইরাকের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফালুজা থেকে সন্ত্রাসীদের হটাতে ইতিমধ্যেই উপজাতি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। আনবার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ফালিহ এসা বলেন, আমরা ফালুজার ভেতরে সেনাদের পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে প্রবীণ উপজাতি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেনারা শহরের ভেতরে কীভাবে প্রবেশ করবে এবং কোন কোন অঞ্চলে অভিযান চালাবে সে বিষয়ে উপজাতি নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ফালুজা শহরটি কয়েকদিনের জন্য ত্যাগ করতে উপজাতি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বেসামরিক প্রাণহানি কমানো সম্ভব হবে।
এদিকে ইরাকের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফালুজা থেকে সন্ত্রাসীদের হটাতে ইতিমধ্যেই উপজাতি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। আনবার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ফালিহ এসা বলেন, আমরা ফালুজার ভেতরে সেনাদের পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে প্রবীণ উপজাতি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেনারা শহরের ভেতরে কীভাবে প্রবেশ করবে এবং কোন কোন অঞ্চলে অভিযান চালাবে সে বিষয়ে উপজাতি নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ফালুজা শহরটি কয়েকদিনের জন্য ত্যাগ করতে উপজাতি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বেসামরিক প্রাণহানি কমানো সম্ভব হবে।
No comments