শীতাতপব্যবস্থা, টিভি সোফা গণশৌচাগারে!
মুম্বাইয়ের মতো মহানগরে যখন স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের (টয়লেট) অভাব প্রকট, তখন সেখানে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গণশৌচাগার স্থাপনের বিষয়টি নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা বলে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সে রকমই ঘটেছে এবার। বাড়তি সুবিধা হিসেবে সেই পাবলিক টয়লেটে রাখা হয়েছে ‘অপেক্ষার জন্য নির্ধারিত’ কক্ষ। আর সেখানে থাকছে একটি অত্যাধুনিক এলসিডি টেলিভিশন ও আরামদায়ক আসন (সোফা)। রাজনৈতিক দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) সাংসদ প্রবীণ দারেকারের উদ্যোগে ওই বিশেষ টয়লেট স্থাপন করা হয়। দলটির প্রধান রাজ ঠাকরে গত শনিবার এটি উদ্বোধন করেন। সমাজকর্মীরা ওই পাবলিক টয়লেটে আড়াই লাখ রুপি দামের সোফা এবং অন্তত দুই লাখ রুপি মূল্যের ৪২ ইঞ্চি এলসিডি টেলিভিশন রাখার বিষয়টিকে ‘অনর্থক’ আখ্যা দিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে। তিন হাজার বর্গফুটের ওই টয়লেটে নারী-পুরুষদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া থাকছে গোসল ও পোশাক পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত ঘর। সার্বিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে দুজন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন দুই প্রহরী।
দারেকার বলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে চাইলেও অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতার কারণে বিরত থাকেন নারীরা। কিন্তু এই টয়লেটে নিরাপত্তা জোরদার থাকায় তাঁরা নিরাপদ বোধ করবেন। অভিনব টয়লেটটি নির্মাণে প্রায় চার মাস সময় লাগলেও যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতায় লেগেছে আরও প্রায় ছয় মাস। দারেকারের তহবিল থেকে নির্মাণব্যয় পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সোফা সেট ও টেলিভিশনটি জনগণেরই দান। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও বলেন, মুম্বাইয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দিনের কাজ সেরে ফিরে যান। নিজেকে ফ্রেশ করতে কোনো হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেওয়ার সাধ্য তাঁদের নেই। নতুন পাবলিক টয়লেটটি তাঁদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে। এতে বিনা মূল্যে প্রস্রাবখানা ব্যবহার করা গেলেও শৌচাগার বা পোশাক পরিবর্তনের ঘর ব্যবহার করতে চাইলে প্রতিবার পাঁচ রুপি করে গুনতে হবে। সমালোচকেরা অবশ্য বলছেন, এত বিলাসবহুল ব্যবস্থা না রাখলেও চলত। দামি সোফা ও টেলিভিশনের পরিবর্তে আরও বেশি মানুষের স্থান সংকুলান করার সুযোগ ছিল। এনডিটিভি।
No comments