সন্ত্রাসে গৌণ শতাংশের হিসাব by আবদুল মান্নান

কথায় কথায় অনেকে সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে খালেদা জিয়ার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করেন। এটিও খালেদা জিয়ার নির্বাচনে না যাওয়ার মতো এক ধরনের বোকামি বৈ অন্য কিছু নয়। ১৯৯৬ সালের সেই নির্বাচনে প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল। ছবিযুক্ত কোনো ভোটার তালিকা ছিল না। এটি সত্য, সেই নির্বাচন বর্জন করার জন্য আওয়ামী লীগ ডাক দিয়েছিল; কিন্তু পেট্রোল বোমা মেরে তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেনি, দিনের পর দিন অবরোধ ডেকে জনজীবন বিপর্যস্ত করেনি অথবা রেললাইন তুলে ফেলার মতো কোনো নাশকতামূলক ঘটনাও ঘটায়নি । ঘটেনি সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার গাছ কাটার মহোৎসব অথবা আক্রান্ত হয়নি কোনো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম। যারা দশম সংসদ নির্বাচনকে ১৯৯৬ সালের সেই নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করেন, তারা তা খুব ভালো উদ্দেশ্যে করেন না।
নানা তর্ক-বিতর্ক, জল্পনা-কল্পনা আর অভূতপূর্ব সব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন শেষ হলো। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছে সংসদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আর তার মিত্ররা। অনেক সময় সুশীল সমাজের আলোচকরা মনে করিয়ে দেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি আর তার মিত্ররা ৩০ ভাগের ওপর ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তারা কখনও বলেন না আওয়ামী লীগ আর তার মিত্ররা সেই নির্বাচনে ৪৯ ভাগ ভোট পেয়েছিলেন, যার মধ্যে এককভাবে আওয়ামী লীগের ভোট ছিল ৪২ ভাগ। সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের সর্বাত্মক জীবন হরণকারী ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ফলে নিঃসন্দেহে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনেক স্থানে ব্যাপকভাবে বিঘি্নত হয়েছে। নির্বাচনের আগের কয়েকদিন সহিংসতার যে রূপ দেখা গেছে আর তাতে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা ছিলেন আতঙ্কগ্রস্ত; কিন্তু তার মধ্যেও অনেক কেন্দ্রে ভোটাররা লাইন ধরে ভোট দিয়েছেন। এবার নির্বাচনী সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত প্রায় দেড়শ' স্কুল, কলেজ আর মাদ্রাসা, যেগুলো বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা অগি্নসংযোগ করে ভস্মীভূত করেছে। এসব শিক্ষালয়ের সঙ্গে পুড়েছে পাঠ্যপুস্তক আর জাতীয় পতাকা। মাদ্রাসায় পুড়েছে পবিত্র কোরআন শরীফ। এই শিক্ষালয়গুলো প্রতি পাঁচ বছরে এক কি দু'দিন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়; কিন্তু বাকি সময় সেগুলো পড়ালেখার কাজে ব্যবহৃত হয়। বলা বাহুল্য, এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরাই জড়িত। পাকিস্তানে তালেবান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তারা সব স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে আর বাংলাদেশে জামায়াত যে তালেবান ব্র্যান্ডের মতাদর্শে বিশ্বাস করে, তা তারা আরেকবার প্রমাণ করল। নির্বাচনের আগের দিন ঠাকুরগাঁওয়ে সন্ত্রাসীরা একজন রিটার্নিং অফিসারকে নজিরবিহীনভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে, পেট্রোল বোমা মেরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্যকে গুরুতরভাবে আহত করেছে, নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রে আগুন দিয়েছে আর বেশ কিছু কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন হাতবোমা ফাটিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের সর্বশেষ চমকটি ছিল নির্বাচনের আগের রাতে চিকিৎসার নামে প্যারোলে মুক্ত ও লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্রের নির্বাচন বর্জন এবং প্রতিহত করার জন্য ভিডিওবাণী। তিনি অনেকটা একজন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের মতো তার মোল্লা ওমর বা বিন লাদেন স্টাইলে দেওয়া এই ভিডিওবার্তায় দেশবাসীকে শুধু এই নির্বাচন বর্জন করারই আহ্বান জানাননি, তা প্রতিরোধ করারও ডাক দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে বাহাত্তরের সংবিধানকে কটাক্ষ করে বলেন, এই সংবিধান গণআকাঙ্ক্ষাবিরোধী। ইদানীং তালেবানি কায়দায় ভিডিওটেপের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘোষণা করা বিএনপির জন্য একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। তারেক রহমান এবং এর আগে খালেদা জিয়ার ভিডিওবার্তার পরপরই দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতার মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যায়। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নির্বাচনের আগের দু'দিন আর নির্বাচনের দিন সারাদেশে সহিংসতায় ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর দায়দায়িত্ব পুরোটাই বিরোধী দলকে নিতে হবে। এই নজিরবিহীন সন্ত্রাসের মুখেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দল দেশে হরতাল-অবরোধ ডেকে মানুষের চলাচলে চরমভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। ২০০৮ সালে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে নিজের এলাকায় ভোট দিতে গেছে, যা এবার সম্ভব ছিল না। এত কিছুর পরও যে অনেক স্থানে মানুষ জীবন বাজি রেখে ভোট দিতে এসেছে, এটাই এই নির্বাচনের জন্য একটি বড় ঘটনা। এমন একটা ভয়াবহ প্রেক্ষাপটে কত শতাংশ ভোটার ভোট দিল তা এখানে গৌণ।
সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্থগিত বা বন্ধ করতে সরকারের ওপর নানামুখী স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্র্যায়ের চাপ ছিল। তাদের দাবি যেহেতু এই নির্বাচনে বিএনপি এবং তার মিত্ররা অংশ নিচ্ছে না, সুতরাং তাদের সঙ্গে নিয়ে কীভাবে নির্বাচন করা যায়, তা খুঁজে বের করতে হবে। এর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, এই শক্তিটির প্রত্যাশা ছিল যে কোনো উপায়ে এ নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া। এতে তাদের কিছু অঘোষিত স্বার্থসিদ্ধি হতো বলে ধারণা। এ মর্মে একাধিক গণমাধ্যমে জরিপ হিসেবে এও প্রচার করা হয়, এ মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হবে। কিন্তু একটি জায়গায় তারা মারাত্মক ভুল করে বসে। তারা বুঝতে পারেনি, বিএনপি নিজেদের অগোচরেই জামায়াতের ফাঁদে পড়ে গেছে আর যদিও বিএনপি তাদের তথাকথিত আন্দোলনটি করছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিলকৃত ত্রয়োদশ সংশোধনীর পুনর্বহাল করে তার অধীনে নির্বাচনের জন্য কিন্তু জামায়াত তাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়েছিল স্রেফ যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য। বিএনপির বোঝা উচিত ছিল, ত্রয়োদশ সংশোধনীটি বাতিল হয়েছিল তা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আর যা মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন, তা ইচ্ছা করলেও সংবিধানে অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয়। অথচ তাদের দলে অনেক বড় বড় ব্যারিস্টার রয়েছেন। দ্বিতীয়ত, যখন এই রায়টি হয় তখন এই ব্যারিস্টারদের কেউই রিটটির বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন করার প্রয়োজন মনে করেনি অথচ তারা কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ কার্যকর স্থগিত করার জন্য মধ্যরাতে চেম্বার জজের বাসভবনে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। পরে হয়তো বিএনপি উপলব্ধি করেছে তাদের এই দাবি অসাড়, তখন তারা দাবি তুলল, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়। তাদের এই দাবিটিও অসাংবিধানিক; কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, সংসদে যে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তারাই সংসদ নেতা নির্বাচন করবেন, যাকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। সম্প্রতি ভারতে বিজেপি আগামী এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য লোকসভার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ড. মনমোহন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেছে। কিন্তু মনমোহন সিং তা অসাংবিধানিক বিধায় সে দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সত্তরের দশকে নকশালপন্থিদের দাপটে জনগণের নাভিশ্বাস। ১৯৭২ সালে রাজ্যসভা নির্বাচন ঘোষিত হলো। নকশালরা ঘোষণা করল নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে গলা কেটে ফেলা হবে। নির্বাচন বর্জনের নামে ঠিক এমন হুমকিই সম্প্রতি দিয়েছিল বিএনপি আর জামায়াত জোট। নকশালরাও একই কায়দায় ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে, প্রার্থী হত্যা করেছে কিন্তু সরকার পিছু হটেনি। একাধিক জায়গায় নির্বাচন স্থগিত করে তা পরে নিতে হয়েছে। কারণ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে। তাদের ইন্ধন জুগিয়েছে কিছু বিদেশি রাষ্ট্র ও সংস্থা, এক শ্রেণীর সুশীল সমাজ আর কিছু মিডিয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো রাগ করে বিজয় দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে সম্মান জানাতে না গিয়ে একটি অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। শেষ সময়ে এসে সিপিবি, বাসদ, গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের জাসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জামায়াত-বিএনপির হাতকেই শক্তিশালী করেছে। আরও দুঃখের বিষয় হচ্ছে, নির্বাচন বর্জনের নামে সারাদেশে নির্বাচনের আগের দু'দিন জামায়াত-বিএনপির দুর্বৃত্তরা যে তাণ্ডব চালাল, প্রায় দেড়শ' স্কুলে অগি্নসংযোগ করে তা জ্বালিয়ে দিল, তারা তার কোনো প্রতিবাদও করেনি। এই উপমহাদেশে তাদের পড়ন্ত বেলায়ও বামপন্থিরা এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ যে, শুধু তত্ত্ব দিয়ে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শে মানুষকে বেশি দিন ধরে রাখা যায় না।
নির্বাচনের পর বিএনপি অবরোধের মধ্যে আবার দু'দিনের হরতাল ডেকেছে। অনেকটা অবরোধের সঙ্গে হরতাল ফ্রি। তাদের নতুন দাবি, নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করতে হবে। ফলাফল প্রকাশ করার পর নিশ্চিতভাবে আবার হরতাল। এবার আসবে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ বন্ধ রাখতে হবে। তারপর সংসদ অধিবেশন ডাকা যাবে না অথবা সরকার গঠন করা যাবে না। তবে বিএনপি যতদিন জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়ছে, ততদিন তাদের এসব দাবিনামা অধরাই থেকে যাবে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার দায়িত্ব অনেকগুণ বেড়ে গেল। তারা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, যদি বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে সংবিধানের আওতায় নির্বাচন করতে রাজি হয়, তা হলে তারা আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলাপ করতে প্রস্তুত। এটি একটি উত্তম প্রস্তাব এবং বিএনপি যদি গণতন্ত্র ও সংবিধানে বিশ্বাস করে, তা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করবে। সংসদীয় গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দেশে একাধিক শক্তিশালী বিরোধী দল থাকাটা অপরিহার্য। যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জামায়াত-বিএনপিকে বিপথগামী করেছে বলে সর্বমহলে বিশ্বাস, সেই যুদ্ধাপরাধের বিচার কাজ দ্রুত শেষ করে রায় কার্যকর করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। আর শেখ হাসিনার কাছে সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা হচ্ছে, গত মেয়াদে যাদের কারণে সরকার আর দলের ক্ষতি হয়েছে, যাদের নামে দুর্নীতির সামান্যতম বদনাম আছে তাদের সরকার থেকে দূরে রাখতে হবে।
ভোট দিতে যাওয়ার সময় দুটি ঘটনার কথা বলে লেখাটা শেষ করি। পাড়ার আলী মিয়ার কাছে জানতে চাই, তিনি ভোট দিয়েছেন কিনা। তিনি জানালেন, না, যাননি। কারণ, এবার এই নির্বাচনী এলাকায় নৌকা মার্কার কোনো প্রার্থী নেই। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, সাবেক বামপন্থি জামাল উদ্দিন চাচা লাইনে দাঁড়িয়ে। সালাম দিতেই কিছুটা উত্তেজিত স্বরে জানালেন, ভোট দিতে আসতেন না কিন্তু গত রাতে তারেক রহমানের ভিডিও ভাষণের কারণে তিনি এসেছেন। তিনি বলেন, 'আমাকে তারেক রহমানের কথা কেন শুনতে হবে? ডযড় রং যব?' ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি, জামাল চাচা উত্তেজিত হলে ইংরেজিতে কথা বলেন। যদিও এই নির্বাচনটি হয়তো সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছিল না, তথাপি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ভয়াবহ সহিংসতায় অনেকে জীবন দিয়েছে, বার্ন ইউনিটগুলোতে অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, অনেকে নানা ঝুঁকির মধ্যে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন, ভোটাররা নানা ধরনের হুমকি-ধমকি অগ্রাহ্য করে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন। আমার বিশ্বাস, তারা কোনো দলকে ভোট দেননি, ভোট দিয়েছেন দেশে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের রাজপথে উঠেছে, এখন তাকে সেখানে রাখা সবার দায়িত্ব।
সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.