১০০ জনের সম্পদে চারবার বিশ্বের দারিদ্র্য মোচন সম্ভব
শীর্ষ ১০০ ধনী ব্যক্তি গত বছর যে পরিমাণ সম্পদ আয় করেছেন তা দিয়ে বিশ্বের চরম দারিদ্র্য চারবার দূর করা সম্ভব। ব্রিটেনভিত্তিক সাহায্য সংস্থা অক্সফাম এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম শুরুর আগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অক্সফাম বিশ্বনেতাদের অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে 'দ্য কস্ট অব ইনইকুয়ালিটি : হাউ ওয়েলথ অ্যান্ড ইনকাম এক্সট্রিমস হার্ট আস অল' নামের প্রতিবেদন প্রকাশ করে অক্সফাম। এতে দাবি করা হয়, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ জন ধনী ব্যক্তি ২০১২ সালে প্রায় ২৪ হাজার কোটি ডলার আয় করেছেন। এই অর্থ দিয়ে বিশ্বের চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অবস্থা চারবার বদলে ফেলা যাবে। অর্থাৎ বিশ্বের দারিদ্র্য দূর করতে যে পরিমাণ অর্থ দরকার, শীর্ষ ১০০ ধনীর কাছে তার চার গুণ অর্থ আছে। বিপরীতে চরম দরিদ্র মানুষগুলো দিনে এক দশমিক ২৪ ডলারের (প্রায় ১০০ টাকা) কম আয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে।
অক্সফামের মতে, গরিব লোকজনের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা ও যথাযথ মজুরির ব্যবস্থা না রেখেই নির্দিষ্টসংখ্যক লোকের হাতে চরম মাত্রায় সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। ফলে কম আয়ের ও সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল লোকজন নিজেদের পরিস্থিতি পাল্টাতে বা দারিদ্র্যের চক্র থেকে বের হতে পারছে না। অল্প কিছুসংখ্যক লোকের সীমাহীন সম্পদ দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক অসমতা দূর করার ওপরই জোর দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক শতাংশ ধনী লোকের আয় গত ২০ বছরে ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট ধনীদের আয় কমানোর পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আয়ের ১০ শতাংশ শীর্ষ এক শতাংশ ধনীর হাতে যেত। এখন প্রায় ২০ শতাংশ আয় তাঁদের সম্পদের সঙ্গে যুক্ত হয়।
অক্সফামের নির্বাহী কর্মকর্তা বারবারা স্টকিং বলেন, 'সীমাহীন সম্পদ অর্থনৈতিকভাবে অনুপযোগী, রাজনৈতিকভাবে ক্ষয়িষ্ণু, সামাজিকভাবে বিভেদ সৃষ্টিকারী ও পরিবেশগতভাবে ধ্বংসাত্মক।' এক শতাংশ লোকের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হওয়ার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মন্দা সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরো কঠিন হয়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।' সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি।
চলতি সপ্তাহে 'দ্য কস্ট অব ইনইকুয়ালিটি : হাউ ওয়েলথ অ্যান্ড ইনকাম এক্সট্রিমস হার্ট আস অল' নামের প্রতিবেদন প্রকাশ করে অক্সফাম। এতে দাবি করা হয়, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ জন ধনী ব্যক্তি ২০১২ সালে প্রায় ২৪ হাজার কোটি ডলার আয় করেছেন। এই অর্থ দিয়ে বিশ্বের চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অবস্থা চারবার বদলে ফেলা যাবে। অর্থাৎ বিশ্বের দারিদ্র্য দূর করতে যে পরিমাণ অর্থ দরকার, শীর্ষ ১০০ ধনীর কাছে তার চার গুণ অর্থ আছে। বিপরীতে চরম দরিদ্র মানুষগুলো দিনে এক দশমিক ২৪ ডলারের (প্রায় ১০০ টাকা) কম আয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে।
অক্সফামের মতে, গরিব লোকজনের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা ও যথাযথ মজুরির ব্যবস্থা না রেখেই নির্দিষ্টসংখ্যক লোকের হাতে চরম মাত্রায় সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। ফলে কম আয়ের ও সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল লোকজন নিজেদের পরিস্থিতি পাল্টাতে বা দারিদ্র্যের চক্র থেকে বের হতে পারছে না। অল্প কিছুসংখ্যক লোকের সীমাহীন সম্পদ দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক অসমতা দূর করার ওপরই জোর দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক শতাংশ ধনী লোকের আয় গত ২০ বছরে ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট ধনীদের আয় কমানোর পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আয়ের ১০ শতাংশ শীর্ষ এক শতাংশ ধনীর হাতে যেত। এখন প্রায় ২০ শতাংশ আয় তাঁদের সম্পদের সঙ্গে যুক্ত হয়।
অক্সফামের নির্বাহী কর্মকর্তা বারবারা স্টকিং বলেন, 'সীমাহীন সম্পদ অর্থনৈতিকভাবে অনুপযোগী, রাজনৈতিকভাবে ক্ষয়িষ্ণু, সামাজিকভাবে বিভেদ সৃষ্টিকারী ও পরিবেশগতভাবে ধ্বংসাত্মক।' এক শতাংশ লোকের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হওয়ার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মন্দা সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরো কঠিন হয়ে ওঠে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।' সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি।
No comments