শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হোক-অপ্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা
সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারির পর বিএনপি তাদের গণমিছিল কর্মসূচি এক দিন পিছিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক বিচক্ষণতারই পরিচয় দিয়েছে। পূর্বনির্ধারিত ২৯ জানুয়ারির পরিবর্তে এখন কাল ৩০ জানুয়ারি গণমিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচিকে সামনে রেখে মহানগরবাসীর মধ্যে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল, তার অবসান হবে আশা করি।
এর আগে বিএনপির গণমিছিল ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন তপ্ত হয়ে উঠেছিল। মহানগর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা জনমনে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় বিএনপি পূর্বনির্ধারিত দিনে কর্মসূচি পালনে অনড় থাকলে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠত। দলটি কর্মসূচি এক দিন পিছিয়ে দিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগও তাদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।
বিরোধী দল নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করলে তাতে সরকারের ক্ষতির কোনো কারণ নেই। বরং সেই কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু মনোভাবের প্রকাশ ঘটে। বিরোধী দল তিন বছর ধরে সংসদ বর্জন এবং লাগাতার নেতিবাচক কর্মসূচি দিয়ে যা করতে পারেনি, সরকারের একটি অযাচিত সিদ্ধান্ত রাজনীতিকে সেই অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছিল। অনেকেই বিশ্বাস করবেন আকস্মিক নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্র তৈরির জন্যই সরকারি দল বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিন মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ডেকেছিল।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ করা কিংবা দলীয় কর্মসূচি পালন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার প্রতি যে হুমকি সৃষ্টি করেছিল, সরকারি দল তার পুনরাবৃত্তি করবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। নিছক আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ হতে পারে না।
মহানগরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন ছিল না বলে আমরা মনে করি। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি তাঁদের বেকায়দায় ফেলেছে।’ তাঁর কথায়, ‘একই দিনে বড় দুটি দলের কর্মসূচি থাকায় বাড়তি নিরাপত্তা তো নিতেই হবে। কর্মসূচি ঘিরে কেউ কোনো ধরনের নাশকতামূলক তৎপরতা চালায় কি না, সেটাও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।’ এখন তো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নেই। অতএব আগামীকালের কর্মসূচি যাতে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদেরও এ বিষয়ে সংযত থাকতে হবে।
উদ্বেগজনক দিক হলো, সরকার আমলে নিচ্ছে না যে প্রকাশ্য রাজনীতির গণ্ডি অযথা সংকুচিত কিংবা তা ক্রমশ দমনমূলক হলে অনিয়মতান্ত্রিক ও চোরাগোপ্তা হামলা বা সহিংস তৎপরতার শঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে আমরা দেখি, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তরফে মাঝেমধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে আইনের আপন গতি পথ খুঁজে পায় না।
দুই প্রধান দল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে তা যেমন গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিকশিত করবে, তেমনি জনগণের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠারও অবসান ঘটাবে।
বিরোধী দল নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করলে তাতে সরকারের ক্ষতির কোনো কারণ নেই। বরং সেই কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু মনোভাবের প্রকাশ ঘটে। বিরোধী দল তিন বছর ধরে সংসদ বর্জন এবং লাগাতার নেতিবাচক কর্মসূচি দিয়ে যা করতে পারেনি, সরকারের একটি অযাচিত সিদ্ধান্ত রাজনীতিকে সেই অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছিল। অনেকেই বিশ্বাস করবেন আকস্মিক নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্র তৈরির জন্যই সরকারি দল বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিন মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ডেকেছিল।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ করা কিংবা দলীয় কর্মসূচি পালন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার প্রতি যে হুমকি সৃষ্টি করেছিল, সরকারি দল তার পুনরাবৃত্তি করবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। নিছক আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ হতে পারে না।
মহানগরে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন ছিল না বলে আমরা মনে করি। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি তাঁদের বেকায়দায় ফেলেছে।’ তাঁর কথায়, ‘একই দিনে বড় দুটি দলের কর্মসূচি থাকায় বাড়তি নিরাপত্তা তো নিতেই হবে। কর্মসূচি ঘিরে কেউ কোনো ধরনের নাশকতামূলক তৎপরতা চালায় কি না, সেটাও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।’ এখন তো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নেই। অতএব আগামীকালের কর্মসূচি যাতে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদেরও এ বিষয়ে সংযত থাকতে হবে।
উদ্বেগজনক দিক হলো, সরকার আমলে নিচ্ছে না যে প্রকাশ্য রাজনীতির গণ্ডি অযথা সংকুচিত কিংবা তা ক্রমশ দমনমূলক হলে অনিয়মতান্ত্রিক ও চোরাগোপ্তা হামলা বা সহিংস তৎপরতার শঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে আমরা দেখি, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তরফে মাঝেমধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে আইনের আপন গতি পথ খুঁজে পায় না।
দুই প্রধান দল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে তা যেমন গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিকশিত করবে, তেমনি জনগণের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠারও অবসান ঘটাবে।
No comments