একটি উদ্ভাবন! by শাহরিয়ার হোসেন
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলা সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের একটি। সারাদেশে বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন চরম লোডশেডিংয়ের ভুক্তভোগী। বিশেষ করে ঢাকায় অবস্থিত নতুন আবাসিক এলাকাগুলোতে লোডশেডিংয়ের পরিমান একটু বেশিই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করা হবে। আর এ জন্য তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার কথা চিন্তা করে আর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের প্রতি শদ্ধা রেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে গবেষণা শুরু করি। বায়ুগতিবিদ্যা, ইলেকট্রিক্যাল, ম্যাকানিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স বিয়য়ে অনেক গবেষণার পর আমি দেশিয় পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছি। যেটি এখন আমি পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করছি।
আমি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিদ্যুৎ শক্তি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। যেখানে থেকে আমি জানতে পারলাম উন্নত দেশে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো খুবই ব্যয়বহুল এবং সেগুলো ব্যবহার করে ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত বিদুৎ সরবরাহ করা যাবে না। ঢাকার অধিকাংশ ভবন-ই জনাকীর্ণ এবং তলা অনুযায়ী ছোট ছাদ বিশিষ্ট। সাধারণত জায়গা সংকটের কথা মাথায় রেখে ভবনগুলো নকশা করা হয়।
যদি আমরা কোনও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদের পুরো অংশটা সোলার প্যানেল বা সোলার বোর্ড বসাই তাহলেতা দিয়ে প্রত্যোকটি ফ্লাটে একটি লাইট এবং একটি ফ্যান চালানো সম্ভব হবে। যেটা বহুতল বিশিষ্ট ভবনের জন্য উপযোগী নাও যেতেপারে। এ পদ্ধতি সূর্যের তাপের প্রখরতার ওপর এবং মেঘলা অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমার বায়ু চালিত পাওয়ারজেনারেটর দিয়ে একটি বহুতল ভবনের বিদ্যুৎ সমস্যা মেটানো সম্ভব। যদি জেনারেটরটি ভবনের বাইরে কোনও উপযুক্ত জায়গায় ব্যবহার করা যায়।
বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যার কথা মাথাই রেখেই আমি বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যএ বিষয়ে গবেষণা শুরু করি।
আমার গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকা শহরে যে বায়ু বিদ্যুৎ যন্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোর অধিকাংশই পর্যাপ্ত বাতাস পায় না এবং প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্ হয়। শহরের এই বিষয়টিই বায়ু বিদ্যুৎ সরবরাহের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সৌভাগ্যক্রমে আমি আমার গবেষণায় শহরের এই অল্প বায়ু ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের উপায় বের করতে সক্ষম হয়েছি। যেটি আমার গবেষণায় কাজ করছে।
এখন আমার বাসার বারান্দা থেকে কয়েক ফুট দূরে একটি মেশিন বসিয়েছি। যেটির অল্প বাতাসে চলতে সক্ষম এবং আমি ২৪ ঘণ্টাই নূন্যতম ঘণ্টা ১ কি.মি গতিতে বাতাস পাচ্ছি।
এ যন্ত্রটি ব্যবহার করে আমি আমার রুমে আলো জ্বালানোর জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছি। যা দিয়ে আমি একটি ফ্যানও চালাচ্ছি।
হিসাব করে দেখা গেছে, যদি একটি ছোট বায়ু বিদ্যুৎ মেশিন ভবনের ছাদে স্থাপন করা যায় যেখানে দিনের ১৮ ঘণ্টাই ১ কি. মি. বেগে বাতাস পাওয়া যাবে তবে তা দিয়ে দুই হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
যেহেতু পরীক্ষামূলকভাবে আমি আমার বারান্দায় এ যন্ত্রটি স্থাপন করেছি সেহেতু আমি সর্বক্ষণপর্যবেক্ষণ করতে পারছিযা আমার গবেষণার জন্য খুবই দরকার।
আমি একটি বিশেষ ফ্যান উদ্ভাবন করেছি যেটি আমার কক্ষের পাওয়ার সার্কিটের ডিসি বা এসি ব্যাটারির দিয়ে চালানো সম্ভব।
আমার উদ্ভাবিত এ বিশেষ ধরনের ফ্যানের কিছু সুবিধা রয়েছে। তা হলো-
১. এই ফ্যানটি চালাতে মাত্র ১৮-২৪ ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় এবং সাধারণ ফ্যানের মতোই বাতাসহয়। বিখ্যাত ব্রান্ডের ফ্যান চালাতে কমপক্ষে ৮৬ ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এখানে আমার উল্লেখ করা প্রয়োজন হবে না যে, এটাই একমাত্র সস্তা ফ্যান।
২. আমার উদ্ভাবিত লাইট জ্বালাতে মাত্র ৭ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং কক্ষে সাধারণ লাইটের মতোই আলো সরবরাহ করে।
আমার এই প্রজেক্টরে সুবিধা হলো:
যদি আমি আমর এই প্রকল্প ব্যবহার করি তবে একটি লাইট ও একটি ফ্যান চলাতে খরচ হবে মাত্র ২৪+৭=৩১ ওয়াট বিদ্যুৎ। যেখানে সাধারণ বাজারের লাইট বা ফ্যান ব্যবহার কররে খরচ হবে ৮৬+৬০= ১৪৬ ওয়াট বিদ্যুৎ। সুতরাং আমার এখানে ১৪৬-৩১= ১১৫ ওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে যদি আমি আমার উদ্ভাবিত জেনারেটর ব্যবহার করি তবে আমাকে কোনও বিদ্যুৎ বিল বহন করতে হবে না।
ছোট কক্ষের সঙ্গে স্থাপন করে যদি আমরা এ পদ্ধতি সারা দেশে ব্যবহার করি তবে আমরা কি কল্পনা করতে পারি যে কত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে? আমাদের দেশের ৪০-৩০ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র লাইট এবং ফ্যান ব্যবহার করে।
এখন মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালে এই প্রযুক্তি পৌঁছানো এবং রক্ষাণাবেক্ষণ খরচ কমানোর বিষয়টি মাথায় রেখে আমার সমস্ত প্রকল্পটির নকশা করছি।
সর্বশেষে এ বিষয়টি বিবেচনায় নিতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশা করছি যে এ প্রকল্পটি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে। আমি আমার দেশের জন্য কিছু করতে চাই এবং আমার দেশের মানুষকে উৎসাহ দিতে চাই যাতে তারা নিজেদের প্রচেষ্টা, আরাধনা, বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে।
এই কাজটি করতে কয়েকজন দেশপ্রেমিকআমাকে উৎসাহ যুগিয়ে ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সাফল্যের পথে নিয়ে এসেছেন। তাদের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাদের নাম আমি কোনও এক সময় প্রকাশ করবো।
আমি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিদ্যুৎ শক্তি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। যেখানে থেকে আমি জানতে পারলাম উন্নত দেশে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো খুবই ব্যয়বহুল এবং সেগুলো ব্যবহার করে ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত বিদুৎ সরবরাহ করা যাবে না। ঢাকার অধিকাংশ ভবন-ই জনাকীর্ণ এবং তলা অনুযায়ী ছোট ছাদ বিশিষ্ট। সাধারণত জায়গা সংকটের কথা মাথায় রেখে ভবনগুলো নকশা করা হয়।
যদি আমরা কোনও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদের পুরো অংশটা সোলার প্যানেল বা সোলার বোর্ড বসাই তাহলেতা দিয়ে প্রত্যোকটি ফ্লাটে একটি লাইট এবং একটি ফ্যান চালানো সম্ভব হবে। যেটা বহুতল বিশিষ্ট ভবনের জন্য উপযোগী নাও যেতেপারে। এ পদ্ধতি সূর্যের তাপের প্রখরতার ওপর এবং মেঘলা অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমার বায়ু চালিত পাওয়ারজেনারেটর দিয়ে একটি বহুতল ভবনের বিদ্যুৎ সমস্যা মেটানো সম্ভব। যদি জেনারেটরটি ভবনের বাইরে কোনও উপযুক্ত জায়গায় ব্যবহার করা যায়।
বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যার কথা মাথাই রেখেই আমি বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যএ বিষয়ে গবেষণা শুরু করি।
আমার গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকা শহরে যে বায়ু বিদ্যুৎ যন্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোর অধিকাংশই পর্যাপ্ত বাতাস পায় না এবং প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্ হয়। শহরের এই বিষয়টিই বায়ু বিদ্যুৎ সরবরাহের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সৌভাগ্যক্রমে আমি আমার গবেষণায় শহরের এই অল্প বায়ু ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের উপায় বের করতে সক্ষম হয়েছি। যেটি আমার গবেষণায় কাজ করছে।
এখন আমার বাসার বারান্দা থেকে কয়েক ফুট দূরে একটি মেশিন বসিয়েছি। যেটির অল্প বাতাসে চলতে সক্ষম এবং আমি ২৪ ঘণ্টাই নূন্যতম ঘণ্টা ১ কি.মি গতিতে বাতাস পাচ্ছি।
এ যন্ত্রটি ব্যবহার করে আমি আমার রুমে আলো জ্বালানোর জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছি। যা দিয়ে আমি একটি ফ্যানও চালাচ্ছি।
হিসাব করে দেখা গেছে, যদি একটি ছোট বায়ু বিদ্যুৎ মেশিন ভবনের ছাদে স্থাপন করা যায় যেখানে দিনের ১৮ ঘণ্টাই ১ কি. মি. বেগে বাতাস পাওয়া যাবে তবে তা দিয়ে দুই হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
যেহেতু পরীক্ষামূলকভাবে আমি আমার বারান্দায় এ যন্ত্রটি স্থাপন করেছি সেহেতু আমি সর্বক্ষণপর্যবেক্ষণ করতে পারছিযা আমার গবেষণার জন্য খুবই দরকার।
আমি একটি বিশেষ ফ্যান উদ্ভাবন করেছি যেটি আমার কক্ষের পাওয়ার সার্কিটের ডিসি বা এসি ব্যাটারির দিয়ে চালানো সম্ভব।
আমার উদ্ভাবিত এ বিশেষ ধরনের ফ্যানের কিছু সুবিধা রয়েছে। তা হলো-
১. এই ফ্যানটি চালাতে মাত্র ১৮-২৪ ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় এবং সাধারণ ফ্যানের মতোই বাতাসহয়। বিখ্যাত ব্রান্ডের ফ্যান চালাতে কমপক্ষে ৮৬ ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এখানে আমার উল্লেখ করা প্রয়োজন হবে না যে, এটাই একমাত্র সস্তা ফ্যান।
২. আমার উদ্ভাবিত লাইট জ্বালাতে মাত্র ৭ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং কক্ষে সাধারণ লাইটের মতোই আলো সরবরাহ করে।
আমার এই প্রজেক্টরে সুবিধা হলো:
যদি আমি আমর এই প্রকল্প ব্যবহার করি তবে একটি লাইট ও একটি ফ্যান চলাতে খরচ হবে মাত্র ২৪+৭=৩১ ওয়াট বিদ্যুৎ। যেখানে সাধারণ বাজারের লাইট বা ফ্যান ব্যবহার কররে খরচ হবে ৮৬+৬০= ১৪৬ ওয়াট বিদ্যুৎ। সুতরাং আমার এখানে ১৪৬-৩১= ১১৫ ওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে যদি আমি আমার উদ্ভাবিত জেনারেটর ব্যবহার করি তবে আমাকে কোনও বিদ্যুৎ বিল বহন করতে হবে না।
ছোট কক্ষের সঙ্গে স্থাপন করে যদি আমরা এ পদ্ধতি সারা দেশে ব্যবহার করি তবে আমরা কি কল্পনা করতে পারি যে কত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে? আমাদের দেশের ৪০-৩০ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র লাইট এবং ফ্যান ব্যবহার করে।
এখন মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালে এই প্রযুক্তি পৌঁছানো এবং রক্ষাণাবেক্ষণ খরচ কমানোর বিষয়টি মাথায় রেখে আমার সমস্ত প্রকল্পটির নকশা করছি।
সর্বশেষে এ বিষয়টি বিবেচনায় নিতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশা করছি যে এ প্রকল্পটি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে। আমি আমার দেশের জন্য কিছু করতে চাই এবং আমার দেশের মানুষকে উৎসাহ দিতে চাই যাতে তারা নিজেদের প্রচেষ্টা, আরাধনা, বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে।
এই কাজটি করতে কয়েকজন দেশপ্রেমিকআমাকে উৎসাহ যুগিয়ে ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সাফল্যের পথে নিয়ে এসেছেন। তাদের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাদের নাম আমি কোনও এক সময় প্রকাশ করবো।
>>শাহরিয়ার হোসেন, প্রকৌশলী, এএমআইই (বুয়েট)
No comments