নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার, মহার্ঘ ভাতা ২০ ভাগ বৃদ্ধির আশ্বাস
২০ ভাগ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। শুক্রবার বিকেল থেকে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে চলা বৈঠকে রাতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
এদিকে শুক্রবার তৃতীয় দিনের নৌশ্রমিক ধর্মঘটে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়েছে। গতরাতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এখন একজন শ্রমিক মোট যে বেতন পান তার উপর ২০ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই নৌযান শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে। আর চলতি মাসেই বর্ধিত হারে মালিকপক্ষ বেতন দিতে সম্মত হয়েছেন।শুক্রবার বিকেলে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খানের সভাপতিত্বে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মালিক শ্রমিক এবং সরকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে মালিকপক্ষ শ্রমিকের ১০০ ভাগ মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়। কিন্তু শ্রমিকপক্ষ তা মানতে নারাজ থাকায় দীর্ঘসময় ধরে বৈঠকটি চলে। রাত আটটার পর বৈঠকে সর্বসস্মতিক্রমে ২০ ভাগ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে শ্রম পরিচালক আবু সাঈদ মোঃ খোরশেদুল আলম, উপ-শ্রম পরিচালক (ট্রেড ইউনিয়ন) এসএম এনামুল হক, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ নৌ-চলাচল যাত্রী সংস্থার (যাপ) সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি গোলাম রহমান টিপু, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার, মদিনা ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক হাজী মোঃ সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
নৌ-চলাচল যাত্রী সংস্থার (যাপ) সহ-সভাপতি গোলাম রহমান টিপু রাতে জনকণ্ঠকে বলেন, গত পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০ ভাগ বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে। আজ থেকে সব নৌযান চলবে।
এদিকে শুক্রবার ধর্মঘটে চট্টগ্রাম, মংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই খালাস ব্যাহত হয়েছে। সদরঘাট থেকে কিছু লঞ্চ ছাড়লেও দেশের অন্য নৌবন্দর থেকে দূর পাল্লার কোন লঞ্চ ছাড়েনি। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের এজতেমায় আসতে বেগ পেতে হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ১৬ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
No comments