চমক দেখাতে পারে মহিলা ফুটবল
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ উপলৰে ঢাকায় এসেছিলেন নিখিল ভারত ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলবার্তো কোলাসো। তিনিই জানিয়ে গেছেন ভারতের মূল জাতীয় দল অংশ নেবে এসএ গেমসের মহিলা ফুটবলে।
দৰিণ এশিয়ার এই ক্রীড়া উৎসবে এবারই প্রথম যোগ করা হয়েছে মহিলা ফুটবল। আর প্রথম বলেই সিরিয়াস ভারত-রেকর্ড হিসেবে প্রথমবারের স্বর্ণ পদকটা তাদেরই চাই। ফলে মূল জাতীয় দলকেই তৈরি করা হচ্ছে। এতে অবশ্য একটা উপকার হয়েছে। লড়াইটা জমিয়ে তুলতে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেলার মানসিকতা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে। আশা বলতে অন্য কিছু নয়-স্বর্ণ পদক লৰ্য থাকলেও ফাইনালে খেলার আগে হাল ছাড়তে নারাজ বাংলাদেশ দল। এমন আভাস দিয়েছেন দলের কোচ তথা মেয়েরা। এসএ গেমসের মহিলা ফুটবলে যে পাঁচটি দল অংশ নিচ্ছে এরমধ্যে সমৃদ্ধ ভারতেই পরই বাংলাদেশ। অন্য দল তিনটি হচ্ছে পাকিসত্মান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বিরম্নদ্ধে বাংলাদেশ খেলবে জেতার লৰ্যে। যদিও কিছুটা সংশয় কাজ করছে পাকিসত্মানকে নিয়ে। শারীরিক গড়ন ও ফিটনেসে পাকিসত্মানী মেয়েরা এগিয়ে। কিন্তুু ট্যাকনিক-ট্যাকটিশে বাংলাদেশ অনেক পরিণত। কাজেই ফাইনালে খেলার আশা বাংলাদেশ করতেই পারে ।ভারতে মহিলা ফুটবলের চর্চা ৪০ বছর ধরে। আর বাংলাদেশের কেবল শুরম্ন বলা যায়। মাত্র কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা। আগস্ট থেকে শুরম্ন হয়েছে মেয়েদের প্রশিৰণ। চলছে ধারাবাহিকভাবে। অনুশীলন চলছে সকাল-বিকাল, দু'বেলা। ফিটনেস বাড়াতে নিয়মিত জিম করানো হচ্ছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের পৰ থেকে ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ২৫ হাজার টাকা করে পুরস্কারের কথা। যেভাবে গাইড করা হচ্ছে এবং মেয়েদের আগ্রহ, খেলা দেখার পর অনেকেরই বিশ্বাস আগামীতে খুবই ভাল করবে বাংলাদেশ। ইন্দো-বাংলা গেমসের চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে বর্তমান দল অনেক সুবিন্যসত্ম। ডিফেন্স, মিডফিল্ড বেশ শক্তিশালী। দু'জন স্ট্রাইকার রয়েছেন যাদের খেলা খুবই প্রশংসা করার মতো। সব মিলিয়ে ভাল রেজাল্ট আশা করাই যায়। ভারত যত অভিজ্ঞ, শক্তিশালীই হোক, ফুটবল গোলের খেলা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কেউ কি মনে করেছিল ভারতের অনূধর্্ব-২৩ দল চ্যাম্পিয়ন হবে। গোলরৰক কেমি চাকমা, লক্ষ্মী দেবী নায়ার ও সাবিনা খুবই ভাল পারফর্ম করছে। রৰণভাগে তৃষ্ণা চাকমা, সুইনুুচি, ওমরাচিং, স্ট্রাইকার নীলা, মধ্যমাঠে সুইনু প্রম্ন মারমা, নুবাই চিং মারমা, মাকসুদা সুখি, রওশন আরা বুলু, স্ট্রাইকিংয়ে শারমিন আকতার রম্নপা ও রেহেনা দলের সবচেয়ে বেধাবী ফুটবলার। মহিলা ফুটবল দলের প্রধান প্রশিৰকের দায়িত্বে রয়েছেন শহিদুর রহমান সান্টু। প্রশিৰক হিসাবে আছেন ছোটন। এসএ গেমসে পাঁচটি দল সবাই সবার বিরম্নদ্ধে খেলবে। এরপর 'টপ টু ফাইনাল।
No comments