সাঁতারম্নদের স্বপ্ন ৪ স্বর্ণ, তবে...

এক সময় সাফ গেমসে গ্যারান্টি দিয়ে অংশ নিতো সাঁতার দল। বলেকয়ে জলে নামতেন সাঁতারম্নরা স্বর্ণপদক জয়ের। এটা এখন ইতিহাস। নিজ মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য গেমসে ৪ স্বর্ণের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ সাঁতার দল।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত আগের দুই সাফ গেমসের মধ্যে ১৯৮৫ সালে ৬ স্বর্ণ এবং ১৯৯৩ সালে ২ স্বর্ণ পেয়েছিল বাংলাদেশ। দৰিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসে বাংলাদেশের যা কিছু বড় অর্জন তার অনেকটাই এসেছে সাঁতার থেকে। মাঝের সময়টা বেশ খারাপ কাটলেও এবারের আসরকে ঘিরে প্রত্যাশা একটু বেশি বাংলাদেশের। ২০০৬ সালের কলম্বো আসরে বাংলাদেশের পদক খরার মধ্যে ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে স্বর্ণ জিতে গেমসে প্রথম লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছিলেন শাহজাহান আলী রনি। শেষ সময়ে এসে জন্ডিসে আক্রানত্ম হবার কারণে রনির অংশগ্রহণ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সংশয়। তবু নবীন-অভিজ্ঞদের অংশগ্রহণে পুরম্নষ বিভাগে ৩ স্বর্ণ, ৯ রৌপ্য ও ৬ ব্রোঞ্জের টার্গেট। অন্যদিকে মহিলা বিভাগে স্বাগতিকদের প্রত্যাশা ১স্বর্ণ, ১ রৌপ্য ও ৫ ব্রোঞ্জের। এবারের এসএ গেমসে পদকের লড়াই হবে পুরম্নষদের ১২ এবং মহিলাদের ৭ আলাদা ইভেন্টে।
তিন বছর আগেই হেপাটাইটিস বি-তে আক্রানত্ম হয়েছিলেন রনি। সম্প্রতি কঠোর অনুশীলনের চাপে তাঁর সেই রোগ আবার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধানত্ম নিয়েছেন, এসএ গেমসের আগ পর্যনত্ম রনিকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখার। তবে খেলার দিন ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে তাঁকে পানিতে নামানো হবে। ফেডারেশন সম্পাদক, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মাহবুবুর রহমান শাহিনের মতে, বর্তমান টাইমিং অৰুণ্ন রাখতে পারলে স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা আছে রনির। তবে হতাশ তিনি ইলেক্ট্রনিক্স স্কোরবোর্ড নিয়ে। গেমসের আগেই এটা ঠিকঠাক করা দরকার ছিল। এতে স্থানীয় সাঁতারম্নরাও উপকৃত হতেন। নিজের পারফরমেন্স যাচাই করতে পারতেন ইলেক্ট্রনিক্স স্কোরবোর্ডে। ফেডারেশনের পৰ থেকে বিষয়টা অবহিত করা হলেও সরকারের পৰ থেকে যথাসময়ে উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শাহিন বললেন, এটা আমার ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। সরকারেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বিদেশীদের কাছে_যদি হ্যান্ড টাইমিং ব্যবহার করা হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সাঁতার প্রতিযোগিতাতেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এই খেলোয়াড় এসএ গেমসের টাইমিং ভঙ্গ করেন। ৫০ ও ১০০ মিটার বাটারফাইয়ে কলম্বোতে রৌপ্য জেতা জুয়েল আহমেদ এবার দুই ইভেন্টে অংশ নিয়ে একটি স্বর্ণ জিততে প্রত্যয়ী। ২০০৪ সালে ইসলামাবাদ এসএ গেমসে ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে স্বর্ণ জেতেন রম্নবেল রানা। গত আসরে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে রম্নবেলের প্রাপ্তি ছিল স্বর্ণ। এই দুই ইভেন্টের যে কোন একটিতে এবার স্বর্ণ জিততে চান কুষ্টিয়ার এই সাঁতারম্ন। মহিলাদের ইভেন্টে সম্ভাবনার অনেকখানি জুড়ে আছেন ডলি আক্তার। কোরিয়ান কোচ তাঁকে ঘিরে ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল ও ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের যে কোন একটিতে স্বর্ণের স্বপ্ন দেখছেন। ডলি সেটা করে দেখাতে পারলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম স্বর্ণজয়ী মহিলা সাঁতারম্ন হতে পারবেন তিনি। সবুরা খাতুন ও মাহফুজা আক্তার শিলাও রয়েছেন ডলির পাশাপাশি সম্ভাবনার তালিকায়।

No comments

Powered by Blogger.