স্বর্ণ পদকের গ্যারান্টি নেই এ্যাথলেটিক্সে, কিন্তু তবুও

দৰিণ এশিয়ার ক্রীড়ায় এক সময় এ্যাথলেট দলের পারফরমেন্স ছিল আশানুরূপ। অননত্ম স্বর্ণ পদক জিতেই ট্যাক ত্যাগ করতেন এ্যাথলেটরা। কিন্তু শাহ আলম, বিমল, মাহবুবদের মানের এ্যাথলেটদের অভাব পূরণ হয়নি।
কাজেই সাফল্যের রেকর্ড গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। যদিও এ্যাথলেটিক্সের মেয়েদের বিভাগে সুমিতা রানী দাসকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। গত কলম্বো আসরে ১০০ মিটার হার্ডলসে রৌপ্য পেয়েছিলেন নোয়াখালীর দীর্ঘদেহী ডাগর চোখের মেয়েটি। সেবার তাঁর টাইমিং ছিল ১৪.৪৩ সেকেন্ড। স্বর্ণজয়ী হার্ডলার করেন ১৪.৩৬ সেকেন্ড। গেল ডিসেম্বরে সামার এ্যাথলেটিক্সে সুমিতা হ্যান্ড টাইমিংয়ে ১৩.৮২ সেকেন্ড সময় নেন। কোচ কিতাব আলী জানালেন, হ্যান্ড টাইমিংয়ের সঙ্গে সাধারণত .৩ যোগ করা হয় তাতে সুমিতার সময় দাঁড়ায় ১৪.১০ সেকেন্ড। এখন সময় ভাল বলতে পারবে সুমিতা কি উপহার দিতে পারেন জাতিকে।
গেমসের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে এ্যাথলেটিক্স। সেখানে দেশের মাটিতে বাজবে কি শুধু ভারত-শ্রীলঙ্কা-পাকিসত্মানের জাতীয় সঙ্গীত? এ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশের কোন এ্যাথলেট স্বর্ণ জয় করতে পারবেন, এমন কথা বুকে হাত দিয়ে বলার মতো কেউ নেই। মাহফুজুর রহমান মিঠু ইতালিতে পালিয়ে না গেলে তাঁর স্বর্ণ জয় ছিল নিশ্চিত। এখন আবু আবদুলস্নাহ-শামসুদ্দিনরা রিলেতে স্বর্ণালী প্রত্যাশা।
বাংলাদেশে জন্মেছিলেন মোহাম্মদ শাহ আলমের মতো এ্যাথলেট। যিনি ১৯৮৫ ও ১৯৮৭ সালের দুই সাফ গেমসে দ্রম্নততম মানবের খেতাব পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাফ গেমসে বিমল চন্দ্র তরফদারকেও ভোলার নয়।
সুমিতাকে নিয়ে কিতাব আলীর একটু বেশি ভরসা করার কারণ কি? 'কারণ গত এসএ গেমসে আমরা ছিলাম প্রতিপৰ সম্পর্কে অন্ধকারে। তাই মিঠুকে নিয়ে জোর আশাবাদ দিতে পারিনি। সেবার সুমিতা রৌপ্য জয় করায় তাঁর অভিজ্ঞতা বেড়েছে। লম্বা প্রশিৰণের কারণে তাই আগের তুলনায় আশাবাদী। সেই সঙ্গে ১০০ মিটার হার্ডলসে ওর জোর প্রতিদ্বন্দ্বী জেসমিন আক্তার দাঁড়িয়ে যাওয়াতে সুমিতার মধ্যে জেদ এখন অনেক বেশি।' সর্বশেষ জাতীয় এ্যাথলেটিক্স মিটে সুমিতা তাঁর মূল ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করতে পারেননি। অখ্যাত জেসমিন হারিয়ে দেন তাঁকে। সুমিতার এই ব্যর্থতার মূলে ছিল ইনজুরি। জেসমিন তাই মালয়েশিয়ায় হাই পারফরমেন্স ট্রেনিং সেন্টারে উচ্চতর প্রশিৰণ নেওয়ার সুযোগ পান। গত এক বছর উপুর্যপুরি ব্যর্থতা ও ইনজুরির কারণে অনেকে ভেবেছিলেন হারিয়ে গেছে সুমিতা। কিন্তু সত্যিকারের সাহসী মানুষ কখনও হারিয়ে যায় না। সেটা প্রমাণ করেই ফিরে এসেছেন তিনি। আরও প্রমাণ করেছেন, তিনিই দেশসেরা। অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় প্রশিৰণকালে বাংলাদেশের ৫ এ্যাথলেট স্থানীয় যে বিভিন্ন মিটে অংশ নিয়েছে, তাতে জেসমিনের পারফরমেন্স ছিল সবচেয়ে ভাল। তাই ১০০ মিটার হার্ডলসে সুমিতার পাশাপাশি জেসমিনেরও ভাল সুযোগ রয়েছে সাফল্যের।

No comments

Powered by Blogger.