অনলাইন থেকে-মৃত্যু উপত্যকা পাকিস্তান
উট পাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে রেখে
কোনো লাভ নেই। জঙ্গিরা যা করছে, তা লুকিয়ে রাখা যাবে না। সারা দুনিয়ায় আজ
দেশটি (পাকিস্তান) সম্পর্কে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বৈরিতা ক্রমাগত বেড়েই
চলেছে।
সর্বশেষ পাকিস্তানের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন এলাকায়
কয়েকজন বিদেশিকে হত্যার ঘটনা আবারও দেশটি সম্পর্কে বিদেশিদের নেতিবাচক
ধারণাকেই উস্কে দিল। তারা এই দেশটিকে নতুন করে চিনল একটি মৃত্যু উপত্যকা
হিসেবে, একটি বর্বরতার দেশ হিসেবে। তাই গিলগিট-বালতিস্তানের গত রবিবারের
ঘটনা এ দেশের মৃতুপথযাত্রী পর্যটনশিল্পের জন্য আরেকটি বড় ধরনের আঘাত
হিসেবেই গণ্য করা যায়। নব্বইয়ের দশকে যেখানে প্রতিবছর ১২০ থেকে ১৫০ জন
পর্বতারোহী পর্যটক আসত, সেখানে গত কয়েক বছর পর্যটক এসেছে ২০ থেকে ৩০ জন। এই
ঘটনার পর সেটিও নিশ্চয় বন্ধ হয়ে যাবে।
এমন কোনোদিন নেই, যেদিন পাকিস্তানের কোথাও না কোথাও দু-চারটি বোমা হামলার ঘটনা না ঘটছে। গতকালও সিন্ধু হাইকোর্টের একজন বিচারক মকবুল বাকিরকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা হয়েছে। এতে ৯ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। একই দিনে কোয়েটা ও খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকায় আরো দুটি বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি মসজিদেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর সবই দুনিয়া জানছে এবং প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই। কিন্তু সরকার কী করছে? পাকিস্তানকে ধ্বংসকারী এই জঙ্গিবাদ দমনে সরকারকে অবশ্যই একটি রোডম্যাপ নিয়ে এগোতে হবে। এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা আরো সুনির্দিষ্ট করতে ও বাড়াতে হবে। জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কর্তৃপক্ষের আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী রণকৌশল আরো স্পষ্ট ও কার্যকর করতে হবে। অনেক বাদ-বিবাদের পর অবশেষে বিগত পার্লামেন্টের অন্তিম সময়ে নাকতা আইন পাস করা হয়েছে। নতুন সরকারকে সেই আইনটি বাস্তবায়নে আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। গবেষণা, নীতি-নির্ধারণ ও সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে নাকতার বহুল পরিচিতি থাকলেও নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাকতার অসুবিধাগুলো অনেকেরই জানা নেই। সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে বড়-ছোট বা বেশি অথবা কম গুরুত্বের যে বিষয়গুলো রয়েছে এবং সে কারণে সমন্বয়ের যে অভাব তৈরি হয়, সেগুলো দূর করতেই হবে। সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করতে হবে। আর সে জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে জরুরি, সেটি হলো, নতুন সরকারের জোরালো রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
ডন-এর সম্পাদকীয় অবলম্বনে এফ সরকার
এমন কোনোদিন নেই, যেদিন পাকিস্তানের কোথাও না কোথাও দু-চারটি বোমা হামলার ঘটনা না ঘটছে। গতকালও সিন্ধু হাইকোর্টের একজন বিচারক মকবুল বাকিরকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা হয়েছে। এতে ৯ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। একই দিনে কোয়েটা ও খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকায় আরো দুটি বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি মসজিদেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর সবই দুনিয়া জানছে এবং প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই। কিন্তু সরকার কী করছে? পাকিস্তানকে ধ্বংসকারী এই জঙ্গিবাদ দমনে সরকারকে অবশ্যই একটি রোডম্যাপ নিয়ে এগোতে হবে। এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা আরো সুনির্দিষ্ট করতে ও বাড়াতে হবে। জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কর্তৃপক্ষের আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী রণকৌশল আরো স্পষ্ট ও কার্যকর করতে হবে। অনেক বাদ-বিবাদের পর অবশেষে বিগত পার্লামেন্টের অন্তিম সময়ে নাকতা আইন পাস করা হয়েছে। নতুন সরকারকে সেই আইনটি বাস্তবায়নে আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। গবেষণা, নীতি-নির্ধারণ ও সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে নাকতার বহুল পরিচিতি থাকলেও নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাকতার অসুবিধাগুলো অনেকেরই জানা নেই। সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে বড়-ছোট বা বেশি অথবা কম গুরুত্বের যে বিষয়গুলো রয়েছে এবং সে কারণে সমন্বয়ের যে অভাব তৈরি হয়, সেগুলো দূর করতেই হবে। সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করতে হবে। আর সে জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে জরুরি, সেটি হলো, নতুন সরকারের জোরালো রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
ডন-এর সম্পাদকীয় অবলম্বনে এফ সরকার
No comments