পদ্মা সেতু নির্মাণে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা বেসরকারী খাতের- পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের তাগিদ by এম শাহজাহান
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু
হলে বেসরকারী খাত সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ব্যবসায়ী ও
শিল্পোদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তুতি
নিচ্ছে।
ঠিক কিভাবে এ ক্ষেত্রে অর্থায়ন করা যায় তার একটি
খসড়া মতামত শীঘ্রই তুলে ধরবে সংগঠনটি। একই সঙ্গে সরকারের কাছ থেকেও কোন
প্রস্তাব আসে কিনা সেটির দিকে নজর রাখছে এফবিসিসিআই। এ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই
সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমরা চাই-ই
চাই। আর এ ক্ষেত্রে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হলে সরকারকে
সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে এফবিসিসিআই। শুধু ব্যবসায়ী মহল নয়, দেশের প্রতিটি
মানুষ পদ্মা সেতু চায়। তাই দলমত নির্বিশেষে সকলের উচিত পদ্মা সেতু নির্মাণে
সরকারকে সহযোগিতা করা।’
এদিকে, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে গত বছরের জুলাই মাসে বেসরকারী খাত সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হলে বেসরকারী খাতের ওই প্রচেষ্টা আর এগোয়নি। কিন্তু এবার বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের যেকোন উদ্যোগে সহযোগিতা করবে বেসরকারী খাত।
আর বেসরকারী খাতের এ তালিকায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রুপ অব কোম্পানিজ। এছাড়া স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশও বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এ ধরনের একটি স্পিরিট কাজ করছে ব্যবসায়ী মহলে।
আর তাই পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিনিয়োগে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও বাণিজ্য সংগঠন আগ্রহী হয়ে উঠছে। নিজস্ব অর্থায়নে যাতে পদ্মা সেতু নির্মাণ হতে পারে সে লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতার উপায় খুঁজছে বেসরকারী খাত। এ লক্ষ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা। এফবিসিসিআইয়ের পাশাপাশি বেসরকারী খাতের শীর্ষ সংগঠন রিহ্যাব, রফতানিকারকদের সংগঠন ইএবি, বস্ত্র খাতের বড় সংগঠন বিজিএমইএ পদ্মা সেতু নির্মাণে কিভাবে বেসরকারী খাত অর্থায়ন করতে পারে তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছে।
জানতে চাওয়া হলে এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী জনকণ্ঠকে বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হলে সেটি হবে দেশের জন্য উত্তম ও মঙ্গলজনক। তবে নিজস্ব অর্থায়নের প্রক্রিয়াটি সহজ নয়, অনেক সময়ের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে পিপিপি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পিপিপি’র অধীনে এখন দেশে সেরকম কোন বিনিয়োগ হয়নি। তবে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প পিপিপি’র অধীনে বাস্তবায়ন করা গেলে সেটি হবে বড় অর্জন। তবে এজন্য প্রয়োজন ট্রান্সপারেন্ট পলিসি। সরকার এ ধরনের একটি পলিসি নিয়ে এলে দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করার মতো অর্থ দেশেই রয়েছে। এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করে যদি লাভের সম্ভাবনা থাকে তবে অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন। দেশী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যারা দেশের বাইরে কাজ করছেন সেসব প্রবাসীর অর্থ এ প্রকল্পে বিনিয়োগ হিসেবে নিয়ে আসতে হবে।
নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলেও বিদেশী কারেন্সি প্রয়োজন হবে। সেদিকটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া উচিত। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বেসরকারী খাতের অর্থায়ন প্রয়োজন হলে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসা প্রয়োজন। একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়ার পর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।
এদিকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে। গত বছরের জুন মাসে বিআইয়ের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর উদ্যোগ নেয়া হলে বিআইএ সরকারের পাশে থাকবে। প্রয়োজনে ঘোষিত অর্থের চেয়ে আরও বেশি বিনিয়োগ করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সংগঠনটি। বিআইয়ের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, সরকার চাইলে বন্ড আকারে অথবা যেকোনভাবে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ হতে পারে। বিআইএ থেকে ইতোপূর্বে অর্থমন্ত্রীর কাছে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডের টাকা বিনিয়োগের জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড তাতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং রেমিটেন্স দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একটি যুগান্তকারী ঘোষণা। ন্যাশনাল ব্যাংক বিশ্বাস করে তাঁর এ ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ’৭১-এর চেতনায় সমগ্র বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসবে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে।
এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে সিকদার গ্রুপ। এ গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে সিকদার গ্রুপ তাতে ২০০ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে।
এদিকে অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, দেশের অর্থ দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত সম্প্রতি একটি সেমিনারে বলেছেন, আমাদের দেশে যে অর্থ আছে, তা দিয়ে তিনটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব। দেশের ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে ৫ শতাংশ, বীমা কোম্পানিগুলো থেকে ১০-১৫ হাজার কোটি টাকা, অপ্রদর্শিত অর্থ থেকে ৫ শতাংশসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ৯৬ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে তিনটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের টাকায় কেউ কখনও উন্নতি লাভ করতে পারেনি। তারা পদ্মা সেতুতে কোন অর্থ না দিয়েই বলছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাদের নিজেদের দুর্নীতি অনেক, সেটা খতিয়ে দেখবে কে? তারা নিজেদের পছন্দের পরামর্শক নিয়োগের কথা বলেছে, সেটাও অনৈতিক।
এদিকে, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে গত বছরের জুলাই মাসে বেসরকারী খাত সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হলে বেসরকারী খাতের ওই প্রচেষ্টা আর এগোয়নি। কিন্তু এবার বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের যেকোন উদ্যোগে সহযোগিতা করবে বেসরকারী খাত।
আর বেসরকারী খাতের এ তালিকায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রুপ অব কোম্পানিজ। এছাড়া স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশও বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এ ধরনের একটি স্পিরিট কাজ করছে ব্যবসায়ী মহলে।
আর তাই পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিনিয়োগে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও বাণিজ্য সংগঠন আগ্রহী হয়ে উঠছে। নিজস্ব অর্থায়নে যাতে পদ্মা সেতু নির্মাণ হতে পারে সে লক্ষ্যে সরকারকে সহযোগিতার উপায় খুঁজছে বেসরকারী খাত। এ লক্ষ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা। এফবিসিসিআইয়ের পাশাপাশি বেসরকারী খাতের শীর্ষ সংগঠন রিহ্যাব, রফতানিকারকদের সংগঠন ইএবি, বস্ত্র খাতের বড় সংগঠন বিজিএমইএ পদ্মা সেতু নির্মাণে কিভাবে বেসরকারী খাত অর্থায়ন করতে পারে তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছে।
জানতে চাওয়া হলে এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী জনকণ্ঠকে বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হলে সেটি হবে দেশের জন্য উত্তম ও মঙ্গলজনক। তবে নিজস্ব অর্থায়নের প্রক্রিয়াটি সহজ নয়, অনেক সময়ের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে পিপিপি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পিপিপি’র অধীনে এখন দেশে সেরকম কোন বিনিয়োগ হয়নি। তবে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প পিপিপি’র অধীনে বাস্তবায়ন করা গেলে সেটি হবে বড় অর্জন। তবে এজন্য প্রয়োজন ট্রান্সপারেন্ট পলিসি। সরকার এ ধরনের একটি পলিসি নিয়ে এলে দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করার মতো অর্থ দেশেই রয়েছে। এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করে যদি লাভের সম্ভাবনা থাকে তবে অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন। দেশী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যারা দেশের বাইরে কাজ করছেন সেসব প্রবাসীর অর্থ এ প্রকল্পে বিনিয়োগ হিসেবে নিয়ে আসতে হবে।
নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলেও বিদেশী কারেন্সি প্রয়োজন হবে। সেদিকটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া উচিত। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বেসরকারী খাতের অর্থায়ন প্রয়োজন হলে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসা প্রয়োজন। একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়ার পর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।
এদিকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে। গত বছরের জুন মাসে বিআইয়ের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর উদ্যোগ নেয়া হলে বিআইএ সরকারের পাশে থাকবে। প্রয়োজনে ঘোষিত অর্থের চেয়ে আরও বেশি বিনিয়োগ করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সংগঠনটি। বিআইয়ের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, সরকার চাইলে বন্ড আকারে অথবা যেকোনভাবে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ হতে পারে। বিআইএ থেকে ইতোপূর্বে অর্থমন্ত্রীর কাছে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডের টাকা বিনিয়োগের জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড তাতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং রেমিটেন্স দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একটি যুগান্তকারী ঘোষণা। ন্যাশনাল ব্যাংক বিশ্বাস করে তাঁর এ ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ’৭১-এর চেতনায় সমগ্র বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসবে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে।
এছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে সিকদার গ্রুপ। এ গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর মতো কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে সিকদার গ্রুপ তাতে ২০০ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে।
এদিকে অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, দেশের অর্থ দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত সম্প্রতি একটি সেমিনারে বলেছেন, আমাদের দেশে যে অর্থ আছে, তা দিয়ে তিনটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব। দেশের ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে ৫ শতাংশ, বীমা কোম্পানিগুলো থেকে ১০-১৫ হাজার কোটি টাকা, অপ্রদর্শিত অর্থ থেকে ৫ শতাংশসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ৯৬ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে তিনটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের টাকায় কেউ কখনও উন্নতি লাভ করতে পারেনি। তারা পদ্মা সেতুতে কোন অর্থ না দিয়েই বলছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাদের নিজেদের দুর্নীতি অনেক, সেটা খতিয়ে দেখবে কে? তারা নিজেদের পছন্দের পরামর্শক নিয়োগের কথা বলেছে, সেটাও অনৈতিক।
No comments