সোনাদিয়ায় ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি ॥ গুলিবিদ্ধ ৬, নিখোঁজ ২৯
কক্সবাজারের মহেশখালীর গভীর বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে ২টি ফিশিং ট্রলারে আবারও ডাকাতি হয়েছে। সশস্ত্র জলদস্যুরা মাঝি মাল্লাদের এলোপাতাড়ি গুলি করে সাগরে ফেলে দিয়ে ট্রলার, মাছ জালসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে।
শনিবার দুপুরে সংঘটিত এ ঘটনায় ৩৫ জন মাঝি মাল্লা নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৬ মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধার করে রবিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। নিখোঁজ ২৯ জেলেকে উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে। সাগরে বহু ফিশিং ট্রলার নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ। কক্সবাজার বোট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার-মহেশখালীর মাঝামাঝি সোনাদিয়া চ্যানেল এলাকায় শনিবার দুপুর ২টার দিকে দুইটি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র জলদস্যুরা মাঝি মাল্লাদের এলোপাতাড়ি গুলি করে সাগরে নিক্ষেপ করেছে। নিয়ে গেছে সব মাল। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। শনিবার রাত ১টায় আহত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাগর থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করে রবিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহত জেলে মাঝি ছৈয়দ নুর স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, জলদস্যুরা ট্রলারে হানা দিয়ে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। জীবন বাঁচাতে অনেক মাঝি-মাল্লাসাগরে ঝাঁপ দেয়। আবার কোন কোন মাঝি মাল্লাকে সাগরে ফেলে দেয় ডাকাতরা। অন্যান্য ফিশিং বোটের জেলেরা তাদের উদ্ধার করলেও নিখোঁজ জেলেদের সম্পর্কে তারা কিছু জানে না বলে জানান।
নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের মধ্যে আমানুল হক, বাদশাহ আলম, মোঃ নসিব, ওবাইদুল্লাহ, শফিউল আলম, মোঃ জাকারিয়া, হাশেম উল্লাহ, রশিদ উল্লাহ, মোহামুদুল হাসান, একরামুল হক ও আবছার। অবশিষ্ট নিখোঁজ ১৮ জনের নাম জানা যায়নি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন জানান, সাগরে ট্রলার ডাকাতির ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি বিভিন্ন থানাসহ কোস্টগার্ডকে জরুরী ভিত্তিতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারের ব্যাপারে জোর তৎপরতা চলছে।
No comments