শাহজালালে শীঘ্রই আরেকটি রানওয়ে নির্মাণ করা হবে- বিমানবন্দর সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের ফারুক খান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরও একটি রানওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণের ব্যাপারে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেশ তৎপর।
অল্প সময়ের মধ্যে সরকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের মধ্যেই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। পাশাপাশি তৃতীয় টার্মিনাল করারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।রবিবার গভীর রাতে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের এসফল্ট কংক্রিট আস্তরণের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও পরিদর্শন করতে গিয়ে বিমান পরিবহনমন্ত্রী ফারুক খান সাংবাদিকদের জানান এসব তথ্য। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন, সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন শফিকুল আলম, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মোনেম ও প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামীসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ।
গভীর রাতে মন্ত্রী বিপুলসংখ্যক সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে রানওয়ের আস্তরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে তিনি রানওয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত হেঁটে যান। কাজের গুণগতমান সম্পর্কে তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। এ সময় তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে এখন দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিমানবন্দরে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বিমান ওঠানামা করছে সেই সঙ্গে বাড়ছে যাত্রী সংখ্যাও। আর তাই বর্তমান সরকার বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার সুবিধার্থে দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণ করবে।
উল্লেখ্য, শাহজালালের একমাত্র রানওয়ের সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। তখন এর ব্যবহারিক মেয়াদ সর্বোচ্চ দশ বছর পর পুনরায় সংস্কারের পরামর্শ ছিল বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে দশ বছরের মধ্যে সেটা সংস্কার করা হয়নি। এ অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যেই গত ৬ বছর ধরে রানওয়ের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ইকাওসহ বিশ্বের অন্যান্য বিমান চলাচল সংস্থা এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। এ অবস্থায় গত জুনে জরুরী ভিত্তিতে রানওয়ে সংস্কারের কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়। দেশের শীর্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড এ কাজের দরপত্র লাভ করে। এ বিষয়ে মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, দেশীয় প্রযুক্তি হলেও তারা এসব কাজে দক্ষ, আমরা তা যাচাই করেই কাজ দিয়েছি। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটি এ কাজ করেছে। মে মাস নাগাদ এ আস্তরণের কাজ শেষ। এছাড়া এ কাজ হয়ে গেলে আগামী ১০ বছরে আর এই কাজ করতে হবে না বলেও জানান তিনি। শুধু এ কাজের জন্য বিমানবন্দরে রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে।
No comments