৬০ বছর পর ভাষাসৈনিকের নিজ গ্রামে শহীদ মিনার
’৫২-এর সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম
পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক এ্যাডভোকেট কাজী গোলাম
মাহাবুবের স্মৃতিবিজড়িত জন্মভূমি বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার লাখেরাজ কসবা
গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী মহল্লার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি বিভিন্ন
সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও নেই কোন শহীদ মিনার।
ফলে
প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে
কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ওইসব এলাকার মানুষ শহীদ মিনারে
শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছিল। ভাষাসৈনিকের নিজ গ্রামে স্থায়ী শহীদ মিনার
নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে ধরনা দিয়েও
ব্যর্থ হয়েছেন এলাকাবাসী। অবশেষে দীর্ঘ ৬০ বছর অপেক্ষার পর ভাষাসৈনিক কাজী
গোলাম মাহাবুব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবার শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ
করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের
উদ্বোধন করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯২৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর লাখেরাজ কসবা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কাজী গোলাম মাহাবুব ওরফে ছরু কাজী। তিনি ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় তৎকালীন পাকিস্তানের প্রশাসন তাঁর ওপর হুলিয়া জারি করেছিল। ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ তিনি ঢাকার ধানম-ির নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০ মার্চ তাঁর জন্মভূমি গৌরনদীর লাখেরাজ কসবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পারিবারিক গোরস্তানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। তাঁর বাবা ১৯৫১ সালে লাখেরাজ কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই স্কুল প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পরেও স্কুল প্রাঙ্গণে নির্মিত হয়নি কোন শহীদ মিনার। ভাষাসৈনিকের গ্রামের লোকজন, ইসলামী মিশন, কসবা নুরানী মাদ্রাসা, কসবা ইসলামী প্রি-ক্যাডেট স্কুল, রামসিদ্ধি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড় কসবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের লোকজন ভাষাসৈনিকের বাড়ির সামনে লাখেরাজ কসবা স্কুলের পাশে গত ৬০ বছর পর্যন্ত কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে মহান ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছিল।
-খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯২৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর লাখেরাজ কসবা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কাজী গোলাম মাহাবুব ওরফে ছরু কাজী। তিনি ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় তৎকালীন পাকিস্তানের প্রশাসন তাঁর ওপর হুলিয়া জারি করেছিল। ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ তিনি ঢাকার ধানম-ির নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০ মার্চ তাঁর জন্মভূমি গৌরনদীর লাখেরাজ কসবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পারিবারিক গোরস্তানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। তাঁর বাবা ১৯৫১ সালে লাখেরাজ কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই স্কুল প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পরেও স্কুল প্রাঙ্গণে নির্মিত হয়নি কোন শহীদ মিনার। ভাষাসৈনিকের গ্রামের লোকজন, ইসলামী মিশন, কসবা নুরানী মাদ্রাসা, কসবা ইসলামী প্রি-ক্যাডেট স্কুল, রামসিদ্ধি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড় কসবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের লোকজন ভাষাসৈনিকের বাড়ির সামনে লাখেরাজ কসবা স্কুলের পাশে গত ৬০ বছর পর্যন্ত কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে মহান ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছিল।
-খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল
No comments