বাংলায় গাইবে বিশ্ব_ তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, পথনাটক- সংস্কৃতি সংবাদ
বাংলায় গাইবে বিশ্ব'_ এ ম্লোগান নিয়ে এখন
রাজধানী ঢাকায় চলছে তিন দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক বাংলা সঙ্গীত উৎসব।
মঙ্গলবার ছিল এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন।
এদিনও বিশ্বের ১৫টি
দেশের বাঙালী_অবাঙালী শিল্পীরা গাইলেন বাংলায় গান। বিশেষ করে অবাঙালী
শিল্পীদের কণ্ঠে বাংলা গান শুনে বিমোহিত হলেন উপস্থিত হাজার হাজার শ্রোতা।
কোন কোন বিদেশী শিল্পীর কণ্ঠে ভাঙ্গা উচ্চারণে, আবার কারও সুললিত কণ্ঠে
বাংলার সাবলীল উচ্চারণ শুনে হতবাক হয়েছেন এমন শ্রোতার সংখ্যাও কম ছিল না।
বিকেলের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় শুরম্ন হওয়া এ অনুষ্ঠান চলে রাত দশটা
পর্যনত্ম। বাঙালী-অবাঙালী শিল্পীদের মাধুর্য ভরা সুললিত কণ্ঠ আর
বাদ্যযন্ত্রের সুরমূর্ছনায় কনসার্টের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ বাণিজ্যমেলার মাঠ
পেয়েছিল এক ভিন্ন আবহ। এ প্রজন্মের তরম্নণ-তরম্নণীরা অবাঙালী শিল্পীদের
কণ্ঠে বাংলার কালজয়ী গানগুলো শুনে যেমন হয়েছেন বিমোহিত, তেমনি তা উপভোগ
করেছেন নেচেগেয়ে। তরম্নণ প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা আনন্দ দেখে মনে হলো যেন,
দেশী-বিদেশী শিল্পীদের এক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে এ কনসার্টের মাধ্যমে।
এদিনও প্রথমেই ১৫ দেশের শিল্পীরা একত্রে উঠে আসেন মঞ্চে। পরিবেশন করেন দলীয় কণ্ঠে ভাষার গান_ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি... গানটি। তারপরই মঞ্চে আসেন দুই বাংলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় শিল্পী বাপ্পী লাহিড়ী। শ্রোতাদের মুুহমর্ুহু করতালির মাধ্যমে তিনি গেয়ে ওঠেন 'অমর সঙ্গী' ছবির সেই জনপ্রিয় গান_ চিরদিনই তুমি যে আমার, যুগে যুগে আমি তোমারই... গানটি। আর এ গানটি পরিবেশনের সময় স্টেজের সামনে এসে তরম্নণ-তরম্নণীরা বাপ্পী লাহিড়ীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে নাচতে থাকেন। এরপরই আসেন নচিকেতা, গেয়ে শোনান_ নিরঞ্জনা... গানটি। পাকিসত্মানী শিল্পী হাসান জাহাঙ্গীরের কণ্ঠে গীত হয়ে বেজে ওঠে_ তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়... গানটি এবং পাকিসত্মানের আর এক শিল্পী গেয়ে শোনান- আমায় ভাসাইলিরে, আমায় ডুবাইলিরে, অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাইরে...। সিঙ্গাপুরের শিল্পী নাদিয়া আলী যখন গেয়ে উঠলেন- আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই..., তখন শ্রোতারা যেন সজীব হয়ে উঠেন। নাদিয়া আলী নাচলেন স্টেজে, আর তরম্নণরা নাচলেন স্টেজের সামনে। তখন মনে হয়েছে নাদিয়া আলী আমাদেরই, আর এ বাংলা নাদিয়া আলীর। আমেরিকার আলেকজান্দ্রা গেয়ে শোনান- ভালবাসব বাসব রে বন্ধু তোমায় যতনে...গানটি। এভাবেই একে একে মঞ্চে এসে আরও গান পরিবেশন করেন কানাডার শিল্পী প্রিয়া, বাংলাদেশের ফুয়াদ, মিলা, বালাম, তপু ও হৃদয় খান। আজ বুধবার এ কনসার্টের সমাপনী। আজ কনসার্ট শুরম্ন হবে বিকেল চারটায়। গেট খুলবে সাড়ে তিনটায়।
শহীদ মিনারে পথনাটক উৎসব 'হানো আঘাত, চূর্ণ করো মৌলবাদ' সেস্নাগানে শুরম্ন হওয়া পথনাটক উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও প্রচুর নাট্যকমর্ী ও দর্শকের সমাগম ঘটেছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। এদিন উৎসবে মোট ছয়টি নাটক পরিবেশিত হয়। পদাতিক নাট্য সংসদ 'টিএসসি' পরিবেশন করে নাটক 'ট্রাইবু্যনাল'। কাজী রফিক রচিত নাটকের নির্দেশনা দেন ওয়াহিদুল ইসলাম। নাট্যযোদ্ধা পরিবেশন করে নাটক 'ফিলিমি কারবার'। জয়নাল আবেদীন জয় রচিত নাটকের নির্দেশনা দেন সফিকুল ইসলাম সোহেল। হামিদুর রহমান সুজন রচিত ও গাজী মাহবুব হাসান নির্দেশিত 'জাল' নাটকটি পরিবেশন করে নাট্যরথ। উৎসবে যোগ দেয় নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জের তিনটি দল। নাট্যদল এ বাংলায় পরিবেশন করে 'সাগর লুট' নাটকটি। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন কাজী শহীদুল ইসলাম। বাংলা নাট্যমের 'শপথ' নাটকটিও মুগ্ধ করে দর্শকদের। এ নাটকের রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আনিসুর রহমান শিপলু। নাট্যদল সঞ্চালক-এর 'ভেংচা ডটকম' দিয়ে শেষ হয় এদিনের আয়োজন। নাটকটির রচনা নির্দেশনায় ছিলেন আলমগীর মাহমুদ।
আয়োজক সূত্র জানায়, উৎসবের তৃতীয় দিনে আজ বুধবার নাটক পরিবেশন করবে আরও সাতটি দল।
এদিনও প্রথমেই ১৫ দেশের শিল্পীরা একত্রে উঠে আসেন মঞ্চে। পরিবেশন করেন দলীয় কণ্ঠে ভাষার গান_ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি... গানটি। তারপরই মঞ্চে আসেন দুই বাংলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় শিল্পী বাপ্পী লাহিড়ী। শ্রোতাদের মুুহমর্ুহু করতালির মাধ্যমে তিনি গেয়ে ওঠেন 'অমর সঙ্গী' ছবির সেই জনপ্রিয় গান_ চিরদিনই তুমি যে আমার, যুগে যুগে আমি তোমারই... গানটি। আর এ গানটি পরিবেশনের সময় স্টেজের সামনে এসে তরম্নণ-তরম্নণীরা বাপ্পী লাহিড়ীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে নাচতে থাকেন। এরপরই আসেন নচিকেতা, গেয়ে শোনান_ নিরঞ্জনা... গানটি। পাকিসত্মানী শিল্পী হাসান জাহাঙ্গীরের কণ্ঠে গীত হয়ে বেজে ওঠে_ তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়... গানটি এবং পাকিসত্মানের আর এক শিল্পী গেয়ে শোনান- আমায় ভাসাইলিরে, আমায় ডুবাইলিরে, অকুল দরিয়ার বুঝি কূল নাইরে...। সিঙ্গাপুরের শিল্পী নাদিয়া আলী যখন গেয়ে উঠলেন- আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই..., তখন শ্রোতারা যেন সজীব হয়ে উঠেন। নাদিয়া আলী নাচলেন স্টেজে, আর তরম্নণরা নাচলেন স্টেজের সামনে। তখন মনে হয়েছে নাদিয়া আলী আমাদেরই, আর এ বাংলা নাদিয়া আলীর। আমেরিকার আলেকজান্দ্রা গেয়ে শোনান- ভালবাসব বাসব রে বন্ধু তোমায় যতনে...গানটি। এভাবেই একে একে মঞ্চে এসে আরও গান পরিবেশন করেন কানাডার শিল্পী প্রিয়া, বাংলাদেশের ফুয়াদ, মিলা, বালাম, তপু ও হৃদয় খান। আজ বুধবার এ কনসার্টের সমাপনী। আজ কনসার্ট শুরম্ন হবে বিকেল চারটায়। গেট খুলবে সাড়ে তিনটায়।
শহীদ মিনারে পথনাটক উৎসব 'হানো আঘাত, চূর্ণ করো মৌলবাদ' সেস্নাগানে শুরম্ন হওয়া পথনাটক উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও প্রচুর নাট্যকমর্ী ও দর্শকের সমাগম ঘটেছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। এদিন উৎসবে মোট ছয়টি নাটক পরিবেশিত হয়। পদাতিক নাট্য সংসদ 'টিএসসি' পরিবেশন করে নাটক 'ট্রাইবু্যনাল'। কাজী রফিক রচিত নাটকের নির্দেশনা দেন ওয়াহিদুল ইসলাম। নাট্যযোদ্ধা পরিবেশন করে নাটক 'ফিলিমি কারবার'। জয়নাল আবেদীন জয় রচিত নাটকের নির্দেশনা দেন সফিকুল ইসলাম সোহেল। হামিদুর রহমান সুজন রচিত ও গাজী মাহবুব হাসান নির্দেশিত 'জাল' নাটকটি পরিবেশন করে নাট্যরথ। উৎসবে যোগ দেয় নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জের তিনটি দল। নাট্যদল এ বাংলায় পরিবেশন করে 'সাগর লুট' নাটকটি। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন কাজী শহীদুল ইসলাম। বাংলা নাট্যমের 'শপথ' নাটকটিও মুগ্ধ করে দর্শকদের। এ নাটকের রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আনিসুর রহমান শিপলু। নাট্যদল সঞ্চালক-এর 'ভেংচা ডটকম' দিয়ে শেষ হয় এদিনের আয়োজন। নাটকটির রচনা নির্দেশনায় ছিলেন আলমগীর মাহমুদ।
আয়োজক সূত্র জানায়, উৎসবের তৃতীয় দিনে আজ বুধবার নাটক পরিবেশন করবে আরও সাতটি দল।
No comments