জাতিসংঘের প্রতিবেদন-আফগান কারাবন্দিদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত আছে
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আফগান কারাবন্দিদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত আছে। এখনো অর্ধেকের বেশি কারাবন্দিকে বৈদ্যুতিক শক ছাড়াও বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। আর এই নির্যাতন চালায় আফগান পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।
গত রবিবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব নির্যাতনের কথা বলা হয়। তবে আফগান সরকার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক ৬৩৫ জনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বন্দি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আফগান পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এ নির্যাতন চালিয়েছে। নির্যাতনের ধরন সম্পর্কে ১৩৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দিদের কব্জিতে শিকল লাগিয়ে দীর্ঘক্ষণ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মারধরের পাশাপাশি তাদের ওপর চলে বিভিন্ন যৌন নির্যাতন। ১৮ বছরের কম বয়সী অনেক বন্দির কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। প্রতিবেদনে এসব নির্যাতনের জন্য জবাবদিহিতার অভাবকে দায়ী করা হয়। কিছু তদন্ত ছাড়া এসব নির্যাতনের কোনো বিচার হয় না। নির্যাতন বন্ধ করতে প্রতিবেদনে দেশটির বিচারপদ্ধতি ও আইন প্রয়োগপ্রক্রিয়া সংশোধন করতে আফগান সরকারকে সুপারিশ করা হয়।
ন্যাটো বাহিনী আফগান কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি ও কারাগারের দায়িত্ব দেওয়ার পর গত বছর একই ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত অক্টোবরে ন্যাটো বাহিনী আফগান কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি হস্তান্তর বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বাড়িয়ে দেয় কারাগারে নজরদারিও। এসব কারণে বন্দি নির্যাতন গত বছরের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত জান কুবিস জানান, প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তবে জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন আফগান প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আইমাল ফাইজি। তিনি বলেন, 'আফগান সরকার এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে জড়িত নয় এবং এটি তাদের নীতিও নয়।' তিনি বলেন, 'আমরা এ অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। তবে প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়া এবং প্রতিবেদনটির পেছনে অন্য কোনো স্বার্থ আছে কি না, তাতে আমাদের সন্দেহ আছে।' সূত্র : এএফপি।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক ৬৩৫ জনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বন্দি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আফগান পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এ নির্যাতন চালিয়েছে। নির্যাতনের ধরন সম্পর্কে ১৩৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দিদের কব্জিতে শিকল লাগিয়ে দীর্ঘক্ষণ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মারধরের পাশাপাশি তাদের ওপর চলে বিভিন্ন যৌন নির্যাতন। ১৮ বছরের কম বয়সী অনেক বন্দির কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। প্রতিবেদনে এসব নির্যাতনের জন্য জবাবদিহিতার অভাবকে দায়ী করা হয়। কিছু তদন্ত ছাড়া এসব নির্যাতনের কোনো বিচার হয় না। নির্যাতন বন্ধ করতে প্রতিবেদনে দেশটির বিচারপদ্ধতি ও আইন প্রয়োগপ্রক্রিয়া সংশোধন করতে আফগান সরকারকে সুপারিশ করা হয়।
ন্যাটো বাহিনী আফগান কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি ও কারাগারের দায়িত্ব দেওয়ার পর গত বছর একই ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত অক্টোবরে ন্যাটো বাহিনী আফগান কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি হস্তান্তর বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বাড়িয়ে দেয় কারাগারে নজরদারিও। এসব কারণে বন্দি নির্যাতন গত বছরের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত জান কুবিস জানান, প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তবে জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন আফগান প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আইমাল ফাইজি। তিনি বলেন, 'আফগান সরকার এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে জড়িত নয় এবং এটি তাদের নীতিও নয়।' তিনি বলেন, 'আমরা এ অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। তবে প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়া এবং প্রতিবেদনটির পেছনে অন্য কোনো স্বার্থ আছে কি না, তাতে আমাদের সন্দেহ আছে।' সূত্র : এএফপি।
No comments