একুশের গ্রন্থমেলা আজ থেকে
প্রতীক্ষার অবসান হতে চলল। দেশের
লেখক-প্রকাশক-পাঠকদের নিয়ে সবচেয়ে বড় আয়োজন মাসব্যাপী অমর একুশে
গ্রন্থমেলার দ্বারোদ্ঘাটন হবে আজ। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত
মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনের অপরাহে বাংলা একাডেমী চত্বরে মেলার উদ্বোধন
করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের মেলা উৎসর্গ করা হচ্ছে প্রয়াত জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা এ মেলার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
গ্রন্থমেলা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একাডেমীর নতুন ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান মেলার বিস্তারিত তথ্য ও একাডেমীর কর্মতৎপরতার পরিচিতি তুলে ধরেন। সম্মেলনে বক্তব্য দেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব সাহিদা খাতুন, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ব্র্যাক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মামদুদুর রশিদ ও স্টেপ মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক মোস্তফা জাহিদ খান।
সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মেলা হবে শুধু প্রকাশকদের। সামনের পথে কোনো স্টল থাকবে না। ২৪৬টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪১৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৮টি সরকারি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ৪২টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার ৪৫টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগ কর্নারে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করেছেন, তাঁদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখা যাবে। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমী প্রকাশিত বই শতকরা ৩০ ভাগ কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শতকরা ২৫ ভাগ কমিশনে বিক্রি করবে।
আরও জানানো হয়, তথ্যকেন্দ্র থাকবে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে। মিডিয়া সেন্টার থাকবে তথ্যকেন্দ্রের উত্তর পাশে। তাৎক্ষণিকভাবে মেলাসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের জন্য ফ্যাক্সসহ ই-মেইল সুবিধা থাকবে মিডিয়া সেন্টারে। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণকে ওয়াইফাই জোনে রূপান্তর করা হবে। এর ফলে মেলায় আসা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা ফ্রি ব্রাউজিংয়ের সুবিধা পাবেন। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের আর্থিক সহযোগিতায় স্টেপ মিডিয়া ও এক্সপ্রেশনস ব্যবস্থাপনা সহযোগী হিসেবে অমর একুশে গ্রন্থমেলার অবকাঠামো নির্মাণ ও সাজসজ্জার যাবতীয় কাজে বাংলা একাডেমীকে সহায়তা করছে।
বিদেশি বই: বিদেশি লেখকদের বই প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো লেখকদের বই মেলায় বিক্রি হতে অসুবিধা নেই। তবে যেসব বিদেশি লেখকের বই মেধাস্বত্ব আইনে নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডিতে থাকবে, তাঁদের সঙ্গে প্রকাশকদের চুক্তি করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে চুক্তির অর্থ পরিশোধের কাগজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে। এভাবে নিয়ম মেনে কোনো বিদেশি লেখকের বই প্রকাশ করলে তা মেলায় বিক্রি করা যাবে। মেলায় টাস্কফোর্স অভিযান চালাবে। অননুমোদিত বই পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করাসহ সংশ্লিষ্ট প্রকাশকদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময়সূচি: গ্রন্থমেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত নয়টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা এ মেলার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
গ্রন্থমেলা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একাডেমীর নতুন ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান মেলার বিস্তারিত তথ্য ও একাডেমীর কর্মতৎপরতার পরিচিতি তুলে ধরেন। সম্মেলনে বক্তব্য দেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব সাহিদা খাতুন, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ব্র্যাক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মামদুদুর রশিদ ও স্টেপ মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালক মোস্তফা জাহিদ খান।
সম্মেলনে জানানো হয়, এবার মেলা হবে শুধু প্রকাশকদের। সামনের পথে কোনো স্টল থাকবে না। ২৪৬টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪১৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২৮টি সরকারি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ৪২টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার ৪৫টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগ কর্নারে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করেছেন, তাঁদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখা যাবে। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমী প্রকাশিত বই শতকরা ৩০ ভাগ কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শতকরা ২৫ ভাগ কমিশনে বিক্রি করবে।
আরও জানানো হয়, তথ্যকেন্দ্র থাকবে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে। মিডিয়া সেন্টার থাকবে তথ্যকেন্দ্রের উত্তর পাশে। তাৎক্ষণিকভাবে মেলাসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের জন্য ফ্যাক্সসহ ই-মেইল সুবিধা থাকবে মিডিয়া সেন্টারে। ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণকে ওয়াইফাই জোনে রূপান্তর করা হবে। এর ফলে মেলায় আসা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা ফ্রি ব্রাউজিংয়ের সুবিধা পাবেন। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের আর্থিক সহযোগিতায় স্টেপ মিডিয়া ও এক্সপ্রেশনস ব্যবস্থাপনা সহযোগী হিসেবে অমর একুশে গ্রন্থমেলার অবকাঠামো নির্মাণ ও সাজসজ্জার যাবতীয় কাজে বাংলা একাডেমীকে সহায়তা করছে।
বিদেশি বই: বিদেশি লেখকদের বই প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো লেখকদের বই মেলায় বিক্রি হতে অসুবিধা নেই। তবে যেসব বিদেশি লেখকের বই মেধাস্বত্ব আইনে নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডিতে থাকবে, তাঁদের সঙ্গে প্রকাশকদের চুক্তি করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে চুক্তির অর্থ পরিশোধের কাগজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে। এভাবে নিয়ম মেনে কোনো বিদেশি লেখকের বই প্রকাশ করলে তা মেলায় বিক্রি করা যাবে। মেলায় টাস্কফোর্স অভিযান চালাবে। অননুমোদিত বই পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করাসহ সংশ্লিষ্ট প্রকাশকদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময়সূচি: গ্রন্থমেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত নয়টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
No comments