গলাচিপায় ১২ রাজাকারের বিরুদ্ধে মামলা- দুই মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমানের আদালতে স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর
১২ শীর্ষস্থানীয় রাজাকার ও আলবদরের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে
হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে
মুক্তিযোদ্ধা বাদশা ও হানিফকে জবাই করে খুন ও লাশ গুমের অভিযোগ করা হয়েছে
তারা আপন দুই ভাই। আদালত মামলায় কোন ধরনের আদেশ প্রদান করেনি। মুক্তিযোদ্ধা
বাদশা ও হানিফের মামা খলিসাখালী গ্রামের মোঃ রিয়াজ সোমবার ১৫ মার্চ এ
মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা স্বাধীনতা যুদ্ধের
সময় রাজাকার ও আলবদর ছিল। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোসর হিসেবে তারা এলাকায়
খুন ধর্ষণ লুটপাটসহ সব ধরনের অপরাধ করে বেড়াত। ১৯৭১ সালের ১৩ নবেম্বর
আসামিরা মুক্তিযোদ্ধা হানিফ ও বাদশাকে ধরে খুন করার জন্য তাদের পিতা আমখোলা
গ্রামের আদম আলী হাওলাদারের বাড়ি চারদিক থেকে ঘেরাও করে। এ সময় বাদশা ও
হানিফ 'ধান রাখার মোড়ার' মধ্যে লুকিয়ে প্রাণ রা করেন। তাদের ধরতে না পেরে
আসামিরা বাড়ি লুটপাট করে। পরের দিন ১৪ নবেম্বর সকালে বাদশা ও হানিফ লুকিয়ে
পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল আনুমানিক দশটার দিকে চিংগুড়িয়া গ্রামে
পেঁৗছলে সেখানে গলাচিপা থানা শানত্মি কমিটির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সিকদারের
বাহিনীর সদস্য ফাইজুল ইসলাম, মালেক খাঁ, রম্নস্তুম সিকদার ও আবদুস
ছত্তারসহ বাহিনীর অন্য দোসরদের হাতে তারা ধরা পড়েন। রাজাকাররা তাদের ওপর
অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়। পরে তাদের আমখোলা গ্রামের শীর্ষ রাজাকার মামলার ১
নম্বর আসামি মতলেব বাহিনীর কাছে হসত্মানত্মর করা হয়। এদিন বিকেল চারটার
দিকে বাদশা ও হানিফকে আমখোলা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে হানিফকে আসামিরা
মাটিতে শুইয়ে ফেলে চেপে ধরে ও রাজাকার ফাইজুল ইসলাম ধারালো গাছকাটা দা
দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। পরে একই কায়দায় বাদশাকে জবাই করা হয়। তাদের
মৃতু্য নিশ্চিত করে আসামিরা সন্ধ্যার পর লাশ দু'টি নৌকায় তুলে নিয়ে অজ্ঞাত
স্থানে গুম করে। পরে তাদের আত্মীয়স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও লাশের
সন্ধান পায়নি। মামলায় বাদী আরও উলেস্নখ করেন, নিহতদের দু'টি বোন ছাড়া আর
কেউ বেঁচে নেই। তারা বর্তমানে বয়সের ভারে নু্যব্জ। তাদের প েমামলা পরিচালনা
করা সম্ভব নয় বিধায় তিনি বাদী হয়েছেন। এতদিন পরিবেশ অনুকূল ছিল না বলেই
মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।
মামলার আসামি রাজাকাররা হচ্ছে আমখোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাঁশবুনিয়া গ্রামের মোঃ মতলেব মৃধা (৭০), আউলিয়াপুর গ্রামের মেসের আলী মৃধার পুত্র জালাল মৃধা (৬৫), মৃত আদম আলী হাওলাদারের পুত্র আঃ হক হাওলাদার (৭০) ও জয়নাল (৬৮), মৃত লতিফ খানের পুত্র হাবিবুর রহমান (৬৫), মৃত মুজাফফার তালুকদারের পুত্র ফাইজুল ইসলাম (৬৫), আমখোলা গ্রামের মৃত মনসুর মৃধার পুত্র আমির হোসেন, মৃত একরাম আলীর পুত্র কাঞ্চন আলী (৬৮), মৃত মোতাহার আলী মৃধার পুত্র মতলেব মৃধা (৬৩), জামুরা গ্রামের মৃত হামেদ খাঁর পুত্র মালেক খাঁ (৬৫), পটুয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম তেলিখালী গ্রামের মৃত মফেজ সিকদারের পুত্র রম্নসত্মম সিকদার (৭০) ও কলাতলা গ্রামের জেন্নাত আলীর পুত্র আঃ ছত্তার।
মামলার আসামি রাজাকাররা হচ্ছে আমখোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাঁশবুনিয়া গ্রামের মোঃ মতলেব মৃধা (৭০), আউলিয়াপুর গ্রামের মেসের আলী মৃধার পুত্র জালাল মৃধা (৬৫), মৃত আদম আলী হাওলাদারের পুত্র আঃ হক হাওলাদার (৭০) ও জয়নাল (৬৮), মৃত লতিফ খানের পুত্র হাবিবুর রহমান (৬৫), মৃত মুজাফফার তালুকদারের পুত্র ফাইজুল ইসলাম (৬৫), আমখোলা গ্রামের মৃত মনসুর মৃধার পুত্র আমির হোসেন, মৃত একরাম আলীর পুত্র কাঞ্চন আলী (৬৮), মৃত মোতাহার আলী মৃধার পুত্র মতলেব মৃধা (৬৩), জামুরা গ্রামের মৃত হামেদ খাঁর পুত্র মালেক খাঁ (৬৫), পটুয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম তেলিখালী গ্রামের মৃত মফেজ সিকদারের পুত্র রম্নসত্মম সিকদার (৭০) ও কলাতলা গ্রামের জেন্নাত আলীর পুত্র আঃ ছত্তার।
No comments