বিদ্যুত উৎপাদনের নতুন সূত্র
জ্বালানি বুভুৰু এই বিশ্বে বিদ্যুত
উৎপাদনের এক নতুন সূত্রের সন্ধান মিলেছে। সেটা হলো এনার্জির এক শক্তিশালী
তরঙ্গ সৃষ্টি করে তা কার্বন ন্যানোটিউব নামে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তারের ভিতর
দিয়ে পরিবাহিত করে বিদ্যুত উৎপাদন করা।
সূত্রটির নাম দেয়া
হয়েছে তাপশক্তি তরঙ্গ। এ আবিষ্কারের ফলে জ্বালানি গবেষণায় এক নতুন ক্ষেত্র
উন্মোচিত হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এম আইটির রাসায়নিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল স্টানো সম্প্রতি নেচার মেটিরিয়ালস সাময়িকীতে এক নিবন্ধে এই নতুন আবিষ্কার বর্ণনা করেছেন। নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, জাহাজডুবির পর মালপত্র যেমন তরঙ্গরাশির আঘাতে সমুদ্র পৃষ্ঠের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে চলে তেমনি তাপতরঙ্গ অর্থাৎ তাপের চলমান কম্পন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তারের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় ইলেক্ট্রনগুলোকেও প্রচণ্ড গতিতে সামনে ঠেলে নিয়ে যায় এবং এ থেকে বিদ্যুতপ্রবাহ সৃষ্টি হতে পারে।
বিদ্যুত শক্তির এই নতুন উৎসের প্রধান অংশটা হলো কার্বন ন্যানোটিউব। এগুলো কার্বনের এটম দিয়ে তৈরি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ফাঁপা টিউব যার ব্যাস এক মিটারের কয়েক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ। এই টিউবগুলো এক নতুন ও অভিনব কার্বন মলিকুলের একটি পরিবারের অংশ যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে গত দু'দশক ব্যাপক গবেষণা হয়েছে।
নতুন পরীক্ষায় এ জাতীয় বিদ্যুত ও তাপ পরিবাহী প্রতিটি ন্যানোটিউবের গায়ে এমন এক সক্রিয় জ্বালানির প্রলেপ দেয়া হয় যার মূল অংশগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার মধ্য দিয়ে তাপ সৃষ্টি করতে পারে। এরপর লেসার রশ্মি কিংবা হাই ভোল্টেজের স্ফুলিঙ্গের সাহায্যে ন্যানোটিউবের এক প্রান্তের জ্বালানি প্রজ্বলিত করা হয়। ফল দাঁড়ায় এই যে, দ্রুতগতির এক তাপ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় এবং তা জ্বলন্ত ফিউজের মতো দ্রুত ছুটে চলা অগ্নিশিখার আকারে কার্বন ম্যানোটিউবের গা দিয়ে ছুটে চলে। জ্বালানি পুড়ে সৃষ্ট তাপ ন্যানোটিউবের ভিতরে গিয়ে ঢোকে। জ্বালানির প্রলেপ তাপের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটা তাপ তরঙ্গ তৈরি হয়ে ন্যানোটিউব দিয়ে চলতে থাকে। ৩ হাজার কেলভিন তাপমাত্রার এই তাপতরঙ্গ ঐ রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতির চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি গতিতে টিউব দিয়ে ছুটে চলে। এভাবে সৃষ্ট তাপতরঙ্গ ইলেক্ট্রনগুলোকেও প্রচণ্ড গতিতে টিউব দিয়ে ঠেলে নিয়ে যায় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুত প্রবাহ সৃষ্টি করে। এতে যে ভোল্টেজের বিদ্যুত উৎপন্ন হয়েছে তা দেখে গবেষক দল ভবিষ্যতে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিদ্যুত উৎপাদনের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
সূত্র: সাইন্সডেইলি
যুক্তরাষ্ট্রের এম আইটির রাসায়নিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল স্টানো সম্প্রতি নেচার মেটিরিয়ালস সাময়িকীতে এক নিবন্ধে এই নতুন আবিষ্কার বর্ণনা করেছেন। নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, জাহাজডুবির পর মালপত্র যেমন তরঙ্গরাশির আঘাতে সমুদ্র পৃষ্ঠের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছুটে চলে তেমনি তাপতরঙ্গ অর্থাৎ তাপের চলমান কম্পন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তারের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় ইলেক্ট্রনগুলোকেও প্রচণ্ড গতিতে সামনে ঠেলে নিয়ে যায় এবং এ থেকে বিদ্যুতপ্রবাহ সৃষ্টি হতে পারে।
বিদ্যুত শক্তির এই নতুন উৎসের প্রধান অংশটা হলো কার্বন ন্যানোটিউব। এগুলো কার্বনের এটম দিয়ে তৈরি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ফাঁপা টিউব যার ব্যাস এক মিটারের কয়েক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ। এই টিউবগুলো এক নতুন ও অভিনব কার্বন মলিকুলের একটি পরিবারের অংশ যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে গত দু'দশক ব্যাপক গবেষণা হয়েছে।
নতুন পরীক্ষায় এ জাতীয় বিদ্যুত ও তাপ পরিবাহী প্রতিটি ন্যানোটিউবের গায়ে এমন এক সক্রিয় জ্বালানির প্রলেপ দেয়া হয় যার মূল অংশগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার মধ্য দিয়ে তাপ সৃষ্টি করতে পারে। এরপর লেসার রশ্মি কিংবা হাই ভোল্টেজের স্ফুলিঙ্গের সাহায্যে ন্যানোটিউবের এক প্রান্তের জ্বালানি প্রজ্বলিত করা হয়। ফল দাঁড়ায় এই যে, দ্রুতগতির এক তাপ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় এবং তা জ্বলন্ত ফিউজের মতো দ্রুত ছুটে চলা অগ্নিশিখার আকারে কার্বন ম্যানোটিউবের গা দিয়ে ছুটে চলে। জ্বালানি পুড়ে সৃষ্ট তাপ ন্যানোটিউবের ভিতরে গিয়ে ঢোকে। জ্বালানির প্রলেপ তাপের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটা তাপ তরঙ্গ তৈরি হয়ে ন্যানোটিউব দিয়ে চলতে থাকে। ৩ হাজার কেলভিন তাপমাত্রার এই তাপতরঙ্গ ঐ রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতির চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি গতিতে টিউব দিয়ে ছুটে চলে। এভাবে সৃষ্ট তাপতরঙ্গ ইলেক্ট্রনগুলোকেও প্রচণ্ড গতিতে টিউব দিয়ে ঠেলে নিয়ে যায় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুত প্রবাহ সৃষ্টি করে। এতে যে ভোল্টেজের বিদ্যুত উৎপন্ন হয়েছে তা দেখে গবেষক দল ভবিষ্যতে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিদ্যুত উৎপাদনের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
সূত্র: সাইন্সডেইলি
No comments