বিদেশীদের কাছ থেকে ঋণ চেয়ে সবক শুনতে চাই না ॥ প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষ জনসম্পদকে ব্যবহার করে দেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জনসম্পদকে ব্যবহার করা গেলে বিদেশীদের কাছে আর কোন ঋণ চাইতে হবে না।
ঋণ চেয়ে তাদের আর কোন ছবক আমরা শুনতে চাই না। ঋণ নিলে তাদের মাতববরির প্রবণতাও থাকে। এর গ-ি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের হারানো গৌরব এ সরকার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সরকার জনবান্ধব সরকার। বিগত ৪ বছরে এ সরকার কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। প্রকৌশলীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া ‘অগ্রসর ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়া সম্ভব নয়। তিনি ১৯৭১ সালের মতো দেশ প্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আইইবির ৫৪তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন এ জন্য প্রকৌশলীদের জবাবদিহি করতে হবে। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতে প্রকৌশলীদের আহ্বান জানান। মানসম্পন্ন এবং উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহারেও তিনি প্রকৌশলীদের পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করার পেছনে মহাজোট সরকারের ভূমিকাও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন। তিনি জানান, আগে চট্টগ্রামে জেটিগুলো খালি থাকত। এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বন্দর। বন্দর নিয়ে রাজনীতিরও সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একমাত্র শত্রু দারিদ্র্য। দারিদ্র্যতা দূর করতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন মুক্তিযুদ্ধে যদি আমরা বিজয় অর্জন করতে পারি তাহলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিজয় কেন অর্জন করতে পারব না। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে দেয়Ñ এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই প্রযুক্তি ও প্রকৌশলে উন্নয়ন ঘটুক। বিকল্প জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ে যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের জন্য প্রকৌশলীদের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন তার সরকারের পরিকল্পনা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে আধুনিক গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তর। জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসর ডিজিটাল বাংলাদেশ। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিবিদদের অগ্রণী সৈনিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া তা সম্ভব নয়। বিদেশীদের কাছ থেকে ঋণ নিলে নানা ধরনের বায়না থাকে। নিতে হয় ছবক। মাতববরির প্রবণতাও তাদের থাকে। এর গ-ি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রকৌশলীদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে নিজস্ব শক্তি, অর্থ ও সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। বিশ্বায়ন এবং মুক্ত বাজার যুগে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যোগ্য প্রকৌশল নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। তাই প্রকৌশলী ও প্রকৌশল শিক্ষাকে বিশ্বমানের করতে হবে। মেধা মনন আর সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্ভয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার সব সময় তাদের পাশে থাকবে। প্রকৌশলীদের কার্যক্রমের প্রশংসাও করেন। তিনি উল্লেখ করেন আমাদের রয়েছে বিশ্বমানের প্রকৌশলী
সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি চট্টগ্রাম চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ হারুন, আইইবির সম্মানী সম্পাদক মোঃ আবদুস সবুর, আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ নুরুল হুদা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ৫৪তম কনভেনশনের সদস্য সচিব ও সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী এম এ রশিদ। আইইবির এ কনভেনশনে দেশ বিদেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে কয়েক মন্ত্রী-এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি ৪ দিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হবে।
৫ প্রকল্পের উদ্বোধন ॥ দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি সরকারী ও একটি বেসরকারী প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রায় আড়াই শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্পগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি ভবন, ফৌজদারহাট নার্সিং কলেজ, ফৌজদারহাটের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস। এসব প্রকল্প সরকারি। এ ছাড়া বেসরকারী একমাত্র প্রকল্পটি হচ্ছে মা ও শিশু হাসপাতালের ৮৫০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। অনুষ্ঠানে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন, পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, এ বি এম আবুল কাশেম মাস্টার এমপি, আবদুল লতিফ এমপি, শামসুল হক চৌধুরী এমপি, চেমন আরা তৈয়ব এমপি, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একমাত্র শত্রু দারিদ্র্য। দারিদ্র্যতা দূর করতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন মুক্তিযুদ্ধে যদি আমরা বিজয় অর্জন করতে পারি তাহলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিজয় কেন অর্জন করতে পারব না। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে দেয়Ñ এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই প্রযুক্তি ও প্রকৌশলে উন্নয়ন ঘটুক। বিকল্প জ্বালানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ে যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের জন্য প্রকৌশলীদের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন তার সরকারের পরিকল্পনা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে আধুনিক গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তর। জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসর ডিজিটাল বাংলাদেশ। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিবিদদের অগ্রণী সৈনিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া তা সম্ভব নয়। বিদেশীদের কাছ থেকে ঋণ নিলে নানা ধরনের বায়না থাকে। নিতে হয় ছবক। মাতববরির প্রবণতাও তাদের থাকে। এর গ-ি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রকৌশলীদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে নিজস্ব শক্তি, অর্থ ও সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। বিশ্বায়ন এবং মুক্ত বাজার যুগে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যোগ্য প্রকৌশল নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। তাই প্রকৌশলী ও প্রকৌশল শিক্ষাকে বিশ্বমানের করতে হবে। মেধা মনন আর সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্ভয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার সব সময় তাদের পাশে থাকবে। প্রকৌশলীদের কার্যক্রমের প্রশংসাও করেন। তিনি উল্লেখ করেন আমাদের রয়েছে বিশ্বমানের প্রকৌশলী
সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি চট্টগ্রাম চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ হারুন, আইইবির সম্মানী সম্পাদক মোঃ আবদুস সবুর, আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ নুরুল হুদা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ৫৪তম কনভেনশনের সদস্য সচিব ও সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী এম এ রশিদ। আইইবির এ কনভেনশনে দেশ বিদেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে কয়েক মন্ত্রী-এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি ৪ দিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হবে।
৫ প্রকল্পের উদ্বোধন ॥ দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি সরকারী ও একটি বেসরকারী প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রায় আড়াই শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্পগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি ভবন, ফৌজদারহাট নার্সিং কলেজ, ফৌজদারহাটের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস। এসব প্রকল্প সরকারি। এ ছাড়া বেসরকারী একমাত্র প্রকল্পটি হচ্ছে মা ও শিশু হাসপাতালের ৮৫০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। অনুষ্ঠানে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন, পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, এ বি এম আবুল কাশেম মাস্টার এমপি, আবদুল লতিফ এমপি, শামসুল হক চৌধুরী এমপি, চেমন আরা তৈয়ব এমপি, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments