পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা তহবিলে ৪৪ সচিবের অর্থ জমা by তৌহিদুর রহমান
পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান তহবিলে ৪৪ সচিব ইতোমধ্যে অর্থ জমা দিয়েছেন। উৎসব ভাতার সমপরিমাণ এই অর্থ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা হয়েছে। এখনও আরও ২৪ সচিব অর্থ প্রদান করেননি। তবে সচিবদের অর্থ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। সকল সচিবের অর্থ জমা হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অর্থ জমা দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে প্রশাসনে সচিব ও সচিব পদমর্যাদায় ৬৮ কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৪ সচিব অর্থ প্রদান করছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইতোমধ্যে যেসব সচিব অর্থ প্রদান করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন-শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, সিকিউকে মোশতাক আহমেদ, মিজানুর রহমান, আতাহারুল ইসলাম, আশরাফুল মকবুল, উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, শফিক আলম মেহেদী, মিকাইল শিপার, মনজুর হোসেন, রণজিৎ কুমার বিশ্বাস ও তারিকুল ইসলাম।
এর আগে গত ১২ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান তহবিলে অর্থ জমা দেয়ার জন্য সকল সচিবের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়। উৎসব ভাতার সমপরিমাণ অর্থ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। দুই কিস্তিতে সমানভাবে ভাগ করে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে এই অর্থ জমা দিতে বলা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মোহাম্মাদ আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অর্থ বিভাগের ৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তর হতে প্রাপ্ত অনুদান জমা রাখার জন্য স্থানীয় মুদ্রায় পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী) শীর্ষক একটি হিসাব এবং বিদেশ হতে প্রাপ্ত অনুদান জমা রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী) শীর্ষক অপর একটি হিসাব খোলা হয়েছে। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু নির্মাণ তহবিলে অনুদানের অর্থ পদ্মাসেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)-শীর্ষক হিসেবের অনুকূলে ক্রসড ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে গত ৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি আধাসরকারী পত্র জারি করা হয়। সেই আধা সরকারী পত্রের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়, সরকারের সচিবগণ একটি উৎসব ভাতার সমপরিমাণ অর্থ দুই কিস্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ তহবিলে অনুদান হিসেবে প্রদান করবেন। অনুদানের অর্থ একত্র করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কয়েক সচিবকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই অর্থ হস্তান্তর করবেন।’
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ তহবিল’ গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও সচিবরা স্বেচ্ছায় তাঁদের এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে এই তহবিলে দানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে সচিবরা একটি উৎসব ভাতা দুই কিস্তিতে সমানভাবে ওই তহবিলে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট দুটি ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশী ও প্রবাসী নাগরিকদের এই তহবিলে অর্থ দানের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজেও আগ্রহীদের কাছ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করবেন।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ৮ আগস্ট নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্যাংক হিসাব খুলতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুদান সংগ্রহের জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা এবং জমা হওয়া অর্থ সরকারী কোষাগারে স্থানান্তর নিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওইদিনই সার্কুলারটি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে স্থানীয় ও বৈদেশিক মুদ্রায় অনুদান সংগ্রহের লক্ষ্যে সব তফসিলী ব্যাংকের শাখায় ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা’ শিরোনামে সরকারের পক্ষে সংগ্রহের হিসাব (কালেকশন এ্যাকাউন্ট ) খুলতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে সার্কুলারে বলা হয়। ব্যাংক হিসাব পরিচালনা ও জমা হওয়া অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা করার প্রক্রিয়াও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়। দেশে অনুদানের অর্থ জমা নেয়ার জন্য সবগুলো তফসিলী ব্যাংকের শাখা ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)’ সংগ্রহ হিসাব খুলতে বলা হয়। আর বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবাসীদের অনুদান নেয়ার জন্য তফসিলী ব্যাংকগুলোর বিদেশী ও অনুমোদিত শাখায় ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী)’ নামে বৈদেশিক মুদ্রায় সংগ্রহ হিসাব খুলতে হবে। অনুদানের টাকা জমা নেয়ার জন্য কোন প্রকার সার্ভিস চার্জ নেয়া যাবে না বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।
তফসিলী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় ও বৈদেশিক মুদ্রায় সংগৃহীত অর্থ সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে জমা হবে। এ জন্য সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে স্থানীয় মুদ্রা জমার জন্য ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)’ এবং বৈদেশিক মুদ্রা জমার জন্য ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী)’ হিসাব খুলবে। সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট হিসাবে অনুদান জমা ও স্থানান্তরের ওপর মাসিক বিবরণী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিয়মিতভাবে অর্থ বিভাগে পাঠাবে। এর অনুলিপি দিতে হবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালককে। আর সোনালী ব্যাংক জমা হওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সরকারী হিসাব নম্বর ১-এর অধীনে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত দু’টি পৃথক কোডে যথাবিধি নিয়মিতভাবে স্থানান্তর করা হবে। গত ২৯ জুন দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ার দাবি তুলে বিশ্ব ব্যাংক ২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ বাতিল করে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল। বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, আর কেউ না এলে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদ সংগ্রহেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে গত ১২ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান তহবিলে অর্থ জমা দেয়ার জন্য সকল সচিবের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়। উৎসব ভাতার সমপরিমাণ অর্থ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। দুই কিস্তিতে সমানভাবে ভাগ করে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে এই অর্থ জমা দিতে বলা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মোহাম্মাদ আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অর্থ বিভাগের ৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তর হতে প্রাপ্ত অনুদান জমা রাখার জন্য স্থানীয় মুদ্রায় পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী) শীর্ষক একটি হিসাব এবং বিদেশ হতে প্রাপ্ত অনুদান জমা রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী) শীর্ষক অপর একটি হিসাব খোলা হয়েছে। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু নির্মাণ তহবিলে অনুদানের অর্থ পদ্মাসেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)-শীর্ষক হিসেবের অনুকূলে ক্রসড ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে গত ৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি আধাসরকারী পত্র জারি করা হয়। সেই আধা সরকারী পত্রের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়, সরকারের সচিবগণ একটি উৎসব ভাতার সমপরিমাণ অর্থ দুই কিস্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণ তহবিলে অনুদান হিসেবে প্রদান করবেন। অনুদানের অর্থ একত্র করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কয়েক সচিবকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই অর্থ হস্তান্তর করবেন।’
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ তহবিল’ গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও সচিবরা স্বেচ্ছায় তাঁদের এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে এই তহবিলে দানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে সচিবরা একটি উৎসব ভাতা দুই কিস্তিতে সমানভাবে ওই তহবিলে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট দুটি ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশী ও প্রবাসী নাগরিকদের এই তহবিলে অর্থ দানের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজেও আগ্রহীদের কাছ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করবেন।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ৮ আগস্ট নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্যাংক হিসাব খুলতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুদান সংগ্রহের জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা এবং জমা হওয়া অর্থ সরকারী কোষাগারে স্থানান্তর নিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওইদিনই সার্কুলারটি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে স্থানীয় ও বৈদেশিক মুদ্রায় অনুদান সংগ্রহের লক্ষ্যে সব তফসিলী ব্যাংকের শাখায় ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা’ শিরোনামে সরকারের পক্ষে সংগ্রহের হিসাব (কালেকশন এ্যাকাউন্ট ) খুলতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে সার্কুলারে বলা হয়। ব্যাংক হিসাব পরিচালনা ও জমা হওয়া অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা করার প্রক্রিয়াও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়। দেশে অনুদানের অর্থ জমা নেয়ার জন্য সবগুলো তফসিলী ব্যাংকের শাখা ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)’ সংগ্রহ হিসাব খুলতে বলা হয়। আর বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবাসীদের অনুদান নেয়ার জন্য তফসিলী ব্যাংকগুলোর বিদেশী ও অনুমোদিত শাখায় ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী)’ নামে বৈদেশিক মুদ্রায় সংগ্রহ হিসাব খুলতে হবে। অনুদানের টাকা জমা নেয়ার জন্য কোন প্রকার সার্ভিস চার্জ নেয়া যাবে না বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।
তফসিলী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় ও বৈদেশিক মুদ্রায় সংগৃহীত অর্থ সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে জমা হবে। এ জন্য সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে স্থানীয় মুদ্রা জমার জন্য ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (নিবাসী)’ এবং বৈদেশিক মুদ্রা জমার জন্য ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছা অনুদান সহায়তা (অনিবাসী)’ হিসাব খুলবে। সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট হিসাবে অনুদান জমা ও স্থানান্তরের ওপর মাসিক বিবরণী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিয়মিতভাবে অর্থ বিভাগে পাঠাবে। এর অনুলিপি দিতে হবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালককে। আর সোনালী ব্যাংক জমা হওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সরকারী হিসাব নম্বর ১-এর অধীনে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত দু’টি পৃথক কোডে যথাবিধি নিয়মিতভাবে স্থানান্তর করা হবে। গত ২৯ জুন দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ার দাবি তুলে বিশ্ব ব্যাংক ২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ বাতিল করে। এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল। বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, আর কেউ না এলে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদ সংগ্রহেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
No comments