এক লিটার দুধের দাম কত? by আবুল হাসনাত
মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত তরল দুধের দাম গত শনিবার থেকে বাড়ানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটি এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা দেশে তা কার্যকরও করেছে। বেসরকারি একাধিক ডেইরিও একই হারে তাদের সব ধরনের প্যাকেটজাত দুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত এক লিটার তরল দুধের দাম এখন ৫৮ টাকা। ৫০০ মিলিলিটারের দাম ৩২ টাকা, মানে দুই প্যাকেটে এক লিটার নিলে দাম পড়বে ৬৪ টাকা। আবার ২৫০ মিলিলিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ টাকা। এক লিটার বা আধা লিটারের প্যাকেট পাওয়া না গেলে ক্রেতা যদি ২৫০ মিলিলিটারের চার প্যাকেট মিলিয়ে এক লিটার দুধ কেনেন তাহলে দাম পড়বে ৬৮ টাকা। প্রশ্ন উঠেছে, এক লিটার তরল দুধের দাম আসলে কত?
আবার খুচরা পর্যায়ে মিল্ক ভিটার এক লিটার দুধ বিক্রি করলে দোকানদার কমিশন পাবেন দুই টাকা ৮০ পয়সা। আধা লিটার বিক্রি করলে কমিশন পাবেন দুই টাকা। আর ২৫০ মিলিলিটার বিক্রি করলে কমিশন পাবেন এক টাকা ৪০ পয়সা। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আধা লিটারের দুটি প্যাকেট (এক লিটার) বিক্রি করলে কমিশন পাওয়া যাবে চার টাকা। আর ২৫০ মিলিলিটারের চার প্যাকেট (এক লিটার) বিক্রি করলে কমিশন পাঁচ টাকা ৬০ পয়সা।
একইভাবে পরিবেশকেরা এক লিটার দুধ বিক্রি করে এক টাকা ৬০ পয়সা, আধা লিটার করে এক লিটারে (দুই প্যাকেট) দুই টাকা ও ২৫০ মিলিলিটার করে এক লিটারে (চার প্যাকেট) দুই টাকা ৪০ পয়সা কমিশন পাবেন। অর্থাৎ প্যাকেট যত ছোট হচ্ছে, দাম, দোকানদার ও পরিবেশকদের কমিশন তত বাড়ছে। বেশি কমিশন দিয়ে মিল্ক ভিটা ছোট প্যাকেটের দুধ বেশি বিক্রিকে উৎসাহিত করছে। আবার ছোট প্যাকেটের দামও ‘অযৌক্তিকভাবে’ বাড়িয়ে রেখেছে। এ প্রক্রিয়ায় মূলত নিম্ন আয়ের ক্রেতারা আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জানতে চাইলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মিহির কান্তি মজুমদার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা কমিটি নিজস্ব সিদ্ধান্তে দুধের দাম বাড়িয়েছে। তবে তারা এখন যে দাম বাড়াল, তা যথাযথ হয়েছে কি না এবং এ সময়ে দাম বাড়ানোর দরকার ছিল কি না, তা মন্ত্রণালয় তদন্ত করে দেখছে।
মিল্ক ভিটা দাম বাড়ানোর কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি ডেইরি এ হারে দাম বাড়িয়েছিল। মিল্ক ভিটা ওই হারে দাম বাড়ানোর পর গতকাল থেকে আরেকটি বেসরকারি ডেইরি একইভাবে তাদের দুধের দাম বাড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি-বেসরকারি সব দুধের দাম দুই সপ্তাহের মধ্যে বাড়ানোর এ প্রক্রিয়ায় কোনো যোগসাজশ থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারীদের আঙুল মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা কমিটির দিকে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গত দুই দিন মিল্ক ভিটার পরিচালনাকারী বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হাসিব খানের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগে দুধের দাম বাড়িয়েছে। পরে মিল্ক ভিটার দুধের দাম বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ বেশি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ যদি বাড়ে, তাহলে তারাও দুধের দাম বাড়াবে। আমাদেরটা দেখে কেন দাম বাড়াতে হবে।’
মহাব্যবস্থাপক বলেন, খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে দুধ কেনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল—এ তিন মাসে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সার্বিকভাবে উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। বাড়তি এ ব্যয় বাজেটে ছিল না। সেটা সংস্থান করার জন্যই গত মাসে ব্যবস্থাপনা কমিটি দুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন করে। তিনি দাবি করেন, মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার পরই দাম বাড়ানো হয়েছে।
তবে রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সদস্য আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় তিন মাস আগে মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনার দাম বাড়িয়েছিল। বর্তমানে ননিভেদে (ফ্যাট) প্রতি লিটার দুধ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।
মিল্ক ভিটার সূত্র জানায়, বাজারে ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা দরে যে দুধ সরবরাহ করা হয় তাতে ননির পরিমান ৩ দশমিক পাঁচ। খামারি পর্যায়ে এই পরিমান ননিযুক্ত দুধের কেনা দাম পড়ে ৩১ টাকা ৯৪ পয়সা। কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রতি লিটারে দামের পার্থক্য ২৬ থেকে ৩৬ টাকা। সংশ্লিষ্টা বলছেন, প্রশাসনিক ব্যয়, দুর্নীতি, অতিরিক্ত জনবল ইত্যাদি কমালে আরও কম দামে গ্রাহককে দুধ সরবরাহ করতে পারবে মিল্ক ভিটা।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিল্ক ভিটা প্যাকেটজাত দুধের দাম ছয়বার বাড়িয়েছে। ওই বছরের মে মাসে দুধের দাম বাড়িয়ে করা হয় এক লিটার ৪৫, আধা লিটার ২৪ ও ২৫০ মিলিলিটার ১৩ টাকা। পরের বছরের ডিসেম্বরে আবার বাড়িয়ে এক লিটার ৪৮, আধা লিটার ২৫ টাকা করা হয়। ২৫০ মিলিলিটারের দাম বাড়ানো হয়নি। ২০১১ সালে মিল্ক ভিটা দুধের দাম তিনবার বাড়ায়। মে মাসে এক লিটার ও আধা লিটারে দুই টাকা করে বাড়িয়ে করা হয় যথাক্রমে ৫০ ও ২৭ টাকা। আর ২৫০ মিলিলিটারের দাম করা হয় ১৪ টাকা। জুলাই মাসে আবার বাড়িয়ে এক লিটার ৫২, আধা লিটার ২৮ ও ২৫০ মিলিলিটারের দাম ১৫ টাকা করা হয়। অক্টোবর মাসে এক লিটার দুধের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫ টাকা, আধা লিটার ৩০ ও ২৫০ মিলিলিটার ১৬ টাকা করা হয়। সর্বশেষ গত শনিবার আবার দাম বাড়ানো হয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানও দুধের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে, ছোট প্যাকেটে বেশি দাম বাড়ানোর ফলে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। তিনি বলেন, ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলেই মিল্ক ভিটা দাম বাড়ায়। প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতিতে ভরা। দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যয় কমানো গেলে ব্যয় কমত। দুধের দাম বাড়াতে হতো না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও বাড়ত না।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব বলেন, যত কম পরিমাণ দুধ প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করা হয় ততই ব্যয় বেড়ে যায়। সে কারণে শুধু মিল্ক ভিটা নয়, সব প্রতিষ্ঠানের দুধের দামেই এটা দেখা যায়। ছোট প্যাকেটে বেশি কমিশন দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কমিশনের বিষয়ে আপনি যা বললেন, তা পর্যালোচনা করা যেতে পারে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সিরাজগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক এনামুল হক]
আবার খুচরা পর্যায়ে মিল্ক ভিটার এক লিটার দুধ বিক্রি করলে দোকানদার কমিশন পাবেন দুই টাকা ৮০ পয়সা। আধা লিটার বিক্রি করলে কমিশন পাবেন দুই টাকা। আর ২৫০ মিলিলিটার বিক্রি করলে কমিশন পাবেন এক টাকা ৪০ পয়সা। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আধা লিটারের দুটি প্যাকেট (এক লিটার) বিক্রি করলে কমিশন পাওয়া যাবে চার টাকা। আর ২৫০ মিলিলিটারের চার প্যাকেট (এক লিটার) বিক্রি করলে কমিশন পাঁচ টাকা ৬০ পয়সা।
একইভাবে পরিবেশকেরা এক লিটার দুধ বিক্রি করে এক টাকা ৬০ পয়সা, আধা লিটার করে এক লিটারে (দুই প্যাকেট) দুই টাকা ও ২৫০ মিলিলিটার করে এক লিটারে (চার প্যাকেট) দুই টাকা ৪০ পয়সা কমিশন পাবেন। অর্থাৎ প্যাকেট যত ছোট হচ্ছে, দাম, দোকানদার ও পরিবেশকদের কমিশন তত বাড়ছে। বেশি কমিশন দিয়ে মিল্ক ভিটা ছোট প্যাকেটের দুধ বেশি বিক্রিকে উৎসাহিত করছে। আবার ছোট প্যাকেটের দামও ‘অযৌক্তিকভাবে’ বাড়িয়ে রেখেছে। এ প্রক্রিয়ায় মূলত নিম্ন আয়ের ক্রেতারা আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জানতে চাইলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মিহির কান্তি মজুমদার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা কমিটি নিজস্ব সিদ্ধান্তে দুধের দাম বাড়িয়েছে। তবে তারা এখন যে দাম বাড়াল, তা যথাযথ হয়েছে কি না এবং এ সময়ে দাম বাড়ানোর দরকার ছিল কি না, তা মন্ত্রণালয় তদন্ত করে দেখছে।
মিল্ক ভিটা দাম বাড়ানোর কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি ডেইরি এ হারে দাম বাড়িয়েছিল। মিল্ক ভিটা ওই হারে দাম বাড়ানোর পর গতকাল থেকে আরেকটি বেসরকারি ডেইরি একইভাবে তাদের দুধের দাম বাড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি-বেসরকারি সব দুধের দাম দুই সপ্তাহের মধ্যে বাড়ানোর এ প্রক্রিয়ায় কোনো যোগসাজশ থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারীদের আঙুল মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা কমিটির দিকে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গত দুই দিন মিল্ক ভিটার পরিচালনাকারী বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হাসিব খানের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগে দুধের দাম বাড়িয়েছে। পরে মিল্ক ভিটার দুধের দাম বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ বেশি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ যদি বাড়ে, তাহলে তারাও দুধের দাম বাড়াবে। আমাদেরটা দেখে কেন দাম বাড়াতে হবে।’
মহাব্যবস্থাপক বলেন, খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে দুধ কেনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল—এ তিন মাসে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সার্বিকভাবে উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। বাড়তি এ ব্যয় বাজেটে ছিল না। সেটা সংস্থান করার জন্যই গত মাসে ব্যবস্থাপনা কমিটি দুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন করে। তিনি দাবি করেন, মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার পরই দাম বাড়ানো হয়েছে।
তবে রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সদস্য আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় তিন মাস আগে মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনার দাম বাড়িয়েছিল। বর্তমানে ননিভেদে (ফ্যাট) প্রতি লিটার দুধ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।
মিল্ক ভিটার সূত্র জানায়, বাজারে ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা দরে যে দুধ সরবরাহ করা হয় তাতে ননির পরিমান ৩ দশমিক পাঁচ। খামারি পর্যায়ে এই পরিমান ননিযুক্ত দুধের কেনা দাম পড়ে ৩১ টাকা ৯৪ পয়সা। কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রতি লিটারে দামের পার্থক্য ২৬ থেকে ৩৬ টাকা। সংশ্লিষ্টা বলছেন, প্রশাসনিক ব্যয়, দুর্নীতি, অতিরিক্ত জনবল ইত্যাদি কমালে আরও কম দামে গ্রাহককে দুধ সরবরাহ করতে পারবে মিল্ক ভিটা।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিল্ক ভিটা প্যাকেটজাত দুধের দাম ছয়বার বাড়িয়েছে। ওই বছরের মে মাসে দুধের দাম বাড়িয়ে করা হয় এক লিটার ৪৫, আধা লিটার ২৪ ও ২৫০ মিলিলিটার ১৩ টাকা। পরের বছরের ডিসেম্বরে আবার বাড়িয়ে এক লিটার ৪৮, আধা লিটার ২৫ টাকা করা হয়। ২৫০ মিলিলিটারের দাম বাড়ানো হয়নি। ২০১১ সালে মিল্ক ভিটা দুধের দাম তিনবার বাড়ায়। মে মাসে এক লিটার ও আধা লিটারে দুই টাকা করে বাড়িয়ে করা হয় যথাক্রমে ৫০ ও ২৭ টাকা। আর ২৫০ মিলিলিটারের দাম করা হয় ১৪ টাকা। জুলাই মাসে আবার বাড়িয়ে এক লিটার ৫২, আধা লিটার ২৮ ও ২৫০ মিলিলিটারের দাম ১৫ টাকা করা হয়। অক্টোবর মাসে এক লিটার দুধের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫ টাকা, আধা লিটার ৩০ ও ২৫০ মিলিলিটার ১৬ টাকা করা হয়। সর্বশেষ গত শনিবার আবার দাম বাড়ানো হয়।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানও দুধের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে, ছোট প্যাকেটে বেশি দাম বাড়ানোর ফলে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। তিনি বলেন, ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলেই মিল্ক ভিটা দাম বাড়ায়। প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতিতে ভরা। দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যয় কমানো গেলে ব্যয় কমত। দুধের দাম বাড়াতে হতো না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও বাড়ত না।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব বলেন, যত কম পরিমাণ দুধ প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করা হয় ততই ব্যয় বেড়ে যায়। সে কারণে শুধু মিল্ক ভিটা নয়, সব প্রতিষ্ঠানের দুধের দামেই এটা দেখা যায়। ছোট প্যাকেটে বেশি কমিশন দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কমিশনের বিষয়ে আপনি যা বললেন, তা পর্যালোচনা করা যেতে পারে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সিরাজগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক এনামুল হক]
No comments