দুপক্ষেরই সদিচ্ছা দরকার-এখন সংলাপ সম্ভব
সরকার ও বিরোধী দল—উভয় পক্ষই বরাবর বলে এসেছে, রাজনৈতিক সংলাপে বসতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বাস্তবে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি; বরং সংলাপ নিয়ে দুই পক্ষের বিক্ষিপ্ত ও পরোক্ষ কথা-চালাচালিকে মনে হয়েছে রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধ। রাজপথে বিরোধী দলের আন্দোলন এবং তা দমনের লক্ষ্যে সরকারি তরফ থেকে বল প্রয়োগ ও আইন প্রয়োগ চলেছে সমান্তরালভাবে।
তবে উদ্ভূত রাজনৈতিক সমস্যাগুলো নিরসনের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপে উভয় পক্ষ উদ্যোগী হবে—এ প্রত্যাশা আগের চেয়ে বেড়েছে।
গত রোববার ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দল সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসংগত প্রস্তাব দিলে সরকার আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
দেশবাসী ইতিমধ্যে জানে, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আলোচনা সম্ভব হয়নি মূলত এ কারণে যে, পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে, সরকার তা নিয়ে আর কোনো আলোচনা তুলতে সম্মত নয়। আর তার বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল বলে এসেছে, আগামী নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে—এমন নিশ্চয়তা পেলেই কেবল তারা সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি হবে। দুই পক্ষ এমন বিপরীতধর্মী দুটি অবস্থানে অনড় থেকেছে বলে এত দিন সংলাপ সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ বিএনপির কথা শুনে মনে হচ্ছে, পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে পর্যন্ত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান সংবিধানে ছিল, তারা যে অবিকল সেটিই ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে, তা হয়তো নয়। তারা বলছে, আগামী নির্বাচনের সময় দলীয় লোকদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে না—অন্তত এ নিশ্চয়তা দেওয়া হোক, তাহলেই তারা সংলাপে আসবে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ রোববার সংসদে বললেন, বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে তিনি মধ্যস্থতার দায়িত্ব নিতে পারেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের রোববারের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি বলেছে, নির্বাচনকালীন তিন মাসের জন্য একটি সরকার গঠন বা তার রূপরেখা নিয়ে আলোচনায় বসতে তারা রাজি, শুধু এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে ওই সরকারে কোনো দলীয় লোক থাকবে না। আমাদের মনে হয়, এখানেই আলোচনার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনের সময় সরকারটি দলীয়, না নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করা হবে; দলীয় হলে শুধু সরকারদলীয়, নাকি সর্বদলীয় হবে; নির্বাচিত, না অনির্বাচিত বহুদলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা হবে—ইত্যাদি বিভিন্ন বিকল্প বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। মোদ্দা কথা, আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের সদিচ্ছা নিয়ে উভয় পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। সব মিলিয়ে, স্পিকারের মধ্যস্থতায় এখন সংলাপ হতে পারে।
গত রোববার ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দল সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসংগত প্রস্তাব দিলে সরকার আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
দেশবাসী ইতিমধ্যে জানে, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক আলোচনা সম্ভব হয়নি মূলত এ কারণে যে, পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে, সরকার তা নিয়ে আর কোনো আলোচনা তুলতে সম্মত নয়। আর তার বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল বলে এসেছে, আগামী নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে—এমন নিশ্চয়তা পেলেই কেবল তারা সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি হবে। দুই পক্ষ এমন বিপরীতধর্মী দুটি অবস্থানে অনড় থেকেছে বলে এত দিন সংলাপ সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ বিএনপির কথা শুনে মনে হচ্ছে, পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে পর্যন্ত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান সংবিধানে ছিল, তারা যে অবিকল সেটিই ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে, তা হয়তো নয়। তারা বলছে, আগামী নির্বাচনের সময় দলীয় লোকদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে না—অন্তত এ নিশ্চয়তা দেওয়া হোক, তাহলেই তারা সংলাপে আসবে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ রোববার সংসদে বললেন, বিরোধী দল সংলাপে বসতে রাজি হলে তিনি মধ্যস্থতার দায়িত্ব নিতে পারেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের রোববারের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি বলেছে, নির্বাচনকালীন তিন মাসের জন্য একটি সরকার গঠন বা তার রূপরেখা নিয়ে আলোচনায় বসতে তারা রাজি, শুধু এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে ওই সরকারে কোনো দলীয় লোক থাকবে না। আমাদের মনে হয়, এখানেই আলোচনার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনের সময় সরকারটি দলীয়, না নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করা হবে; দলীয় হলে শুধু সরকারদলীয়, নাকি সর্বদলীয় হবে; নির্বাচিত, না অনির্বাচিত বহুদলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার গঠন করা হবে—ইত্যাদি বিভিন্ন বিকল্প বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। মোদ্দা কথা, আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের সদিচ্ছা নিয়ে উভয় পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। সব মিলিয়ে, স্পিকারের মধ্যস্থতায় এখন সংলাপ হতে পারে।
No comments