সংলাপের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে by পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য ও শফিক সাফি
একই সঙ্গে বিরোধী দল ও শরিকদের চাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান থেকে দৃশ্যত সরে এসেছে। অবশেষে দলটি নিজ থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা উত্থাপনের জন্য বিরোধী দল বিএনপিকে আহ্বান জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধী দল প্রস্তাব দিলে আলোচনার জন্য সরকার প্রস্তুত।
এখন নমনীয় অবস্থা বিএনপিরও। 'প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের ঘোষণা দেওয়ার পরই সংলাপ' পুরনো এই অবস্থান থেকে সরে এসেছে প্রধান বিরোধী দলও। দলটির পক্ষ থেকে এখন বলা হচ্ছে, 'নির্বাচনকালে নির্দলীয় সরকার থাকবে'- প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়ে সংলাপের পথ সৃষ্টি করতে পারেন। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগও আশা করছে দলটি।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে- গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার এ ঘোষণার এক দিন পরই দলের পক্ষে নমনীয় অবস্থানের আভাস দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। গত রবিবার মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সৈয়দ আশরাফ আগামী নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ এমনকি সংসদের বাইরেও বিরোধী দলের সঙ্গে এখন আলোচনায় রাজি। আলোচনার ক্ষেত্রে সরকার এখন অনেক নমনীয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো জায়গায় সংলাপ হতে পারে।
আগের দিন রবিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ আগামী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংলাপে মধ্যস্থতা করতে সম্মত আছেন জানিয়ে বলেন, সংলাপ সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো কক্ষে হতে পারে।
স্পিকারের সম্মতিকে স্বাগত জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল। তবে দলটি মনে করে, সংলাপের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা মুখ্য। তারা 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের ঘোষণা দেওয়ার পরই সংলাপ'- এ অবস্থান থেকেও সরে এসেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গতকাল বলেন, আগামী নির্বাচনের সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা অস্থায়ী সরকার কিংবা নিরপেক্ষ সরকার- যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সেই সরকার অবশ্যই নির্দলীয় সরকার হতে হবে। সংলাপে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করায় স্পিকারকেও স্বাগত জানান বিএনপির এই নেতা।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনের পুস্তক প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ। সংলাপে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে স্পিকার আবদুল হামিদের সম্মতি জানানোর জবাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে মওদুদ বলেন, 'আমরা মনে করি, সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাই প্রধান। এখানে স্পিকারের কোনো ভূমিকা নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আগে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হবে, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে।' তিনি বলেন, 'নির্বাচনকালে নির্দলীয় সরকার থাকবে'- প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়ে সংলাপের পথ সৃষ্টি করতে পারেন। সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি চেয়ে তিনি আরো বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে রেখে কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না। এ রকম সংলাপে আমরা বিশ্বাস করি না।'
এদিকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে তাঁর আগ্রহের কথা তুলে ধরেছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালিস্টার বুর্টের সঙ্গে বৈঠকেও।
আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হলেও সংলাপ এ মুহূর্তে হবে, নাকি আরো পরে হবে- এ নিয়ে আওয়ামী লীগ এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে। তবে শরিক দলগুলো এখনই এ ব্যাপারে ফয়সালা করার ব্যাপারে আগ্রহী। উপরন্তু শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগকেও তাদের রূপরেখা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে। মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ অধিকাংশ দল পরবর্তী নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনই ঠিক করার দাবি জানায় আওয়ামী লীগের কাছে। গত রবিবার ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের বৈঠকে এ দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে কিভাবে আরো শক্তিশালী করা হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকার ব্যাপারেও কথা বলেন শরিক দলগুলোর নেতারা। ১৪ দলের এই বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংলাপে আওয়ামী লীগের আগ্রহের কথা তুলে ধরে বিরোধী দলকে অন্তর্বর্তীকলীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরার আহ্বান জানান। এর আগে শনিবার মহাজোটের অংশ ১১ দলীয় জোট বৈঠক করে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নির্দিষ্ট করা এবং দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায় সরকারকে।
আলোচনার ক্ষেত্রে সরকার এখন অনেক নমনীয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ নির্বাচন করতে সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো আলোচনায় প্রস্তুত। আলোচনা সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো জায়গায় সংলাপ হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জাফরউল্যাহ বলেন, সরকার চায় সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। না হলে সেই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন উঠবে। তাই নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য হয় এর সব করতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই এ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আর কোনো সুযোগ নেই দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য সংলাপের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে কালের কণ্ঠকে বলেন, স্পিকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংসদ বা সংসদের বাইরে আলোচনায় প্রস্তুত বিএনপি। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, "সংলাপের আগে আমাদের স্পষ্ট করে বলতে হবে ওই সংলাপ হবে 'নন পার্টি ইনটারিম গভর্নমেন্ট' বা নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।"
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে সন্দেহ, সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফল শুভ নয় এবং এতে অনির্বাচিত শক্তি উৎসাহিত হবে। এ জন্য অতি দ্রুততার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা এখনই চূড়ান্ত করতে হবে। তবে বিএনপিকেই আগে তাদের রূপরেখা উত্থাপনের আহ্বান জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, যেহেতু দাবি বিরোধী দলের, তাই তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে সমঝোতায় পৌঁছাতে।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে- গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার এ ঘোষণার এক দিন পরই দলের পক্ষে নমনীয় অবস্থানের আভাস দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। গত রবিবার মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সৈয়দ আশরাফ আগামী নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ এমনকি সংসদের বাইরেও বিরোধী দলের সঙ্গে এখন আলোচনায় রাজি। আলোচনার ক্ষেত্রে সরকার এখন অনেক নমনীয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো জায়গায় সংলাপ হতে পারে।
আগের দিন রবিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ আগামী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংলাপে মধ্যস্থতা করতে সম্মত আছেন জানিয়ে বলেন, সংলাপ সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো কক্ষে হতে পারে।
স্পিকারের সম্মতিকে স্বাগত জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল। তবে দলটি মনে করে, সংলাপের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা মুখ্য। তারা 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের ঘোষণা দেওয়ার পরই সংলাপ'- এ অবস্থান থেকেও সরে এসেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গতকাল বলেন, আগামী নির্বাচনের সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা অস্থায়ী সরকার কিংবা নিরপেক্ষ সরকার- যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সেই সরকার অবশ্যই নির্দলীয় সরকার হতে হবে। সংলাপে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করায় স্পিকারকেও স্বাগত জানান বিএনপির এই নেতা।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনের পুস্তক প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ। সংলাপে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে স্পিকার আবদুল হামিদের সম্মতি জানানোর জবাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে মওদুদ বলেন, 'আমরা মনে করি, সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাই প্রধান। এখানে স্পিকারের কোনো ভূমিকা নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আগে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হবে, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে।' তিনি বলেন, 'নির্বাচনকালে নির্দলীয় সরকার থাকবে'- প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দিয়ে সংলাপের পথ সৃষ্টি করতে পারেন। সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি চেয়ে তিনি আরো বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে রেখে কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না। এ রকম সংলাপে আমরা বিশ্বাস করি না।'
এদিকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে তাঁর আগ্রহের কথা তুলে ধরেছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালিস্টার বুর্টের সঙ্গে বৈঠকেও।
আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হলেও সংলাপ এ মুহূর্তে হবে, নাকি আরো পরে হবে- এ নিয়ে আওয়ামী লীগ এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে। তবে শরিক দলগুলো এখনই এ ব্যাপারে ফয়সালা করার ব্যাপারে আগ্রহী। উপরন্তু শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগকেও তাদের রূপরেখা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে। মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ অধিকাংশ দল পরবর্তী নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনই ঠিক করার দাবি জানায় আওয়ামী লীগের কাছে। গত রবিবার ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের বৈঠকে এ দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে কিভাবে আরো শক্তিশালী করা হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকার ব্যাপারেও কথা বলেন শরিক দলগুলোর নেতারা। ১৪ দলের এই বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংলাপে আওয়ামী লীগের আগ্রহের কথা তুলে ধরে বিরোধী দলকে অন্তর্বর্তীকলীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরার আহ্বান জানান। এর আগে শনিবার মহাজোটের অংশ ১১ দলীয় জোট বৈঠক করে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নির্দিষ্ট করা এবং দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানায় সরকারকে।
আলোচনার ক্ষেত্রে সরকার এখন অনেক নমনীয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ নির্বাচন করতে সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো আলোচনায় প্রস্তুত। আলোচনা সংসদে বা সংসদের বাইরে যেকোনো জায়গায় সংলাপ হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জাফরউল্যাহ বলেন, সরকার চায় সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। না হলে সেই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন উঠবে। তাই নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য হয় এর সব করতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই এ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আর কোনো সুযোগ নেই দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য সংলাপের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে কালের কণ্ঠকে বলেন, স্পিকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংসদ বা সংসদের বাইরে আলোচনায় প্রস্তুত বিএনপি। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, "সংলাপের আগে আমাদের স্পষ্ট করে বলতে হবে ওই সংলাপ হবে 'নন পার্টি ইনটারিম গভর্নমেন্ট' বা নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।"
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে সন্দেহ, সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফল শুভ নয় এবং এতে অনির্বাচিত শক্তি উৎসাহিত হবে। এ জন্য অতি দ্রুততার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা এখনই চূড়ান্ত করতে হবে। তবে বিএনপিকেই আগে তাদের রূপরেখা উত্থাপনের আহ্বান জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, যেহেতু দাবি বিরোধী দলের, তাই তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে সমঝোতায় পৌঁছাতে।
No comments